অন্তরা, আমায় চিনতে পার?
অনেক...অনেক... দিন আগে শিউলি ফুল হয়ে আমার বুকে ঝরে পড়তে।
আর ভোরের শিশির হয়ে আমার হৃদয়ে জমা থাকতে।
............................................................................
অন্তরা, মনে পড়ে?
যেদিন শরতের মেঘের মত তোমার খোলা চুল আমার মুখে এসে পড়েছিল?
যেদিন তোমার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে আমরা ‘গভীর থেকে গভীরতর’ সুখ অনুভব করেছিলাম!
............................................................................
অন্তরা, তুমি তো আমার মত সাধারন নও,
তুমি খরস্রোতা।
তুমি সুরের ঝংকারে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে,
একবার নয়, দুবার নয়, বহু বহু বার...........................
অন্তরা, তোমাকে আমি বাঁধতে চেয়েছিলাম,
তোমার গতিকে রুদ্ধ করে তোমাকে শুধু নিজের করে চেয়েছিলাম............।।
আমার সকল অহংকার চুর্ণ করে তুমি নদী হয়ে গেছ।
আমি তোমার চোখের কাজল হতে পারিনি।
...............................................................................
অন্তরা, তুমি বহুবার আমাকে ছেড়ে চলে গেছ।
অমৃতা, প্রিয়াঙ্কা, দিপান্বীতা, মধুমিতা...............।
আবার কতবার আমার বুকে ঝঁপিয়ে পড়েছ......।
কখও ঝর্ণা হয়ে, কখনও আভা, কখনও বা প্রিয়া নাম নিয়ে।
...............................................................................
আমি জানি,
এবারও তুমি আমার তুলিতে রঙ হয়ে আমার জীবনের ক্যনভাসে আমার হাতে আঁকা
ছবি হয়ে যাবে।
অন্তরা তুমি দাবি করতেই পার যে তুমি বিদ্যুৎ এর মত এক ঝলকে ঝলসে দিতে পার যে কাউকে।
তুমি বলতেই পার নদীর মত বয়ে যায় তোমার ভালবাসা।
আমি বলব; তুমি বিদ্যুৎ হতে পার অন্তরা, নদীও হতে পার,
কিন্তু তোমার চমক যে আকাশেই,
আর সমুদ্রেই তোমার মুক্তি.......................................................................।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




