ফেসবুক পেজ দেহ হতে সংগৃহীত (কপি-পেস্ট)... মোদ্দা কথা হল, উন্নত দেশেই যদি আজো এমন অবস্থা বিরাজ করে তাহলে তো আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন সুদূরপরাহত!...
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
নারীরা কী চান? _এমন প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তর তো দূরের কথা, কোনো ভাবাদর্শিক সদুত্তরও আজ অবধি মেলেনি। নিছক দায়ে না পড়লে কেউ বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যান না। তবে হঠাৎ হঠাৎই বিষয়টি চলে আসে আলোচনায়। এবার আরেক দফা প্রশ্নটি উঠে এসেছে একেবারে উত্তরসমেত। নারীর মন কী চায়_এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন সময়ে উত্তর এসেছে, নারী চায় বড়লোক স্বামী। এ উত্তরকে লিঙ্গদোষে দুষ্ট হিসেবে বরাবর প্রত্যাখ্যান এবং নারীর জন্য রীতিমতো অবমাননাকর বিবেচনা করে এসেছেন লিঙ্গ-সচেতন ব্যক্তিরা। তবে এবার বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষাতেই জানা গেল, নারীরা সত্যিই চায় বিত্তবান পুরুষের গলায় ঝুলতে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের গবেষক ড. ক্যাথেরিন হাকিম এক গবেষণার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, নারীরা অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকাটা অপছন্দ করে_এমন ধারণা আসলে কল্পকথা ছাড়া কিছু নয়। নারীদের মধ্যে অধিকাংশই বড়লোক স্বামী প্রত্যাশা করে। এমনকি ১৯৪০-এর দশকের তুলনায় এখনকার আধুনিক নারীদের মধ্যে এ প্রবণতা অনেক বেশি। যেসব নারী চাকরি করে তারাও চায় তাদের চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করা কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে। ক্যাথেরিন বলেছেন, চার দশক ধরে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে সমতা আদায়ের আন্দোলনের পরও নারীর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতার ‘প্রবণতা’ এতটুকু কমেনি।
ড. ক্যাথেরিন তাঁর প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে লিঙ্গ-সমতা নিয়ে সামাজিক আন্দোলনের পর নারীরা রাজনৈতিক কারণে এটি স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করে। তবে এটি সত্য যে এখন নারীরা সফল চাকুরে হওয়ার তুলনায় বরং গৃহিণী হতেই বেশি আগ্রহী। ড. ক্যাথেরিন হাকিম আরো জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষরাই বড় বড় পদগুলোতে প্রাধান্য বিস্তার করে। এর কারণ হলো, অধিকাংশ নারীই পেশাজীবন দীর্ঘ করতে চায় না। অনেক রাজনীতিক নারীদের সমান সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সংখ্যায়ও সমতা আসবে বলে মনে করেন। আদতে এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজের ৫২ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ড. ক্যাথেরিন আরো জানিয়েছেন, এ-সংক্রান্ত আগের গবেষণাগুলোর চেয়ে আরো বিস্তৃত কাঠামোয় যুক্তরাজ্য ও স্পেনে জরিপ ও শুমারিসহ নানা উপায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন করা হয়। দেখা গেছে, এখনো নারীদের একটি বড় অংশ বিয়েকে নিজের ক্যারিয়ারের বিকল্প বা পরিপূরক হিসেবে দেখে। অধিকাংশ নারী তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও ধনী পুরুষদের বিয়ে করতে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াজুড়েও লক্ষ করা যায়।
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
[কপি-পেস্ট]