আমার টা:
এখানে কোন বাংগালী কমুনিটি নাই, বলতে গেলে আমি অনেকটাই একা। একজন মুসলিম ইন্ডিয়ান বন্ধু আছে নাম মুহাম্মদ হুসেন, একই ভবনে থাকি।
সে আমাকে ঈদের দিন তার রুমে দাওয়াত করেছিল, যদিও বেশ কিছুদিন ধরে তার সাথে একটু শিতল সম্পর্ক।
আমি ৬:৩০ এ নিয়মিত ঘুম থেকে উঠি, এলার্ম দেওয়া থাকে। কালকেও তাই উঠলাম। ২-১ ম্যসেজ পাঠালাম দেশে। মুহাম্মদ হুসেন কে মর্নিং ও ঈদ মুবারক জানিয়ে ম্যসেজ দিলাম, সেও আমাকে
রিপ্লাই করল এবং তারাতারি তার রুমে যেতে বলল।
তার পর প্রতিদিনের মত ব্রাশ, গোছল। ৮:৩০ এ তার রুমে গেলাম। সে রান্না করছিল, সে অনেক কিছুই রান্না করতে পারে।
তবে কালকে, সে সেমাই, হাইদ্রাবাদী বিরানী, চিকেন কারি রান্না করল। তার কয়েক টা ছবি তুললাম। রান্না শেষ হলে আমরা দুই জনে ২ রাকাত করে
নফল নামাজ পরলাম। নামাজ পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল এক অন্য রকম অনুভুতি। বলতে গেলে দীর্ঘ দের বছর পর ২ রাকাত নফল নামাজ পড়লাম।
এরপর খাবার পালা, হুসেন এর সাথে এক ফিলিপিনো কলিগ থাকে। তাকে ডেকে নিলাম এক সাথে খাব বলে।
রান্না খুবই সুস্বাদু হয়েছে, খেলাম মন ভরে। ২-১ টা ছবিও তুললাম। এভাবে কিছু সময় কাটালাম। তারপর বুঝলাম হুসেন এখন তার দেশে সারাদিন কথা বলবে বিশেষ করে
তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে। মেয়েটা ননমুসলিম হিন্দু, হুসেন বলেছে বিয়ের সম্ভাবনাও ১ %, কিন্তু কথা হয় ২৪ ঘন্টা। তার সাথে শিতল সম্পর্কের এটা প্রধান কারন, তার
যে কোন সময় তার রুমে গেলেই দেখতে পাই সে ভি,ও,আইপি তে কথা বলায় ব্যাস্ত।
যাই হোক, তার মনের আকুতি বুঝতে পেরে আমি তাকে ফ্রি করে দিয়ে, বেরিয়ে আসলাম। বললাম খুধা পেলেই আবার আসব।
আমি রুমে ইচ্ছা করেই নেট লাইন নেয় নাই। এমনিতেই ঘুমাই ১২ টাই ণেট লাইন থাকলে ঘুমই হবে না!
এর পর গেলাম সাইবার ক্যফে তে, ভবনের নিচ তলায়। ২ ঘন্টা এটা সেটা করলাম, ম্যাথা ধরে গেল। তাছারা গত দুই দিন
শরীর টা একটু খারাপ, ঠান্ডা লেগেছে জ্বর জ্বর ভাব।
ক্যফে থেকে গেলাম রুমে, গান শুনতে শুনতে ঘুম দিলাম। ঘুম ভাংলে দেখি প্রায় ৪ টা বাজে। খুধা পেয়েছে। গেলাম হুসেন এর রুমে ও বোধহয় কথা বলছিল!
আমি ফ্রিজ থেকে বের করে খেয়ে নিলাম। হুসেন বলল সে রাতে রুটি খাওয়াবে, আমি ok বলে বেড়িয়ে আসলাম। আবার ক্যাফেতে গেলাম ২ ঘন্টার জন্যে। তার পর দেশে কয়েক মিনিট কথা বললাম।
আবার রুমে ফিরে ঘুম। এবার সন্ধ্যা পেড়িয়ে গেল। আবার তার রুমে গেলাম, বসে কিছু সময় কাটালাম। সে রেডিমেড রুটি সেকলো। একত্রে মজা করে খেলাম। খাবার পর কিছু সময় আড্ডা দিলাম। ১০ টা বেজে গেল।
ঈদ মোবারক জানিয়ে রুমে আবার ফিরে এলাম...ঈদের দিনও শেষ হয়ে গেল। ভালই লাগল, ভালই কাটল।