‘উন্নত মাথা আমার নত মা তোমার ওই চরন তলে‘
মায়ের শাসন আর ভালোবাসায় আজ এতদুর
মা কথাটি ছোট্র অতি কিন্তু মধুর ভাই ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই। মা সবার কাছে প্রিয়, আমার মাকে আমি ভালোবাসি। আমার কাছে প্রতিটি দিনই মা দিবস। মাদের জন্য কোন দিন নেই। মা কে একদিন মা বলতে না পারার যে কি ব্যথা আমরা যারা পড়ালেখার জন্য আজ মায়ের কাছ থেকে দুরে আছি তারা ছাড়া অন্যরা খুব একটা বুঝবেন না। এখনো মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে বাড়ী যেতে ইচ্ছে করে, মাকে দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বন্ধে হলে আমাদের বিশেষ করে প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রদের পড়ার চাপটা থেকে বেশী । তাই ছোট্র বন্ধে ছুটে যেতে পারিনা মায়ের কাছে। বছরে দু-একবার মায়ের সাথে দেখা হয় । আজ সৃষ্ঠি কর্তার কাছে প্রাথর্না করি হে প্রভু তুমি আমাকে কবে দিবা মাকে নিয়ে আবার একই ছাদের নিচে বসবাসের সুযোগ । সকালে বের হতে মায়ের পরশ মাখা স্নেহের হাত মাথায় । দুপুরে খাবার টেবিলে আমার প্রিয়সব খাবার । মায়ের হাতের রান্না করা প্রিয় খাবার গুলো স্বাদ পাইনা কতদিন। কতদিন যে হলো মা আমাকে শাসন করে না। আমার প্রিয় মা তুমি তো এখন আমাকে আর পড়তে বলনা। মা তোমার মনে পড়ে কি আমি মামা বাড়ী বেড়াতে গেলে আর আসতে চাইতাম না । তুমি মা, আমাকে এনেই ছাড়তে, আমার মাকে নিয়ে এমন অনেক ঘটনায় একটা আজ সমকালের পাতায় পাঠকদের সাথে শেয়ার করি । আমার মা বাবার ছোট্র সন্তান আমি তাই অন্যদের চেয়ে মা আমাকে নিয়েই বেশী সময় মামা বাড়ী যেতেন । মায়ের সাথে মামা বাড়ী গেলে একটু সমস্যা হতো। টইম ডিউরেশন বৃস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকাল । বলেন তো মামা বাড়ীতে এত কম সময় ......। ওদিকে শনিবার স্কুল খোলা তাই আমার প্রিয় জননী আমাকে রেখে আসবেন না । তিনি তো থাকবেনই না । একদিন আমি জেদ ধরলাম আমি থাকবো । দাদু-দিদিমা মামা-মামী সবাই সাপোর্ট করলো। কিন্তু কোন লাভ নেই। আমার মা! আমি মেজো মামার বুদ্ধিতে শার্ট পানিতে ভিজিয়ে দিলাম । কোন ব্যাপার না! ভিজা শার্ট পড়িয়েই মা আমাকে বাড়ী নিয়ে এলো, তখন মাকে অনেক গালমন্ধ করেছি “তোমার বাপের বাড়ী আর আসবো না ..........তোমার সাথে আর কোথাও যাবোনা,.......ছেলেওয়ালা হয়ে গেছ.....ইত্যাদি। আজ মাকে তাই শ্রদ্ধা ভরে স্বরন করছি।মা তোমার সেই শাসনের কারনে আজ এতদুর আসতে পেরেছি। আমরা যারা গ্রামের ছেলে মেয়ে তারা আমার মায়ের মত যদি আর্দশ মায়ের যতœ পাই তাহলে সবাই ভালো কিছু করতে পারবো। তাই আজ বিশ্ব মা দিবসে আমার মাকে সহ সারা বিশ্বের মাদের প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। ‘‘উন্নত মাথা আমার নত মা তোমার ওই চরন তলে’’।
কৈফিয়তঃ ক্যাম্পাসরে বাইর ছিলাম তাই এক দনি পর মাকে নিয়ে লেখা আমার লেখাটি পোষ্টে দিলাম।
বহমমথলড়ু@ুধযড়ড়.পড়.ঁশ
জয়দেব দাশ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট)