somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেউ ফিরেনা খালি হাতে, মোড়লদের দরবার থেকে :মোহাম্মদ শাহজালাল তরফদার

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেউ ফিরেনা খালি হাতে, মোড়লদের দরবার থেকে
মোহাম্মদ শাহজালাল তরফদার
ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশন্যাল এর রিপোর্টমতে গত ক’বছর পূর্বে আমাদের বাংলাদেশ টানা পাঁচবার দূর্নীতিতে বিশ্বসেরা হবার ঈর্ষনীয় মহাগৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল বহুবিধ কর্মতৎপরতার মাধ্যমে! বর্তমান আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতা চলছে এগিয়ে যাবার। এ তুমুল প্রতিযোগিতায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ক্রমান্বয়ে শীর্ষস্থানটি থেকে একটু নেমে ১২তম স্থানে নাকি আসতে সক্ষম হয়েছিল। গ্রীনেজ বুক অফ ওয়াল্ড রেকর্ড এর কর্তা ব্যক্তিরা বাংলাদেশের পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমাটি সেখানে প্রতিস্থাপন করেছেন কি না জানিনা। তবে প্রস্তাব হলো দেশতো কোন অপরাধ করে না, তাই দেশের নাম না লিখে যারা এজন্য দায়ী তাদের শানদার নামটি যত্ন করে সেখানে লিখে রাখাই উত্তম। আমরা সাধারণতঃ ঘুষ, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, লুটপাট ও স্বজনপ্রীতির জন্য দায়ী করি চৌকিদার বা কেরানী থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন সচিব পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিদের। আবার কেহ কেহ মেম্বার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, এম.পি মন্ত্রীদের পর্যন্তও দায়ী করে থাকি। কিন্তু আমাদের দেশের এককালের মহৎ গুণাবলীর অধিকারী ন্যায়ের প্রতীক সালিশ বিচারক গ্রাম্য মোড়লরাও বর্তমানে বিড়ি, চুরট, লাল চা, দুধ চা থেকে শুরু করে নগদ অর্থ উৎকোচ হিসেবে গ্রহণ করে উল্টা পাল্টা বিচার করেন এবং ন্যায়কে অন্যায় ও অন্যায়কে ন্যায়ে পরিণত প্রায়ই করেন। এ বিষয়টা প্রায় সবারই জানা থাকলেও পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হয় কম। তবে দূর্নীতির এ মহাপ্লাবনে হাতেগোনা কিছু লোক এখনও ন্যায় নিষ্ঠা ও সততা বজায় রেখে চলছেন নিতান্ত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেও।

গ্রামের বিচার সালিশ পঞ্চায়েত মুরব্বী মাতবর পাঁচগাঁও সাতগাঁও বিশগাঁও পরগনা পাড়া আমানত খেয়ানত মুচলেকা ইত্যাদি শব্দের সাথে আমাদের দেশের বিশেষ করে গ্রামবাংলার সকলেই কমবেশী পরিচিত। গ্রাম্য সালিশী বিচার ব্যবস্থা আমাদের পূর্ব পুরুষের আমলেও ছিল হাল আমলেও বহাল তবিয়তে আছে, তবে এর মডিফাই হয়েছে। আগেরকার গ্রাম্য সালিশী বিচার সাধারণতঃ সাদা দাঁড়িওয়ালা বয়স্ক মুরব্বীয়ানরা করতেন। তারা অনেকেই লাঠি (ছড়ি) ভর করেই বিচারের আসরে আসতেন। বিচারের আসরে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে থাকতো বিভিন্ন ধরনের, চুরুট, বিড়ি, মিস্কার, সিগারেট প্রভৃতি। মোড়লরা আয়েশের সঙ্গে হুক্কায় গুড়–ম গুড়–ম টান দিতেন আর বিচার কার্য্য পরিচালনা তথা বাতচিৎ করতেন ভেবেচিন্তে। কথায় কথায় পই প্রবাদ ছিল্লক (প্রবাদ প্রবচন) তো বলতেনই কথা প্রসঙ্গে হাল ও পুরনো আমলের বিভিন্ন ধরনের উপমা এবং মিনি সাইজের পুরনো কিচ্ছা কাহিনীও উপস্থাপন করতেন অত্যন্ত রসালো ভাবে। সে সব আচার বিচারে এখনকার মতো কম বয়সের (বাচ্চা) মুরব্বীদের দাপট ও সুযোগ তেমন ছিলনা এবং ঘুষের প্রচলনও তেমন ছিলনা বললেই চলে। বিচার কার্য্যে যথেষ্ট সততা ছিল, তাই মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার পেত। অধিকন্তু বয়স্ক বিচারকদের মনে এচিন্তা বদ্ধমূল ছিল যে ‘এক পাও কবরে আর এক পাও কবর পারে' দাঁড়ি গোফ সাদা হয়ে যাওয়ায় বুড়ো বয়সে বে-ইনসাফী বিচার করলে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। তবে যতদূর শুনা যায় তৎকালে কোন কোন এলাকায় সবাই চেয়ারে বসতে পারতেন না। বংশের একটা রেওয়াজ ছিল প্রকট। যিনি উচ্চ বংশের লোক ছিলেন, তিনি চেয়ারে বসতেন, আবার তথাকথিত নিম্ন বংশের লোক স্তর অনুযায়ী বেঞ্চে, খাটে, চাটাইয়ে এমনকি মাটিতেও বসতেন। তখনকার সময়ে ধনী তথা জমিদারদের দাপট ছিল বেশি। যার বংশ যত বড় তথা যার লাঠি যত গরম তার কথা বেশি প্রাধান্য পেত এবং এধরনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিচারে না আসলে বিচারকার্য্য ব্যাহত হত বা আটকে থাকত। তবে আগেকার সালিশী বিচারকার্য্য যারা পরিচালনা করতেন তাদের কথার মূল্য ও ওজন ছিল। এখানে এক কথা আবার ওখানে আরেক কথা বলতেন না। কারো মুখের দিকে চেয়েও কথা বলতেন না। এক কাপ চা বা এক খিলি পান খেয়ে বিক্রি হয়ে যেতেন না। দাওয়াত দিয়ে আসলেই নির্দিষ্ট সময়েই চলে আসতেন বিচারের আসরে।। বার বার গিয়ে তৈল মর্দন ও তোষামোদ করতে হতোনা।

বর্তমান গ্রাম্য সালিশী বিচার কার্য্য আগের তুলনায় অনেকটা মোডিফাই হয়ে ভিন্নরূপ ধারন করেছে এবং মারামারিও আগের তুলনায় যথেষ্ট পরিমানে বেড়েছে। ব্যক্তিগত বা বংশগত মারামারি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক হানাহানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানের বিচারক বা মুরব্বীদের সিংহভাগের মধ্যে দুরবীণ দিয়ে সততা খুজে পাওয়া মুশকিল হলেও আগের মতো সৎ বিচারক অত্যান্ত স্বল্প সংখ্যক হলেও আছেন এবং হক কথা বলেই যাচ্ছেন। তবে ভেজালের ভীড়ে তারা নিতান্ত কোনঠাসা হয়ে আছেন।
বিচার আচার সংগঠিত হওয়ার পেছনে দুপক্ষের বিরোধ ঝগড়া বা মারামারির সম্পর্ক থাকতেই হয়। যেমন কারো জমিতে অন্যের গরু, ছাগল ধান বা সবজি খেয়ে সাবাড় করলো, কারো জমির আইল কেটে দেয়া হলো, কারো স্ত্রীকে তালাক দেয়া বা স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াঝাটি, কারো কোন কিছু চুরি হওয়া বা জোর করে নিয়ে যাওয়া অথবা পাড়ার মসজিদে ইমাম সাহেব বা মুয়াজ্জিন সাহেব নিয়ে দাবার গুটি খেলা, এলাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রতিহিংসা, ভাই ভাইয়ে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ইত্যাদি নানা বিষয় ও ইস্যূ নিয়ে প্রায় সময়ই শুরু হয় মারামারি, ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি, টানাটানি, ডাকাডাকি, লুঙ্গী উপরে তুলে বা কাছা দিয়ে গালিগালাজ ইত্যাদি। পরক্ষনে হাক ডাক চিল্লা চিল্লি শুনে অথবা সংঘর্ষের খবর পেয়ে মুরব্বীরা (যারা এলাকায় সালিশী বিচারকার্য্য করেন) উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে বিচারে বসতে রাজি করান। যখন উভয় পক্ষ বিচারে বসতে রাজি হন, তখন তাদেরকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা জামানত দিতে হয় নির্দিষ্ট এক মুরব্বীর কাছে বা গ্যারান্টি দিতে হয় বিচারের আগে আর কোন গ্যাঞ্জাম করবেনা উভয় পক্ষ। সংঘর্ষ যত বড় ধরনের হয় জামানতের টাকার অংকও ততো বেশি নির্ধারন করা হয়। তখন জামানতদার বা আমানতদার নিয়োগ করা হয় একজনকে। তাঁর কাছে বিচারের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ধার্য্যকৃত টাকা জমা দিতে হয় এবং তাঁকেই সাধারনত দরবারের সভাপতি নিয়োগ করা হয়। জামানত নেয়ার উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষকে বাউন্ড করা যাতে ওরা মুরব্বীদের রায় মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং তাদের কব্জা থেকে ছুটে যেতে না পারে। এরপর সময় সুযোগ মতো উভয় পক্ষকেই মোড়লদের বাড়ী বাড়ী বার বার ধর্না দিয়ে তৈল মর্দন করতে হয়। পঞ্চাইতের লোকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বার বার ইনিয়ে বিনিয়ে দাওয়াত দিতে হয়। তবে টাকার জোর ও লাঠি গরম হলে ভিন্ন কথা। যে সকল মুরব্বীদের সাথে খাতির আছে তাদের সাথে আরও ভালভাবে খাতিরানা ঝালাই করে বুদ্ধি শুদ্ধি নিতে হয়, মিল মহব্বত আরও বাড়াতে হয়, টাকা- পাওনা থাকলে চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। তবে এখনকার সালিশী বিচারে কম বয়সী ছাওয়াল বা বাচ্চা মুরব্বীরাই বেশি সক্রিয়। আগের মতো বয়স্কদের তেমন একটা প্রাধান্য নেই। যে কোন পক্ষই পরামর্শের জন্য মোড়লদের কাছে গেলে তাকে একটা না একটা বুদ্ধি বাতলিয়ে দেয়া হয়, যাকে বলে “কেউ ফিরেনা খালি হাতে, মোড়লদের দরবার থেকে ’’। সামনাসামনি হক কথা নিতান্ত কমই বলা হয়, কারণ ‘‘গরম ভাতে বিলাই বেজার’’ বলে কথা। অনেকেই নগদ টাকা, কেহবা এক কাপ চা, আবার কোন কোন মোড়লকে বাজারের বড় মাছ খরিদ করে দিয়ে নিজের পক্ষে টানতে হয়। সিংহভাগ বিচারকই “চোরকে বলেন চুরি কর, আর গৃহস্থকে বলেন সজাগ থাক’’। কারণ পকেটে মাল ঢুকলে এগুলাতো কোন এক উপায়ে হালাল করতে হয়। গ্রাম্য বিচারের মাধ্যমে টু-পাইস কামানো বর্তমানে এক রকম রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে। কোন কোন বিচারকরা এ অপেক্ষায় বা এ প্রচেষ্টায় থাকেন, কিভাবে ঝগড়া বিবাধের মাধ্যমে বিচার কার্যের জন্য দরবার দাঁড় করানো যায়। কেহবা ঝগড়া বিবাধ সৃষ্টি করতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়তেও কসুর করেননা এবং এটা কারো কারো নেশা ও পেশাও বঠে। অনেকেই বিচারের দাওয়াত পাওয়ার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকেন দারুন আগ্রহভরে। কারণ প্রচুর সম্মানতো পাওয়া যাবে, সাথে চা-বিস্কিট, সিগারেট বা বিড়ি ইত্যাদি ভাগ্যে জুটবে বিনা মেহনতে। সুবিধে করতে পারলে ঘুষ অর্থাৎ হাছা মিছা কথা বলতে পারলে বড় আকারের মাসোয়ারা পাওয়া যাবে, কারন সংসার যে মোড়লদের এখন এই ধরনের টুপাইস কামাই দিয়েই চলে।

বিচার বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় যদি থাকে সন্ধ্যা সাতটা তবে আরম্ভ হবে রাত দশ-এগারোটায়। মোড়লদের কদর ওই সময় হয়ে যায় আকাশচুম্বী। বার বার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াততো দিতেই হয় এবং সময়মতো তাকে বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসতে হয় গাড়ি বা রিক্সা দিয়ে। মোবাইল ফোনে রাখতে হয় ঘন ঘন যোগাযোগ। যিনি যত বিলম্বে আসবেন তাঁর দাম ততো বেশী, তিনি ততো বড়ো মোড়ল বলেই যেন মনে করেন নিজেকে।
সবাই বিচারের আসরে চলে আসার পর নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক ঘন্টা পর পূর্বনির্ধারিত জায়গায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিবাদীর বা তৃতীয় কারো বাড়ি কিংবা সুবিধাজনক স্থানে শুরু হয় কাঙ্খিত বিচারকার্য। উভয় পক্ষের জবানবন্ধি গভীর মনোযোগের সাথে শোনা হয় প্রথমে। নির্দিষ্ট সময়ে স্বাক্ষীদেরও জবানবন্দি নেয়া হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে পক্ষ বা স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্ন ভংগীমায় জেরা করা হয়। পূর্ব থেকেই যার টাকা বেশী ও লাঠি গরম, আধিপত্য বা প্রতিপত্তি বেশি তার পক্ষে থাকেন বেশির ভাগ মোড়ল আর গোপনে বিচার তারঁ পক্ষেই পাকা হয়ে থাকে। ন্যায়কে অন্যায় আর অন্যায়কে ন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ওদিকেই নজর দেয়া হয় গভীরভাবে ‘‘জিলাপীর প্যচ’’ খ্যাত কুটবুদ্ধির মাধ্যমে। কিন্তু উভয় পক্ষ সমান সমান হলে যার যার খাতিরের মুরব্বী তাদের পক্ষাবলম্বন করে শুরু হয় বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য, বাক বিতন্ডা, অনেকটা আদালতের উকিলদের মতো। আদালতে উকিলরা কথা বলেন হাকিমের অনুমতিক্রমে আর সেখানে সমবেত লোকজন কথা বলেন পূর্বনির্ধারিত সভাপতির অনুমতিক্রমে। মাঝে মধ্যে ব্যতিক্রমও ঘটে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারের আসরেই এলোমেলো কথা কাটাকাটির এক পর্য্যায়ে ডাকাডাকি, হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি, কুস্তি, ভয়বহ সংঘর্ষ বা বিচার ভন্ডুল হতেও দেখা যায়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পাল্টা তারিখ পড়ে। এভাবে বিভিন্ন তারিখে তারিখে মুরব্বীদের কাছে গিয়ে ধর্না দিতে হয় আর খাটি সরিষার তৈল বা গাওয়া ঘি মালিশতো আছেই। কেহ কেহ লম্বা তারিখের সুযোগে জমাকৃত টাকাগুলো বিনিয়োগ করেন ব্যবসা বাণিজ্য বা অন্য কোন খাতে। এদিকে বাদী-বিবাদী ঐ সব বিচারকদের দ্বারে দ্বারে হাটতে হাটতে স্যান্ডেলের তলার বেশির ভাগ ক্ষয় করেন, অনেকের পায়ের তলায় ঠুঁসাও পড়ে।

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যে সকল মসজিদে ইমাম সাহেবরা ইমামতি করেন তারা বড় অসহায়। সামান্যতম ভাতা পেয়েই চলতে হয়, আবার খতম-টতমের দাওয়াত ঠিকমতো পেতে হলে সবার সাথে সু-সম্পর্ক রাখতে হয় হেকমতের সাথে। কেরামতি না জানলে কোন সময় যে ইমামতি যায় তার কোন হদিস নেই। প্রায় গ্রামেই কিছু সংখ্যক বেকার ক্রিমিনাল থাকে যারা কোন একটি সংঘর্ষ বাঁধাতে পারলেই বেজায় খুশি। তাদের কদর বাড়বে, লোকজন তাদের কাছে বারংবার ধর্না দেবে এবং সেই ফাকে পকেটটাও গরম করা যাবে। মাঝে মাঝে অসহায় হয়ে পড়েন হুজুররাও।

গ্রাম্য সালিশী বিচার ব্যবস্থায় কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। কারণ আপোষ নিস্পত্তিতে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারলে উভয় পক্ষেরই কল্যাণ হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আদালতে গিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও কোন সুরাহা তো হয়ই না বরং ঘাটে ঘাটে চেলা চামুন্ডাদের পকেট ভরতে ভরতে নিরুপায় হয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষই বিচার পেয়ে ঘরে ফিরেন কিছু সৎ খোদাভীরু এবং যোগ্য বিচারকদের কারনে। সুযোগ সন্ধানী খারাপ গ্রাম্য পেশাজীবী মোড়লদের মুখ কালো থাকে অন্তরজ্বালায় এবং বিরোধ নিস্পত্তিকারী ব্যক্তিকে মনে মনে ভৎসনা করতে থাকে। দিন দিন বিচার আচারে সততা বিলুপ্ত ও আমানতের ব্যাপক খেয়ানত হওয়ায় আমাদের দেশে প্রায়ই গ্রামে গঞ্জে পাড়ায় মহল্লায় মারাত্মক কোন্দল দেখা দেয়। যার সুযোগে অপরাধীরা আস্কারা পেয়ে যায়। এজন্য সমাজে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, হাইজ্যাক, চাঁদাবাজি, ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ, ইভটিজিং, হত্যা, লুন্ঠন, গুম, মারামারি ইত্যাদি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×