আমি ফিলিপিনে দীর্ঘ সময় থাকার পরিকল্পনা নিয়ে আসি নাই। তখন এখানে কিছুদিন থেকে জাপানে চলে যাব ভেবে এসেছিলাম!
আজ প্রায় ১ বছর ৬ মাস হলো ফিলিপিনে এসেছি,এখন যাবার সময় হয়েছে।
ঢাকা থেকে চিকুরিটা পেয়েছিলাম,তখন ভেবেছিলাম পুরো বিনা খরচে যখন যেতে
পারছি তখন নেপাল,ভুটান হলেই বা ক্ষতি কি! একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চয় হবে!
সত্যি বলতে আজ বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, ভিন্ন দেশ, ভিন্ন কালচার কাছ থেকে
দেখার অভিজ্ঞতা আর তাদের সাথে মেশার ও কাজ করার অভিজ্ঞতা। বড় কথা হলো নিজেকে টিকিয়ে রাখার
সংগ্রামী অভিজ্ঞতা। বাইরে থাকার অভিজ্ঞতা আমার আগেই ছিল,যদিও আমি ইন্ডিয়াতে কয়েক বছর থেকে
পড়াশুনা করেছি, সেখানেও এখানকার মতই অনেক সুন্দর সৃতি রয়েছে । অনেক কষ্ট,আনন্দ ও মজ়ার সৃতি রয়েছে আরও রয়েছে
অনেক স্নেহ ভালবাসা পাবার গল্প। কিন্তু ওগুলা এখন বেশ পুরানো হয়ে গেছে আর হয়ত লেখা সম্ভব নই।
যাইহোক, এই পোষ্টে ফিলিপিনের অনুভুতি ও ব্যক্তিগত কিছু কথা বলতে চাই:
ইন্ডিয়াতে থাকা আর এইখানে ফিলিপিনে থাকা অনেকটাই ভিন্ন, কেননা ইন্ডিয়ার কালচার
পুরটাই আমাদের মত, খাবারও একই , তাছারা ওখানে দেশীয় অনেক বন্ধু ছিল। এখানে এসে কাউকে
পাইনি, খাবারও পুরা ভিন্ন। যদিও এরা ৪ বেলা ভাত খাই, কিন্তু তরকারির প্রধান আইটেম হলো পোর্ক(শুকর)।
ফুড সপ গুলাতে ১০ টা তরকারি সাজানো থাকলে তার মধ্যে ৭ টা হয়ত পর্ক দিয়ে তৈরি, এছারাও এরা চিকেন, বীফ, সব্জীও
খাই তবে পর্ক ই এদের বেশি প্রিয়। তবে কে-এফ-সি, ম্যাকডো'র মত ফুড শপ গুলোতে চিকেন এর প্রাধান্য বেশি।
আর বেশির ভাগ তরকারি ঝাল ছারা অথবা খুব কম ঝাল দিয়ে রান্না।
অনেক তরকারি আছে শুধু পানি,লবন ও টক দিয়ে রান্না।
তবে এখন অনেক গুলো তরকারির সাথে পরিচয় হয়ে গেছে, তাই পানি তরকারি এখন খুব খারাপ লাগে না!
সকাল বেলা কেক খেয়ে থাকি, দুপুর বেলা ফুডশপ গুলোতে খায়, আমার এসিটেন্ট ম্যানেজার প্রায় প্রতিদিনের খাওয়ার সঙ্গী। দুইজন একসাথে যায়।
আমার এপার্টমেন্ট এ আমি একা থাকি, কাজেই রাতের বেলা রুমে এটা সেটা সব্জী রান্না করে খায়।
এই পোষ্টে মন্তব্য নিঃপ্রয়োজন, মন্তব্য না করলেই ভাল!ড়ছি
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪২