ওসামা বিন লাদেন মাত্র কয়েক বছর আগেও মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের একটি নাম ছিল । তার কর্মকাণ্ডে মানুষের রাতের ঘুমও হারাম হয়ে গেছিলো। শুধু বিদেশেই না আমরা বাঙ্গালীরা যে লাদেনকে ভয় পেতাম না তেমনও না কিন্তু । আর সেই লাদেনের সম্পর্কে অনেকেরই রয়েছে অনেক কৌতুহল । আর তার মৃত্যুর সম্পর্কেও নানা দ্বিধা রয়েছে মানুষের মনে। সেই মানুষটি সম্পর্কে কয়েকটি অজানা তথ্য নিয়ে এ আয়োজন।
১। লাদেনের অ্যাবোটাবাদের বাড়ির বাগানে নানারকম সবজি চাষ হতো। আলু, কপি ছাড়াও ওই তালিকায় ছিল গাঁজা। প্রচুর পরিমাণে গাঁজার চাষ হতো ওসামার বাড়ির বাগানে। লাদেনের মৃত্যুর পর ওই বাগান থেকে ১০ লাখ টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মনে করা হয়, এই গাঁজার চাষের পিছনে কারণ ছিল ড্রাগের ব্যবসা। পশ্চিমী দেশগুলোর সঙ্গে বিশাল টাকার আদানপ্রদান চলত এই গাঁজার বিনিময়ে।
২। গানের সঙ্গে লাদেনের সম্পর্কটা মোটেও ভাল ছিল না। গান তিনি একদম পছন্দ করতেন না। তার কাছে গান হলো `ফ্লিউট অব ডেভিল’। কিন্তু তার সবথেকে পছন্দের নারী ছিলেন একজন গায়িকা। মার্কিন পপস্টার ব্রিটনি হাউটন। ব্রিটনি হাউটানকে নিজের স্ত্রী বানানোর জন্য তিনি যে কোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন। এমনকি একসময় তিনি বড় অঙ্কের টাকা খরচ করেছিলেন ব্রিটনির সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য।
৩। লাদেনের এক দেহরক্ষী জানান, তিনি নাকি খুব ভাল ভলিবল খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবলও তার খুব পছন্দের ছিল। তিনি ছিলেন আর্সেনালের ভক্ত। পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে ম্যাচও দেখতে যেতেন।
৪। লাদেনের অন্যতম দুর্বলতা ছিল পর্নগ্রাফি। প্রচুর পরিমাণে পর্ন দেখতেন তিনি। লাদেনের মৃত্যুর পর তার ঘর থেকে যে হার্ড ড্রাইভ পাওয়া যায়, তা থেকে প্রচুর পর্ন ছবি পাওয়া গিয়েছিল।
৫।ছাত্র হিসেবে ছোট থেকেই খুব ভাল ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। স্কুলের পর তিনি পড়াশোনা করেছিলেন অর্থনীতি নিয়ে। পরে পড়েছিলেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইকনোমিক্স। অর্থনীতিটা খুব ভাল বুঝতেন বলেই বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন হয়তো।
তথ্যঃ ইন্টারনেট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫০