আমার মনে হয় একটা মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা-ভাবনা করতে পারাটা অনেক জরুরী। অবশ্য চিন্তার ব্যাপারটা নিজের ভেতর থেকে spontaneously আসতে হয়। যেমন, আমি যখন গভীর সমস্যায় পড়ি- সেটা নিয়ে আমি নিজের থেকে কিছু ভাবতে পারিনা। ভাবতে গেলেই সব কিছু ওলট পালট হয়ে যায়।
রাতে সাধারনত দেড়টা – দুইটার দিকে ঘুমাতে যাই। বিছানায় শুইলেই ঘুম আসে না। ঘন্টাখানিক এদিক ওদিক করার পর ঘুম আসে। ঘুম আসার ঠিক আগের মূহুর্তটা হচ্ছে ঘুম ও জাগরনের মাঝামাঝি স্টেট। এই অবস্থায় আমি একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করি । সারাদিন আমি যেসব বিষয় নিয়ে খুব দ্বিধা-দ্বন্দে থাকি এই বিষয়গুলা সিরিয়ালে একটার পর একটা আমার মাথায় আসতে থাকে। আমার চেতন ও অচেতনের মাঝে যে অবচেতন মন আছে তা এই সমস্যাগুলোকে একে একে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে। অধিকাংশ সময়েই সমস্যাগুলার একটা সন্তোষজনক সমাধান আসে। সমাধানগুলো হয় খুব সরল। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমার কোন আপত্তি থাকেনা। এরপর আমার চোখে ঘুম লেগে আসে। ঘুমের মধ্যে আমি এপাশ ওপাশ করতে থাকি। বারবার কিছু একটা আকঁড়ে ধরতে চাই দুই হাত দিয়ে। বেশিরভাগ সময় সেটা আমার কুন্ডলীপাকানো কাঁথা। একটা কোলবালিশের প্রচন্ড অভাববোধ করি। ছাড়া ছাড়া ভাবে টুকটাক বিভিন্ন মনোচ্ছবি (স্বপ্ন) দেখি। সিনেমার মতো একটার পর একটা দৃশ্য। তবে সিনেমার দৃশ্যগুলোতে একটা ক্রমবিন্যাস থাকে – স্বপ্নে কোন ক্রমবিন্যাস দেখিনা। কিন্তু স্বপ্ন দেখার সময় খারাপ লাগেনা। দেখতে ভালোই লাগে। অন্যরকম একটা প্রশান্তি লাগে। এই শান্তিটা সমস্যা-মুক্তিরও হতে পারে।