ঢাকা যাবো।
সাথে সৌরদিপ। ২টা স্ট্যান্ডিং টিকেট কিনে আর একটা পেপার কিনে ট্রেনের দরজায় বসে চলে যাবো।
কিন্তু সৌরদিপ হার্ডওয়ারে প্রব্লেম। সুতরাং একটা সীট লাগবেই। আর ট্রেন আসার ৫ মিনিট আগে ব্রাহ্মনবারিয়া কাউন্টার থেকে
সীট পাওয়া আর আকাশের মঙ্গল গ্রহ ( চাঁদ পাওয়াও কম হয়ে যায়) পাওয়া সমান কথা।
সৌরদিপ কাউন্টারে আর আমি ব্লেকার খুজছি।
একটারে পাওয়া গেছে। ৩টা টিকেট একসাথে। ১২০ করে ৩৬০ টাকা আসে জেনুইন দাম। ৭০০ চাইলো।৫০০ হলে দিয়ে দিবে মেবি।
দাম দর করতে যাবো এমন সময় ফট করে এক বিদেশি ৭০০ টাকা দিয়ে কিনে নিলো ।
আমাকে বলল, আপ্নে যাইবেন? ২০০ দিয়ে দিয়েন ।
কি আর করা। রাজি হয়ে গেলাম।একটা তো স্ট্যান্ডিং টিকেট আছেই। ২ জনের সিটে ৩ জন কচলা কচলি করে চলে যাবো ।
ট্রেন তো এসে গেছে। সীট নাম্বার ৩৯,৪০,৪১। আমরা ২ জন ৪১ নাম্বার সীট খুজতে লাগ্লাম। দেখি ৪১,৪২ সিটে বাপ মেয়ে বসা।
মেয়ে দেখে সৌরদিপ মুখে হাসি ফুটে উঠলো ।আর আমি আতঙ্কিত হয়ে উঠলাম । কারন মেয়ে থাকলে তো আর ৩ জন করে বসা যাবে না ।
এমন সময় সৌরদিপের মুখের হাসি নিভিয়ে মেয়ের বাপ এসে বলে উঠলো, বাবারা, ৪৫ নাম্বার সীটটা আমার। আপনারা কষ্ট করে ওখানে বসলে ভালো হয় ।
৪৫ নাম্বার সিটে গিয়ে দেখি এক বৃদ্ধ মহিলা। আমাদের দেখে পাশের সিটের ছেলেটা বলল, ভাই আপ্নে কষ্ট করে ৫২ নাম্বার সিটে বসবেন?
তাহলে আমি আর আমার মা একসাথে বসতে পারি।ঐ সীট টা আমাদের ।।
৫২ নাম্বার সিটে যাওয়ার পর দেখি জামাই বউ বসা ( জামাইর কাছে নতুন সুটকেস) ।
জামাই আমাদের অনুরুধ করলো যাতে ৪৩ নাম্বার সিটে গিয়ে বসি।সীটটাও নাকি জানালার পাশে।আবার সেই বাপ মেয়ের সামনের ৪৩ নাম্বার সিটে গিয়ে ৪৪ নাম্বার সিটে বসা এক মটকুরে বললাম ৪৩ নাম্বার সিটে গিয়ে বসতে।কারন সাইডে বসলে আমরা ২ জন চাপাচাপি করে বসতে পারমু।
৪৪ নাম্বার সিটে বসতে বসতে ভুলে গেলাম আমাদের আসল সিটের নাম্বার যেন কতো !!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২