এক হল রুম। আট তলার উপরে। মোট ৬০০ জন মানুষ হেসে খোলে পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা। ছোটখাটো একটা স্টেডিয়ামও বলা চলে। কমপক্ষে লাখখানেক স্কয়ার ফিট। এই রকম একটা হল রুমে পরীক্ষা হবে দুইটায়। কাচের ফাক দিয়ে ইডেনের মাঠ ঘাট দিব্যি ভাল করে দেখা যায়। আর দেখা যায় পলাশীর কোলাহল।
পরীক্ষা শুরুর আগে নিচে তাকিয়ে দেখি অগুনতি মানুষ। রিকসার জট। কত সুন্দর সুন্দর ছেলেমেয়েরা ভালবাসার জন্যে রাস্তায় মেতেছে। ভালবাসা জিনিসটা ঘরে করার চেয়ে রাস্তায় দেখানোই বেশি মজাদার। আফসোস এখনো দেখাতে পারিনা। ভ্যালেন্টাইন ডে তে ভালবাসায় ব্যালেন্সহীন হয়ে পরীক্ষা দেই মাথা চুলকে চুলকে।
সকালে শব্দপুঞ্জ ভাই ফোন দিয়ে বলে একটা খুশির খবর আছে। বললাম ভাই দুইটা থেকে পরীক্ষা। খবরটা পরে বলেন। এখন বললে মন অন্যদিকে ঘুরে যাবে। পরে দেখা যাবে পরীক্ষাই দিচ্ছিনা। বললেন আচ্ছা পরীক্ষার পরে ফোন দেব। পরীক্ষা কয়টায় শেষ। বললাম পাচটায়।
পাচটায় আমিই ফোন দিলাম। কল রিসিভড হলোনা। ভাল খবর, সুখের খবর এখনো জানা হলোনা।
পরীক্ষা দিয়েই কাটলো আমার তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন ডে।
যাই হোক পলাশির মোড়ে ভালবাসা জনিত জ্যামের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার মাথায় একটা কবিতা আছে। আমি মাশাল্লাহ কবিতাখানা পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে আসছি। খাতা দেখার সময় স্যার কি করে জানিনা। তবে এক্সাম খাতায় কবিতা লেখার অভ্যাস আমার অনেক দিনের।
হৃদয়ের মাঝে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
ভালবাসিরে কত তোরে মনে মনে
বলিতে পারিনা বাধা পদে পদে
সহিতে পারিনা জ্বলি রধে রধে
সামনে যখন বুকটা ভারি ভারি
চললে দূরে আহা মরি মরি
ভালবাসার দাম প্রতি পাই পাই
বাচিবার তরে তোকে চাই চাই