somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোরআন-হাদিস অনুযায়ী তারা পাকিস্তান এবং অন্যরা অন্যদেশ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সহিহ মুসলিম, ২৩২৬ নং হাদিসের (দানের ফজিলত) অনুবাদ-
২৩২৬। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত আলী (রা.) ইয়ামান হতে কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট প্রেরণ করলে তিনি তা’ চার ব্যক্তি যথা –(১) আকরা ইবনে হাবিস (২) উয়াইনা ইবনে বদর আল ফযারী (৩) আলকামা ইবনে উসালা আল আমিরী ও (৪) বনি কিলাব সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করেন। এরপর তায়ী সম্প্রদায়ের যায়েদ আল খায়ের ও বনী বাহনান সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে এ হতে দান করেন। এতে কোরাইশ গোত্রের লোকেরা ক্ষেপে গিয়ে বললেন, আপনি কেবল নজদের নেতৃস্থানীয় লোকদের দান করেছেন আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন, এটা কেমন ব্যাপার? একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি তাদের শুধু চিত্তাকর্ষণ অর্থাৎ তাদের অন্তরে ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও অনুরাগ সৃষ্টির জন্য দিচ্ছি। এমন সময় ঘণ দাড়ি, স্ফীতগাল, গর্তে ঢোকা চোখ, উচুঁ ললাট ও নেড়া মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে মোহাম্মদ! আল্লাহকে ভয় কর। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমিই যদি আল্লাহর অবাধ্য হই, তাহলে কে তাঁর বাধ্য ও অনুগত হবে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীদের জন্য আমানতদার হিসেবে প্রেরণ করেছেন, আর তুমি আমাকে আমানতদার মনে কর না? এরপর লোকটি ফিরে চলে যায়। উপস্থিত লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। লোকদের ধারণা, হত্যার অনুমতিপ্রার্থী ছিলেন খালিদ ইবনে ওয়ালিদ। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এর মূলে এমন একটি সম্প্রদায় রয়েছে যারা কোরআন পড়ে অথচ তাদের এ পড়া কন্ঠনালী অতিক্রম করে না। এরা ইসলামের অনুসারীদের হত্যা করে এবং মূর্তিপূজারীদের ছেড়ে দেয়। তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায় তারাও অনুরূপভাবে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়।আমি তাদেরকে পেলে এমনভাবে হত্যা করতাম যেভাবে আদ সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা করা হয়েছে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।

সহিহ তিরমিযী, ২২১৫ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২২১৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, খোরাসানের দিক থেকে কালো পতাকাবাহীগণ বের হবে (মাহদীর সমর্থনে)। অবশেষে সেগুলো ইলিয়া (বায়তুল মাকদিস) এ স্থাপিত হবে এবং কোন কিছুই তা’প্রতিহত করতে পারবে না।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের (আ.) সাথে থাকবে।

* আল্লাহর শত্রুকে ও নিজের শত্রুকে সন্ত্রস্ত রেখে তাদের থেকে আত্মরক্ষার শক্তি সঞ্চয়ের কারণে তারা পাকিস্তান।জীবাণূ থেকে আত্মরক্ষার সক্ষমতা অর্জন করলে তারা আরো সুসংহত পাকিস্তান হবে। আমাদের সাথে তাদের যুদ্ধে পশ্চিম বাদ পড়েছে।তাদের প্রাচ্য দেশ এবং খোরাশানের দিকে তাদের দেশের অবস্থান নিশ্চিত করতে এটার দরকার ছিল। নতুবা প্রশ্ন আসতো তাদের দেশের মাঝখানে মূর্তিপূজারীদের দেশ থাকার তবে মানে কি? হযতবা তাদের সাথে আমরা থাকলে আমাদেরকে সামলাতে গিয়ে তারা নিজেদের আত্মরক্ষার বিষয়টি জোরদার করতে পারতো না। হিন্দুস্তানের যুদ্ধ তাদের সাথেই হবে। উভয়দেশ পারমাণবিক দেশ বিধায় তাতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটবে। জাহান্নাম মুক্তির হাদিসের কারণে অবশেষে এ যুদ্ধে সমগ্রবিশ্বের জিহাদীরা একত্রিত হবে।অবশেষে পাকিস্তানের জয়ের মধ্য দিয়ে ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটবে। এদের মধ্য থেকেই ইসরাইল বিজয়ী দল বের হবে। আফগানরা খারেজী। কারণ তারা ইসলামের অনুসারীদের হত্যা করে এবং মূর্তিপূজারীদের ছেড়ে দেয়। প্রাচ্যের তাদের থেকে শক্তিশালী দেশ পাকিন্তান বিধায় ইমাম মাহদী পাকিস্তানী হবেন। বাংলাদেশের এমন সম্ভাবনা নাই।কারণ আমাদের শত্রুরা আমাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত নয়। তারা তাদের লক্ষ লক্ষ নাগরিক আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে রেখেছে।

বিশ্বে শুধু একটি দেশের নাম পাকিস্তান(পবিত্র ভূমি)।অন্য কোন দেশের নাম পাকিস্তান নয়। অন্য আরো তিনটি পবিত্র স্থান আছে তবে সেসব স্থানের দেশ সমূহকে পবিত্র বলা হয়নি। পাকিস্তানীরা তাদের দেশের নাম পাকিস্তান রাখলেও অন্য কোন দেশ তাদের দেশের নাম পাকিস্তান রাখেনি। আমরা আমাদের দেশের নাম পাকিস্তান থাকলেও ইনশাআল্লাহ বলে আমরা সেটা বাদ দিয়েছি।আর নিজের ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখতে শুথু তারাই সক্ষম হয়েছে।হিন্দুস্থান আল্লাহর শত্রু। কারণ তারা আল্লাহর ঘর মসজিদ ভেঙ্গে রামের ঘর মন্দীর বানিয়েছে। পাকিস্তানের শ্লোগান- ‘আল্লাহু আকবার’ হলেও তাদের শ্লোগান- ‘জয় শ্রীরাম’। হিন্দুস্তানের যুদ্ধ হিন্দুস্তানের কারণেই হবে। তারা পাকিস্তানকে হিন্দুস্থান বানাতে গিয়ে যুদ্ধ করে হেরেগেলে তাতে পাকিস্তানের কি দোষ? আল্লাহ মজলুমদের পক্ষে থাকেন বিধায় পাকিস্তানকে হিন্দুস্থান আক্রমণ করতে নিষেধ করব এবং তাদেরকে মানুষের জন্য ব্যাপক ক্ষতি যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে বলব। তবে উগ্রহিন্দুদের কারণে বাধ্য হয়ে যুদ্ধে জড়াতে হলে আত্মরক্ষার্থে অবশ্যই তাদের যুদ্ধ করার অধিকার থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×