বলতে গেলে গত দুইদিন এপার্টমেন্ট বিল্ডিং এ পানি নাই! পাশের একটা কন্সট্রাকশন কাজ চলার সময় দুর্ঘটনায়
আমাদের বিল্ডিং এর পাইপ লাইন ভেঙ্গে গেছে! সঙ্গে সঙ্গে ওরা নোটিস দিয়ে সবাই কে জানিয়ে দিয়েছে এবং সবসময় আপডেট দিচ্ছে।
গত রাতে তবুও সামান্য ট্যাঙ্কের পানি পেয়েছিলাম। তাছারাও গতকাল ফায়ার সার্ভিস দিয়ে
কিছু পানির ব্যাবস্তা করেছিল। কিন্তু ৩৬ তলা এপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর সবার জন্য এভাবে পানির ব্যবস্তা করা কতক্ষন সম্ভব! তাই আজ রাতে কিছুই
পেলাম না। গত সন্ধ্যা বেলায় জিজ্ঞেস করেছিলাম, কখন সব কিছু ঠিক হবে! বলেছিল আজ সকাল ৫:৩০ মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে,
তারা রাত দিন কাজ করছে! শুনে অন্তত খুশি হলাম এবং ভাবলাম ঠিক আছে, আমার হয়ত রাতে পানির দরকার পড়বে না,
সকালে পেলেই চলবে। কিন্তু সকালে উঠে দেখি, কোন পানি নাই! সর্বনাশ ! এখন কি হবে! গেলাম নিচে...রিসেপশনে, জিজ্ঞেস
করলাম, কি ঘটনা! বলল সকাল ৯ টার মধ্যে ঠিক হবে, এখনো ঠিক করতে পারে নাই। এদিকে আমার মাথা ধরে গেছে,
গোছল করতে হবে, ব্রাশ আরও অনেক কিছু! ৯ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা অসম্ভব। কি করা যায়...কি করা যায়...ভাবছি।
দেখলাম কয়েকজন ছাদের মাথা থেকে ২-১ বালতি করে পানি আনছে। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম, ছাদের সুইমিং পুল থেকে পানি আনা হচ্ছে!
যাক বাবা, বাচা গেল! কিছু পানি হয়ত এবার পাওয়া যাবে! গেলাম বালতি নিয়ে, হাফ বালতি আনলাম, ব্রাশ ও আরও কিছু সারলাম।
আবার গেলাম, ১ বালতি আনলাম। গোসলও সেরে ফেললাম। বুঝলাম কম থাকলে মানুষ কিভাবে অল্পতে ম্যনেজ করে! আমার
মাত্র দেড় বালতি পানিতে সব কিছু সুন্দর ভাবে হয়ে গেল কিন্তু অন্যদিন ৫ বালতিতেও হয় না!যদিও এই রকম দুর্দশার অভিজ্ঞতা
আমার আগেও ছিল। ঢাকাতে ২-৩ বার এবং ইন্ডিয়াতে ১-২ বার।
বিদ্যুত আর পানির প্রোয়জনীয়তা ভিন্ন রকমের। বিদ্যুত ছাড়া তবুও একটু চলা যায় তবে পানি ছাড়া চলা একেবারেই অসম্ভব!
একানে অন্ধকারে মোমবাতিতে থাকার অভিজ্ঞতা ২-৩ বার আছে। বক্স থেকে সময়মত বিদ্যুত বিল কালেক্ট করতে ভুলে গিয়ে বিপত্তি।
অফিস থেকে রুমে ফিরে দেখি বিদ্যুত নাই! কারন, সময় মত বিল দেওয়া হয়নি। আমার বিল অফিস থেকেই দেয় কিন্তু আমাকে বিলের
কাগজ বক্স থেকে কালেক্ট করে অফিসে জমা দিতে হয়। এই রকম ২-৩ বার হবার পর থেকে অফিস থেকে বুঝে গেছে তাই আমাকে বার বার বিল কালেক্ট করার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তাই এখন আর সমস্যা হয় না।