কলমের কালি শুকিয়ে যাবার পর
তোমার আবির-রাঙ্গা ঠোঁটে লিখে দিব একটি অমর কবিতা- অধরের স্পর্শে।
কখনো কাঠফাটা রোদ্দুরের নীচে, কখনো ঝমঝম বৃষ্টিতে ভিজে,
কখনোবা কুয়াশাভেজা শীতের চাদরতলে- উদ্দাম উষ্ণতার বিনিময়ে,
বাতাসে দোল তোলা কাশবনের ধারে বসে কোন এক পড়ন্ত-স্নিগ্ধ-বিকেলে,
অথবা নির্জন জোনাক-জ্বলা রাত্তিরে ঝিঁঝিঁ পোকার সঙ্গীতায়োজনে,
কখনো পাখির নির্লজ্জ ডাকাডাকিতে ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে-
লিখে দিব অগুনতি কবিতা ঠোঁট আর কপাল ছাড়িয়ে আরো গহিনে-
শ্লীল অথবা অশ্লীল কামনার ঢেউ তুলে- দরিয়া-উপত্যকা-অরণ্যে।
কখনো ভিখারির মত করুণ চাহনিতে, কখনো তৃষ্ণার্ত পথিকের পিয়াস নিয়ে,
কখনো দুর্বৃত্ত-দস্যু হয়ে নির্মম-দুর্বার আলিঙ্গন-পেষণে,
প্রথম অধরস্পর্শের শিহরণ সুখ জাগিয়ে তোমার প্রতিটি রোমকূপে-
এঁকে দিব সিক্ত-চুম্বন-চিহ্ন ওই লাজুক অধরে।।
উৎসর্গ: আমার কবিতার এক মায়াময়ী রাণীকে