
দেশে স্বাধীন করেছিলো দরিদ্র শ্রেণী: ছাত্রদের মাঝে গরীব পরিবারের ছাত্ররা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, শ্রমজীবির মাঝে গিয়েছিলো কৃষি ও কায়িক শ্রমের লোকজন, আনসারেরা ও ইপিআর'গণ দরিদ্র পরিবারের মানুষ ছিলেন, বেংগলের সৈনিকেরা ছিলেন দরিদ্র ঘরের মানুষ; এরাই মুল যুদ্ধ করেছেন।
যুদ্ধের পর, বেংগলের সৈনিকেরা আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে যান; ইপিআর'এর কিছু মানুষকে সেনাবাহিনীতে নেয়া হয়; আনসারের লোকজনও পুলিশ ইত্যাদিতে চাকুরী পেয়েছেন। কিন্তু সম্পর্ণ খালি হাতে ফিরেছেন কৃষি শ্রমিকেরা ও ছাত্ররা।
যুদ্ধের পর, অনেক ছাত্র পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। কৃষি শ্রমিকেরা তাঁদের আগের সেই অভিশপ্ত জীবনে ফিরে যান। কিন্তু কেহই যুদ্ধে অবদানের জন্য কিছুই পাননি। শেখ ও তাজউদ্দিন ২ জনেরই মাথায় তেমন বুদ্ধি ছিলো না।
১৯৭২ সাল থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের পেনশন দেয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু শেখ ও তাজউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
২০০৯ সালে, শেখ হাসিনা সব মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেন; বেশীরভাগ মুক্তিযো্দ্ধা তখন বেশ বয়স্ক; এই সাহায্যটার খুবই দরকার ছিলো। কোন বাংগালীর মাথায় ইহা আসেনি ও যখনই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১ পয়সা দেয়া হয়েছে, তখনই সব বাংগালীরা ইহার বিরোধীতা করেছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




