ঘুরে আসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসা থেকে; আমরা ৫ বন্ধু মিলে ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে। নিচে বঙ্গবন্ধুর অফিসরুম দেখলাম, গুলির আঘাতে বই, চেয়ার, ছবি ফুটো হয়ে গেছে। দোতলায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষে উঁকি দিয়ে দেখলাম এক সাধারন আটপৌরে বেডরুম, মধ্যবিত্ত পরিবারে যে রকম ফার্নিচার থাকে সেরকম আর কি। কোন বিলাসিতার ছোয়ার লেশ মাত্র নেই। টেলিফোন সেট দুটো ছাড়া আধুনিক কোন কিছু পেলাম না। আমার মনে হল, তখনকার গ্রামের মেম্বাররাও বোধহয় এর চাইতে আধুনিক এবং সুন্দর ফার্নিচার ব্যবহার করতো।
শেখ রেহানার ঘর ও মোটামুটি সাধারনই। কিন্তু শেখ হাসিনার ঘর কোনটা, সেতা খুজে বের করতে পারলাম না। একজন বললো সেটা নাকি রিনোভেশন (সঠিক বাংলা টা কি, মনে করতে পারছি না) এর জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
শেখ জামালের রুমে ঢুকে আধুনিকতার ছোয়া পাওয়া গেলো। বড় রুম; মনে হলো বঙ্গবন্ধু শেখ জামালের বিয়ের পর দোতলার সবচেয়ে ভালো এবং বড় রুমটি তাদেরই দিয়েছেন। শেখ জামালের স্ত্রীর বিয়ের শাড়ীটা প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। সেই আমলেরও হলেও, এখনো অনায়াসে নতুন ফ্যাশন বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।
তিন তলায় উঠে যে সুন্দর করে সাজানো রুমটি চোখে পরলো সেটি শেখ কামালের। গানবাজনার শখ ছিলো, তার প্রমাণ পাওয়া যায় এটি দেখলে।
এর পাশেই ছাদের লাগোয়া ঘরটি বঙ্গবন্ধুর বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাতের রুম। তখনকার স্টাইল হিসেবে মোটামুটি মানানসই, তবে নিজের টাকায় না হোক, সরকারী টাকায় এটাকে বোধহয় আরো আকর্ষনীয় করা যেতো।
পুরো বাড়ীতে কোন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ নেই। করলে মনে হয় খারাপ হত না। তবে সাধারন আটপৌরে এই বাড়ীতে প্রবেশ করলে মনটা যে কিছুক্ষনের জন্য হলেও অসাধারন হয়ে যায়, তা অস্বীকার করা যাবে না।
ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা নিষেধ, তাই ভিতরের ছবি তোলা হলো না। বাইরে থেকেই ছবি তুলে ফেরার পথ দেখতে হলো।
মুজিব কিংবা জ়িয়া দুজনই বিতর্কিত, কেও কম, কেও বেশি, এই যা। বঙ্গবন্ধু বাকশাল এর জন্য যেমন বিতর্কিত, তেমনি সন্তানের ব্যাঙ্ক ডাকাতি, কারো বিবাহিত স্ত্রীকে উঠিয়ে নেয়া কারনেও তাকে বদনাম মেনে নিতে হয়েছে। আবার জিয়া ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, অসংখ্য সামরিক সদস্যকে হত্যার দায়ও তাকে নিতে হবে। কে ভালো আর কে মন্দ সেটা যে যার বিবেক থেকে সিদ্ধান্ত নেবে, কিন্তু আমার বঙ্গবন্ধুর যাদুঘর দেখে এটাই মনে হলো যে, আমাদের এখনো কিছু শেখার বাকী। সাধারন মানুষের মতো চলতে ফিরতে শেখাটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আব্রাহাম লিঙ্কনের “জনগনের জন্য সরকার” কথাটা আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মাথায় কি ঢুকবে?
বিঃ দ্রঃ আমি জামাতী না এবং হাসিনা-খালেদা কাউকেই সাপোর্ট করি না! দেখি, নেক্সট টাইম উপদেস্টা হওয়ার ইদূর দৌড়ে শামিল হবো ভাবছি। দোয়া করবেন!!!
(না করলে SomeWhreIn Blog কে দেশের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বন্ধ করে দেব, কিন্তু!)
আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা
বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।
ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।