মা: তোমার বাবা কে?
ছেলে: আমি জানি না।
একজন পুরুষ দেখিয়ে বলল, "এই মানুষটি তোমার পিতা"।
ছেলে বলল, "আমি মানি না"।
এভাবে মা যতই বলতে লাগল, ছেলেটি ততই বলল, "আমি মানি না"।
কিন্তু কেন?
মা ছেলের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট মিনিস্টার আদালতে একটা মামলা রুজু করল।
এই বিষয়ে সমাধান দেওয়ার জন্য।
অনেক বার শুনানি হল।
এবার আদালতের বিচারক বলল, "তোমার মা বলছে এই পুরুষটা তোমার পিতা, তুমি মেনে নিলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়"।
ছেলে কান্নাজড়িত কন্ঠে আদালতকে বলছে, "মহামান্য আদালত, পশ্চিমা দুনিয়ার এই জগতে আমার মা তো কত পুকুরের পানিতে ডুব দিয়ে গোসল করেছে, কোন পুকুরের পানিতে আমার মায়ের সর্দি লেগেছে তা আমি কি করে বুঝি?"
হতবাক আদালত।
সাংঘাতিক কথা।
মানবতা এর চেয়ে বড় অপমান, অবমাননা আর কি হতে পারে?
আদালত সেদিনের মতো আদালত মুলতবি ঘোষণা করার সময় মহিলাটিকে বলছে, "ছেলের সন্দেহ ঠিক। এই পুরুষটা যে তোমার স্বামী এটার স্বপক্ষে কি কি প্রমাণ আছে তা আদালতে পেশ কর"।
মহিলাটি বলছে, " মহামান্য আদালত, এটা কি করে প্রমাণ করি, এটাতো সম্পূর্ণ ইনডোর গেম, আদালতে পেশ করার মতো কোন বিষয়তো এটা না।"
আদালত বলছে, "আদালত স্বাক্ষী ছাড়া মামলার রায় দিতে পারে না, আপনাকে লিখিত প্রমাণ পেশ করতে হবে"।
আদালত মহিলাটিকে বলল, "ছেলের দাবি ঠিক আছে, এই পুরুষ ছেলেটির পিতা না ও হতে পারে, তুমি প্রমাণ পেশ করতে পারছ না"।
আদালত বলল ঠিক আছে। এই পুরুষটির মেডিকেল টেস্ট করা হোক। মেডিকেল টেস্ট করার পরে দেখা গেল এই পুরুষটি ছেলেটির পিতা নয়।
এভাবে আরো কয়েকটি শুনানি অনুষ্ঠিত হল। এবং প্রতিবার একজন করে পুরুষ হাজির করা হল। এবং তাদের মেডিকেল টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে তিনজনের পরীক্ষা করা হলেও পিতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
চতুর্থ যে পুরুষটি মা দেখিয়ে দিল, মেডিকেল টেস্ট করার পর প্রমাণিত হল এই চুতর্থ পুরুষটিই ছেলেটির পিতা।
আদালত এবার ছেলেটিকে বলল, "তুমি এবার এই চতুর্থ পুরুষটিকে পিতা বলতে অবশ্যই বাধ্য।"
ছেলেটি বলছে, "মাহমান্য আদালত, চারবার রক্ত পরীক্ষা করে যদি পিতা বের করতে হয়, এমন পিতার আমার দরকার নাই, বিনা পিতাতেই আমি ভাল আছি।"
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৪২