ঘাম বা বীর্য
গভীর সমুদ্রের পথ ধরে হেঁটে যাই আমরা কজন কৃষক
কৃষানী বাড়িতে বসে আছে সমুদ্রের নীল জলে ফসল ফলাবো বলে
গুহাগুলো ঘেঁটে ঘেঁটে নিয়ে আসব আদিম মানবের রেখে যাওয়া খাবার
যে খাবারে লেগে থাকে ওদের রক্ত, ঘাম কিংবা বীর্য ।
ঘাসের উপর দিয়ে তরতর করে হেঁটে যাই
অথচ চারিদিকে কোন ঘাস নেই শুধু জল আর জল
রং বেরংগের জলে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য কিশোরীর মৃতদেহ
বা তাদের মরে যাওয়া স্বপ্নগুলো
যেগুলো দীর্ঘকাল অযত্নে বুনেছিল
নকশি কাথাঁর ন্যায়
আকাঁবাকাঁ মেঠো পথে ঘোড়ায় চড়ে বেড়ায় অন্ধ রাজকুমার
কিশোরীর নুপুরের রিন্ঝিন্ ছন্দ রাজকুমারকে পাগল করে দেয়
করে দেয় অন্ধ, গভীর প্রেমের আবেশে জড়িয়ে যায় রাজকুমার
কৃষকের মেয়ে আত্নাহূতি দেয় নীল জলে
এভাবে রাজকুমাররা জলের মাঝে যুগ যুগান্তরের সাক্ষী রেখে যায়
মিথ্যে বানিয়ে দেয় আদিম ভালোবাসাকে, দূরে ঠেলে দেয় অনেক দূরে
কোনো বাগানের মাঝে বাচ্চারা খেলা করে
দূরে দাঁড়িয়ে সুখী মনে করে নিজেকে রাজবউ
ভাবে একটা নিষ্পাপ স্বামী পেয়েছে
অনেক ভালোবাসে তাকে, জানেনা সে
রাজকুমার কত বসন্তে কত বৃক্ষের মুকুল ঝরিয়েছে
ভালোবাসার নামে হাতিয়েছে গ্রাম্য মেয়ের সাদা বুক
অথবা রাত্রি কাটিয়েছে কৃষানের ঘরে
যে কৃষান এখনো সমুদ্রে ফসল ফলিয়ে যায়।
কৃষানের বউ বসে থাকে একা।
ফসলের অপেক্ষায় থাকে।