somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয়ী শেখ হাসিনার কাছে প্রত্যাশা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা অনেকেই্ আক্ষেপ করেছি বা করছি যে, আমাদের দেশে কেন এক জন মাহাথির এর মতো নেতা হয় না। আমরা কেন তার মতো এক জন নেতা পাই না। আমি অনেক ভেবে দেখেছি- নতুন ভাবে নির্বাচিত শেখ হাসিনাই হতে পারেন বাংলাদেশের মাহাথির হতে। তিনি যদি এবার বেশ কিছু কাজ সাহসিকতার সাথে করতে পারেন তাহলে তিনি জনতার মণিকোঠায় স্থান লাভ করতে পারেন। কেননা, আমি মনে করি, উনার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু বাকি নেই। এবার কেবল জনতাকে দেবার পালা। তিনি যদি সেটা সুন্দরভাবে পারেন তাহলে মানুষ তাকে চিরদিন মনে রাখেবে। ইতোমধ্যেই তিনি এক রেকর্ড করে ফেলেছেন। একটানা তিন বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশে আর কেউই পারেননি। ভবিষ্যতে কেউ যে পারবে সেটাও মনে হয় না। তাই বলাই যে যেতে পারে যে তিনি অনেক ভাগ্যবান।

১। উনার ক্ষমতায় আসার প্রধানতম কারণ ছিল সপরিবারে শেখ সাহেব এর হত্যাকারীদের বিচার করা। উনি সেটা করেছেন। এখন উনার আর কোন কিছু চাওয়ার কিংবা পাওয়ার আছে বলে আমি মনে করি না। এখন উনার সামনে সুযোগ আছে বিরাট কোন এক রাষ্ট্র নায়ক হবার। তিনি সেটা চাইলে অবশ্যই পারেন।
উনি এখন কঠোর হতে পারেন।
কঠোর হবেন- অসৎ আমলা, ঠিকাদার, অসৎ ব্যবসায়ীদের উপর। অসৎ আমলা আর সরকারী কর্মচারীরা উনার সব অর্জন ম্লান করে দেন এটা উনাকে বুঝতে হবে। ঠিকাদাররা এখন রডের বদলে বাশ দিয়ে ব্রিজ বানিয়ে যে জাতির পোদে বাশ দিচ্ছেন এটা উনাকে বুঝতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীরা ১০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় বিক্রি করে টাকার কুমির হয়ে যাচ্ছেন এটা উনাকে বুঝতে হবে। কারা ১০ কোটি টাকার ট্যাক্স ১০ লাখ টাকায় দিয়ে আসান করে নেয় এটা উনাকে বুঝতে হবে। উনাকে মনে রাখতে হবে অপরাধ যেই করুক বদনাম কিন্তু শেখ হাসিনারই হবে। যারা সরকারী চাকরি করে কাজে ফাকি দেয়, ঘুষ নেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ভাবে কঠোর হতে পারেন তিনি। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স দিলেও সেই ট্যাক্সের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না হয়ে কাদের পকেটে জমা হচ্ছে সেটা উনাকে খুজে বের করে বন্ধ করতে হবে। বছর শেষে বাজেটে যে খরচ না হওয়া শত শত কোটি টাকা থাকে সেই টাকা কারা ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে তুলে নিয়ে যায় এটা আপনাকে বুঝতে হবে। প্রতিটি সেক্টরেই বাজেটের বিরাট টাকা মেরে দিচ্ছে আমলা আর গামলারা । সেটা আপনাকে বন্ধ করতে হবে। তাতে গুটি কয়েক লোক খেপলেও কোটি কোটি মানুষ তাকে মাথায় করে রাখবে। তিনি কি সেটা চান না?

২। ছাত্রলীগঃ বাংলাদেশে ছাত্রলীগ অবশ্যই একটা খারাপ জিনিস। এটা উনাকে বুঝতে হবে। ছাত্রলীগকে দিয়ে মাস্তানী আর চাদাবাজি হতে পারে । দেশের কোন ভালো কাজ হবে না। কিন্তু বদনাম টা কিন্তু শেখ হাসিনারই হবে। আমি মনে করি- আগামী নির্বাচন (যদি হয়) নৌকা মার্কার ১ কোটি ভোট নষ্ট করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এটা উনাকে বুঝতে হবে। আরো বুঝতে হবে মাহাথিরের দেশ মালয়েশিয়াতে কোন ছাত্রলীগ নেই । নেই কোন যুব বা অন্য কোন আলতু ফালতু লীগ। সবার শ্রদ্ধা পেতে চাই লে এই বাজে সংগঠনের বোঝা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। তিনি যদি এ ব্যাপারে কঠোর হতে পারেন তাহলে কোটি কোট মানুষ তাকে মাথায় তুলে রাখবে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক মাস্তানী আর চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সাধারণ মানুষ এই সব দেখতে চায় না।
৩। টেন্ডারবাজি বন্ধঃ বাংলাদেশে টেন্ডারবাজরা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার কাজ করে। এই সব কাজ হয় খুব নিম্ন মানের। রাস্তা, ব্রিজ, দালান খুবই নিম্ন মানের জিনিস দিয়ে বানানো হয়। আর বিল নেয়া হয় উচ্চ মানের। ফলে রাস্তা দেখা যায় ১ বছরও টিকে না। ব্রিজ আর দালান বাশ দিয়ে বানানো হয়। ফলে উহা ভেঙ্গে পড়ে। মালয়েশিয়াতে রাস্তা সহজে নষ্ট হয় না। কারণ উন্নত মানের জিনিস দিয়ে বানানো হয়। সব টাকা মেরে খায় না। কাজ করে। বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে কাজ না করে কিংবা রাস্তার উপরে সামান্য কোদাল চাছা করে পুরো টাকার বিল তুলে নেয়। এটা বন্ধ করতে শেখ হাসিনা কে কঠোর হতে হবে। টেন্ডারবাজদের কারণে কোন রাস্তা ঘাট ভালো হয় না। যেই রাস্তা ১০ বছরে কিছু হবার কথা নয় সেই রাস্তা ৬ মাসেই ছাল বাকলা খুলে এবরো থেবরো হয়ে যায়। এই সব বাজে ঠিকাদারদেরকে নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনি তাদের পয়সায় চলেন। তাদের অপকর্মের দায় আপনি কেন বহন করবেন। আপনি কেন জনতার অভিশাপ নেবেন।


৪। পাতি নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। সারা দেশে পাতি নেতাদের যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ে। তাদের নানা প্রকার হয়রানিতে পড়তে হয়। ভয়ে সাধারণ মানুষ কিছু বলতে পারে না। তারা মুখে কিছু বলতে না পারলেও মনে মনে তারা অভিশাপ দেয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই সব পাতিনেতাদের দায় তিনি কেন নেবেন? এই সব পাতি নেতাদের দিয়ে তার কি কিছু চাওয়াপাওয়ার আছে? না থাকলে তাদেরকে দমন করুন। আমজনতা আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে।

৫। বড় শহরগুলোকে ঠিক করুন। ঢাকা চট্টগ্রাম সহ বড় শহরগুলো বসবাসের অযোগ্য। নোংরা, ময়লা, আর ভাগাড় যেন। বসবাস করতে হয় উপায় নেই বলে। সামান্য বৃষ্টি হলে শহরে বন্যা দেখা দেয়। যেন বন্যা। বর্ষার সময় নষ্ট ঠিকাদাররা প্রতি বছর রাস্তা কেটে একাকার করে। মানুষ হাটতে পারে না। কাদাময় হয়ে যায় পথ ঘাট। মানুষ তো বড় বগড় কিছু চায় না। ঠিক মতো খেয়ে পড়ে বেচেঁ থাকতে চায়। ঢাকা সহ সারা দেশে আপনার সরকারের দেয়া ভূয়া লাইসেন্সের সুযোগ নিয়ে কতিপয় অদক্ষ অকর্মা আর নেশাখোরকে ড্রাইভিং লাইন্সে দেয়া হচ্ছে। এই সব বাজে ড্রাইভাররা গাড়ীর নয় মানুষ মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছে। তারা অবাধে মানুষ চাপা দিয়ে মারছে। বাসের যাত্রীর হাত ছিড়ে নিচ্ছে। মটর সাইকেল আরোহীর উপর দিয়ে বাস তুলে দিয়ে মেরে ফেলছে। সাধারণ মানুষ কিন্তু এই সব কাজের জন্য মন্ত্রী শাহজাহান মিয়াকে যতটা না দোষ দেয় তার চেয়ে বেশী অভিশাপ দেয় আপনাকে। আপনি কেন তাদের এই সব অপকর্মের দায়ভার আপনার উপর নিবেন। এই সব বাজে লোকদেরকে আপনি কঠিন শাস্তি দিন। দেখবেন আম জনতা আপনাকে মাথায় তুলে নাচবে।

৬। দরিদ্র মানুষেকে দেশে কাজ দিনঃ গরীব মানুষ যারা তাদেরকে বিদেশে রফতানি না করে দেশেই তাদের কাজের ব্যবস্থা করুন। বিদেশে যারা কাজ করে তারা খুবই করুণ জীবন যাপন করে। তাদের কোন পারিবারিক জীবন নেই। বিদেশে সামান্য কাজ করে যে টাকা উপার্জন করে তাতে দালাল সহ অনেক মধ্যস্বত্বভোগী ভাগ বসায়। সক্ষম মানুষের কাজ দরকার। বেশীর ভাগ মানুষই কাজ করতে চায়। তারা মাস্তানী কিংবা কোন খারাপ কিছু করতে চায় না। স্রেফ কাজ চায়। বেচেঁ থাকার জন্য কোন একটি সৎ কাজ। এক পেশা তার দরকার। জীবেন চলতে গেলে টাকা তো লাগবেই। আর টাকা উপার্জন করতে গেলে মানসম্পন্ন একটি কাজ দরকার। দেশের প্রতিটি নাগরিক চায় তার বেঁচে থাকার মতো একটি কাজ।তাদেরকে কাজ দিন। তারা বিদেশে যেতে চায় না। দেশেই কাজ করতে চায়।তারা দেশে কাজ করে খেতে পারলে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে।

৭। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ১২টা বেজে গেছে। এজন্য আপনার মন্ত্রী দায়ী। তিনি সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাওয়কে বৈধ করে দিয়েছেন। এর ফলে শিক্ষা বিভাগ প্রায় ধ্বংসের পথে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজান। ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করুন। উন্নত মানের শিক্ষা দেশে পেলে দেশ উন্নত হবে। আমজনতা আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে।

প্রিয় নেত্রী, আপনার মাঝে অনেক গুণাবলী আছে যা বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক নেতার মধ্যেই নেই। আপনার সব চেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট, আমি মনে করি, আপনার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই।

এই বার মহান স্টেটসম্যান বা রাষ্ট্রনায়ক হতে পারেন। কঠোর হাতে হাল ধরুন। গণমানুষের মনের কথা বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার পাতি নেতারা খুলনায় সিল মেরে বাক্স ভরে দিয়ে আপনাকে খুশী করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আপনার খারাপ সময় এলে এই সব সিল মারা নেতারা পগার পার হবে। গণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করুন। তারা আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে। মনের মাঝে স্থান দিবে। আমাদের তো মাহাথির খুজতে মালয়েশিয়া যাবার দরকার নেই। আপনিই তো হতে পারেন বাংলাদেশের মাহাথির। আপনার সেটা করা উচিত। আবারও বলি, আপনার আর চাওয়ার কিংবা পাওয়ার কিছু নেই। কঠোর হোন। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করুন। তারা খুব বেশী ভালো নেই । তবে তারা ভালো থাকতে চায়।

কোটি কোটি মানুষ আপনার মুখ পানে চেয়ে আছে। নতুন ভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবার পর আপনি কোমল-কঠিন হয়ে যা। মন্দের প্রতি আপনি কঠোর হোন। ভালোর প্রতি আপনি কোমল হোন। কোটি কোটি মানুষ আপনাকে দোয়া করবে। আগামীর নতুন বাংলাদেশ আপনার হাত দিয়েই গড়া সম্ভব। আপনার সাফল্য কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৮
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×