somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইহা একটি অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ হৃদয়জাগ্রত করণমূলক পোষ্ট যা ভবিষ্যতে ঐতিহাসিক ২২ শে জানুয়ারীর ভাষণ রূপে পাঠ্য বইয়ে স্থান পেতে পারে

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ভাই বন্ধু একজনকে সেদিন বললাম যে, আমাদের ২০০৪ এর এস.এস.সি ব্যাচের বন্ধুরা হাতেগোণা কয়েকজন বাদে প্রায় সবাই বিয়ে করে ফেলছে। অনেকে খুশির ঠেলায় ২টা বিয়েও করছে। তারপর বললাম, খুশির খবর, গতকালও আমাদের এক বন্ধু হাসান ১ মেয়েকে বিয়ে করছে।

ঐ বন্ধুটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে আমাকে বলল, আরিফ ভাই, আপনি ২টা বিয়ে করে তাদের দেখিয়ে দেন। আমি তাজ্জব হইয়া গেলাম উত্তর শুনে। কয় কি?

পরক্ষণেই আমি পাল্টা উত্তর দিলাম, ছিঃ আপনি এত ছোট মনের মানুষ! আমি আরো বেশী আশা করছিলাম। আপনি মিনিমাম ৪টা বিয়ের কথা বলতে পারতেন। (খাইছে আমারে)

যাই হোক, এগুলো জাস্ট মজা করা। বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষ যে জিনিসগুলো চাইলেই করতে পারে না তার একটি হচ্ছে বিয়ে। এই বিয়েতে অত্যন্ত খুটিনাটি বিষয়গুলোও ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষের তথা বরপক্ষের ও কনেপক্ষের মুরুব্বীরা। এক প্রেমিকও আফসোস করে বলেছিল যে, ““প্রেম করতে গেলে মেয়ের অভাব নাই, কিন্তু বিয়ে করতে গেলে মনে হয় মরুভূমিতে পানি খুজতেছি””।

তো সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি। এখন আমরা সরাসরি আরিফের ভাষণে চলে যাব যেটি ভবিষ্যতে ঐতিহাসিক ভাষণে রূপ নিবে (পাঠ্যবইয়ের পাতাতেও স্থান পেয়ে যেতে পারে)।

প্রিয় সংগ্রামী ভাই বন্ধুগণ,
আমি কথা বেশী বাড়াবো না। তোমাদের সময় নষ্ট করব না। তবে যা বলছি তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ ও গ্রহণ করো। তোমরা জেনে রাখ, পরিবারের অমতে বিয়ে করা আর শেখ হাসিনার মতো অগ্রহনযোগ্য একদলীয় নির্বাচন করা একই বিষয়।

প্রিয় সাথী ভাইগণ,
সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন তোমাদের দেখে পাত্রীরা বলবে, “এই ছেলেকে বিয়ে করমু না, ছেলের বয়স বেশী” অথবা বলবে “ছেলের মাথায় ষ্টেডিয়াম” অথবা আরো জঘন্যভাবে বলতে পারে ”পাত্র ভালো, দেখতেও ভালো, কিন্তু ছাদে মাল নাই”।

প্রিয় বন্ধুগণ,
আমি এই ঐতিহাসিক ভাষণে মেয়েদের গার্ডিয়ানদেরও বলতে চাই, যখন কলসের পানি ফুরিয়ে যায় তখন কিন্তু কলসে পানি থাকে না। অতিউত্তম বা উত্তমকুমার অথবা সালমানশাহ এর মতো পাত্রের আশায় থেকে কলসের পানি তথা আপনার মেয়ের বিয়ের সমস্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিবেন না। হয়ত এমনও হতে পারে যে, এমন সময় আসবে যখন আপনার মেয়ের জন্য পাত্রই খুজে পাবেন না। অথবা কোন প্রস্তাবও আসবে না। তাই সময় থাকতে প্রস্তাব গ্রহণ করুন। নতুবা একসময় আপনার সামনেই হয়ত কোন পাত্র পক্ষ বলে বসবে যে, মেয়ের বয়স বেশী। আপনার মেয়ে যতই সুন্দরী হোক না কেন বয়স ২৫ ছাড়িয়ে গেলেই পাত্র পক্ষের “কালো মোটা ৫০এর বেশী বয়সের স্মার্ট” মহিলাটা মুখ ত্যাড়া করে বলে বসবে, “মেয়ে বুড়ো হয়ে গেছে বা বয়স বেশী” যদিও ওই স্মার্ট মহিলার ছেলের বয়স ৩৫-৪০।

সকল দিকে পারফেক্ট পাত্র বা পাত্রী পাওয়া অসম্ভব। দুপক্ষকেই ছাড় দিতে হবে আমাদের দুই নেত্রীর মতো আলোচনার টেবিলে সরি চেয়ারে বা সোফায় বসে। অন্যথায় লিখে রাখেন আপনাদের সন্তানদের জীবন আপনারাই নষ্ট করবেন।

প্রিয় বন্ধুগণ,
কোন আন্দোলণের ঘোষনাকারী ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকতে পারেনি। তাকে চলে যেতে হয়েছে জেলখানায়। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি শেখ মুজিবুর রহমান বা আমাদের এরশাদ চাচার কথা। যিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে গত কয়েকমাস সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চলে গেছেন। সুতরাং এই ঘোষনা দেওয়ার পরও আমাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই ভুলেও আমার বিয়ের নিয়ে কমেন্টে টু শব্দও করবেন না। আপনারা বিয়ের পিড়িতে বসবেন। আর দাওয়াত কার্ড আমার নিকট পৌছালে আমি হাসপাতাল থেকে সরাসরি চলে যাব বিয়ে বাড়িতে যেমনভাবে এরশাদ চাচা গেছিল শপথ নিতে ।

পরিশেষে আবারও আমি আমার স্কুলের বন্ধু, কলেজের বন্ধু, সহপাঠী, এলাকার বন্ধু, সহকর্মী, সুপরিচিত, অপরিচিত সকলকে নির্দেশ/ঘোষণা দিচ্ছি,

পরিবারের সম্মতি নিয়া চোখ থেকে পাঙ্গুমারা সানগ্লাস খুলে, চুলে জেল দেওয়া বাদ দিয়ে প্যারাসুটের নারিকেল তেল লাগিয়ে “রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল কাটিং” এ চুল আঁচড়িয়ে, অলিতে গলিতে, চিপায় চাপায়, স্কুল গেটে, রাস্তার মোড়ে, শপিংমলে না দাঁড়িয়ে দেবদাসীয় জীবনকে বুড়িগঙ্গার নোংরা পানিতে বিসর্জন দিয়ে অথবা নিজেরা বুড়িগঙ্গায় হালকা ডুব দিয়ে তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তোমরা বিয়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড় যেভাবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে তোমাদের পূর্বপুরুষরা ঝাপায়া পড়ছে।

এবারের সংগ্রাম.... বিয়ে করার সংগ্রাম.....এবারের সংগ্রাম....... স্বেচ্ছা পরাধীনতায় যাওয়ার সংগ্রাম।


বিঃদ্রঃ
০১. আমি তোমাদের সাথে আছি, থাকব ততদিন পর্যন্ত যতদিন তোমাদের বাসায় ভালো ভালো রান্না হবে, আর তখনই কেটে পর্যন্ত যখন তোমাদের উপর তোমাদের বউদের ঝাড়ুর বারি শুরু হবে।
০২. অত্র পোষ্টের লেখক সাধু মানুষ, শান্তশিষ্ট মানুষ, প্যাচাল বুঝে না, ক্যাঁচাল বুঝে না। পোষ্ট ভালো লাগলে লাইক-ফাইক মারবেন। আর খারাপ লাগলে লেখকের নাম্বারে ৫০ টাকা ফ্লেক্সি করে পাঠিয়ে দিবেন। নাম্বার আগেরটাই।
০৩. অত্র পোষ্টের লেখকের বিয়ে নিয়ে কিচ্ছু বলবেন না। বললে সেটা সর্বআদালতে বাতিল এবং আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।
০৪. আপনাদের যদি লেখকের এই পোষ্ট ভালো লেগে থাকে, তবে লেখককে ভোট করুন। ভোট করতে হলে এই পোষ্টের কমেন্ট অপশনে নিয়ে টাইপ করুন “কেউ আমাকে বিবাহ দিন” এবং কিবোর্ডের এন্টার মেরে পাঠিয়ে দিন ৪২০ ৪২০ নাম্বারে।

সবাই ভালো থাকবেন। না থাকলে খারাপ থাকবেন। আপনার ভালো বা খারাপ থাকায় লেখকের কিচ্ছু যায় আসে না। সবাইকে ধন্যবাদ

Collected from Facebook
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×