somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড্ড ভালবাসি তোমায়, তুমি প্রেরণা বাতিঘর

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“প্রাণের জাগরণে তুমি আলোর দিশারী,
উর্ধ্বশিরে তুমি বরেন্য,
তুমি অজেয়, তুমি নব শতকের পাঞ্জেরী”

হে যাত্রা পথিক স্নেহের বড় ভাই,
যে পথ একদিন তোমায় নিয়ে এসেছিল এই
সবুজ অঙ্গনে সে পথই তোমাকে দিয়েছে
ডাক। একদিকে চলা নেশা আর একদিকে পিছুটান!
বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর
এখন মূর্চ্ছিত হচ্ছে এই সবুজের অঙ্গনে, মূর্চ্ছিত
হচ্ছে প্রতিটি প্রাণে।

হে অমোঘ পথের যাত্রী,
এই সবুজের প্রান্তরে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর
প্রীতিম জীবনের কিছুকাল । নিরলস শ্রম, অধ্যবসায়,
আন্তরিক আগ্রহ নিজেদের আলোকিত মানুষ
হিসেবে গড়ার সাধনায় আপনি ছিলে সচেষ্ট।
সৃষ্টিলগ্ন থেকে শুরু হয়েছে বিদায় দেওয়া-
নেওয়ার মর্মস্পর্শী রেওয়াজ। কবির ভাষায়
তাইতো হৃদয়ের অনুভূতি-
যেতে নাহি দিব হায় –
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
কিন্তু অবুঝ মন তো বুঝতে চায়না। শুধু বলে –
মায়ার বাধনে কেন জড়ালে,
ছেড়ে যদি যাবে হায়।

হে পথের দিশারি,
‘ভুবনের ঘাটে ঘাটে
এক ঘাটে লও বোঝা,
শূণ্য করে দাও অন্য ঘাটে
তোমাদের পরশে জীবন আমাদের হয়েছে সরস ও
উর্বর নবজীবনের আহ্বানে, আলোকিত জীবনের
সন্ধানে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ নবদিগন্তের
পাণে। জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র
অন্ধকার ঘুচিয়ে আপনি হবেন একদিন চট্টলার মহান ব্যক্তি । আপনি আনবে সোনালি রবির আলোকিত দিন।

কিছু স্মৃতি আজো মলিন,
হৃদয়ের ব্যাথা অনুভব এই প্রথম।বিদায় শব্দটা অপরিচিত ছিল এতদিন।কিন্তু হেমন্তের সন্ধার হিমেলতা মাঝে উত্তাপ্ততা বিরাজমান ছিল শুধু আপনার শূন্যতায়।আজ বড্ড বেশী অসহায় মনে হয় বাস্তব জীবনে।প্রথম আমি শহরে গিয়েছি আপনার হাত ধরে, প্রত্যেকটা কাজের প্রারম্ভিকতা আপনি।তাই তো প্রতি কুরবানে ষাঁড় কেনার মহোৎসবে আপনি ছিলেন,দাদুর অসুস্থতার সময় হাসপাতালে থেকে হাসপাতাল, কত রাত নির্ঘুম কাঁটালেন,সবার পড়ালেখা খবর নিতেন।কে কি করছে সব আপনাকে জানানো হতো আর শুনে খুব সুন্দর পদ্ধতিভিত্তিক পরামর্শ দিতেন তার সাথে যতটুকু সাধ্য নিজের কাজের চেয়ে গুরুত্ব দায়ে কাজগুলো সম্পন্ন করতেন।নিজের ক্যারিয়ার চেয়ে ছোট ভাইদের ক্যারিয়ার ছিল আপনার প্রাধান্যতা।তাইতো নিজের ফাইলান পরিক্ষার সময় নিজের পরিক্ষার কথা না ভেবে আপনি আমায় নিয়ে পাড়ি দিলেন চাপাঁই,আমার ক্যারিয়ারের পিচনের মানুষটি আপনি।আপনার প্রত্যকটা কদম কারো না কারো উপকারের। তাই কলম হাতে স্মৃতিগুলো বিশাল কাব্য হতো। তোমাকে হারিয়ে শুধু পবিবার নয় আমরা নিজেকে হারাতে বসেছি, বাস্তব বড়ই কঠিন।খুব মিস করি ভাইয়া, খুব বেশি মিস করি।

হে মুক্তির অগ্রদূত,
আপনি আমাদের খুঁড়ে ঘরের সোনার হৃদয়ের বড় ভাই।
প্রত্যেক প্রতিকূলতায় ও সমস্যার সহজ সমাধান ছিল আপনার আগমন।খুব সহজভাবে আপনাকে আমি দেখেছি।তাই
শুধু মনে রাখবেন ,’
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।’
কবির ভাষায়,
‘অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি হে নবীন,চলো
অনায়াসে, মৃত্যুজয়ী জীবন উল্লাসে।’

হে আজকের প্রত্যাশা,
জীবনকে বিকশিত করার অদ প্রয়াসকে সামনে
রেখেই আপনার পদচারণা শুরু হয়েছিল।শত
আকাঙ্ক্ষার সিঁড়ি বেয়ে আপনি আজ শত দূর প্রান্তে
উপনীত ।তাইতো অনুরোধ অন্যায় -অবিচার, জুলুম
নির্যাতনের বিরুদ্ধে আপনি থাকবেন প্রথম
কাতারের অগ্রনায়ক ।

আপনার নতুন যাত্রাপথ নতুন সাফল্যে ভরে
উঠুক। দেশ জাতির ঐতিহ্যগর্ব ইতিহাস হোক
আপনার একমাত্র সাধনার অঙ্গিকার।

(হালকা কিছু সংগ্রহ ও সংযোজন করা হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×