সুখ
জাহির হুসেন
পৃথিবীর প্রান্ত থেকে প্রান্তের সহস্র ইচ্ছের বলি হয়ে এক একটি মানুষ এক একটি জাতি।প্রত্যেকটি স্থান গড়ে নিতে চায় একটি আলাদা ভুবন।আপন একটি পৃথিবী,যেখানে সে নিজের খেয়ালে গড়ে আইন আবার নিজেই ভাঙ্গে।আলাদা করে ব্যখ্যা দাড় করায় আপন সুখের।সুবৃস্তিত ভরা যৌবনোদ্দীত নদীর বুক চিড়ে খেয়া পাড়ের মাঝি যেমন দুঃখ উড়ায় উজান গানের সুরে.!ঝড় বাদলের তান্ডবের সাথে আপনা সংঘর্ষে বিদীর্ন জেলে সারারাত শেষে ফিরে আসে খালি হাতে।নোংরা বিছানার একপাশে শুকিয়ে যাও্য়া শরীরের উত্তাপ নিয়ে রাত জাগা যৌবনেশ্বর এর অপেক্ষায় এপাশ ওপাশ করা স্এীর কাছে এসে নদী প্রেমের বিদ্ধস্ততা বর্ননা করে, দুহাত পেতে প্রেম ভিক্ষে করে,সেই জেলে শুষে নেয় এক অনন্ত সুখ,স্তীর কাছে নদীকে অস্বীকার করে।সেও কি তোমার আমার (সভ্যদের) মত সুখের একটা ব্যখ্যা দাড় করাতে পারে?
পারে না।
মাঝি নদী যৌবনের উত্তাপে ঝলসে নেয় তার সুখকে।জেলে উত্তপ্ততায় জ্বলে উঠে।কারও সুখের সাথে অন্যের সুখের মিল নেই।কমলের সুখের সাথে ও কারো মিল নেই।তাই হয়তো রানুর আপন ভুবনে একটি মুহুর্তের জন্য পা রাখার ইচ্ছেটাকে সহস্র জনম দুরে থেকেই বিদায় করেছে কমল।তবে কি দুর আকাশের জেগে থাকা ভরা পুর্নিমার চাঁদ বিথাই আলো দিয়ে গেলো?
তবে কি দিগন্ত জুড়ে থাকা সফেন সমুদ্র বিকট চিৎকারে বৃথাই ডেকে গেলো?
সখী একলা কোথায় যাও?
সোনার অঙ্গ রুপালি বাও।
তোমার সেথায় কেহ নাই,
গলে ধরি প্রানতেজিতে যাই।
চল সখী প্রানতেজিতে যাই.......................................
শত সহস্র জনমের প্রেম ক্লান্ত হয়ে ফিরে যেতে পারে,কই প্রকৃতির প্রেম তো কখনো ছাড়ে নি।তবে কেন একটি মাত্র সুখ?
যে জানে সেই ভোগ করে,যে জানে না সে ভোগে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




