জেগে আছি নাকি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কিছুতেই কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। চোখের সামনে ছিনেমা চলছে!রেসিডেন্স এভিলস বা হাউস অব দা ডেথ। মাথায় কোন কিছুই কাজ করছে না। হলিউডের ভৌতিক, এডভেঞ্চার, কাল্পনিক ক্রিয়টিভিটি সিনেমাগুলো যেমন প্রিয় তেমনি তার ভয়াবহ রুপ যে কত নির্মম হতে পারে সেটা বাস্তবে উপলব্ধি হচ্ছে। বিশ্ববাসি তার নির্মম শিকারে পরিনত হচ্ছে।যা সিনেমাকেউ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সিনেমায় যেমন শেষ মূহুর্তে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় দুষ্ট, বদ লোকেরা শাস্তি পায়, ঘটে নায়ক-নায়িকা সফল পরিনয়। দেড় থেকে দু ঘন্টা সময়ের মধ্যেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। নোবেল করোনা ভাইরাস এর শুরুতে তেমনি আশা করেছিলাম। নায়কের মত কেউ দ্রুততার সাথে তার সমাধান খুজে বের করবে, সব হতাশা, আতঙ্ক কেটে যাবে। সবাই হাত তালি দিয়ে অভিবাদন জানাবো। কিন্তু ক্রমে ক্রমে যা ঘটে চলছে শুধু চেয়ে চেয়ে দু ফোটা অশ্রু আর হতাশা ছাড়া কিছুই বলতে পারছি না কাউকে। চোখের সামনে বাবা মাকে লাশ হতে দেখছে সন্তান কিন্তু কাছে যেতে পারছে না। মুভির সেই জোম্বিরা যেমন কাছে গেলেই কামড়ে দেয় । জোম্বিদের কামড়, আচড় তো দূরের থাক নিঃশ্বাস বা স্পর্শই বানিয়ে দিচ্ছে সেই ভয়ঙ্কর কোরনা এফেক্টেড জোম্বি। ড্রোনের সাহায্যে খাবার দিচ্ছে ছেলে তার মাকে। চোখের সামনে প্রিয় মানুষগুলো চলে যাচ্ছে শেষবারের মতো তার মৃত শরীরটা জড়িয়ে ধরে কান্নাও করতে পারছে না কেও। কেমন মৃত্যু এটা। এক এক টা দেশ, এক একটা অঞ্চল যেন একটা মৃত্যুপুরী। এই মৃত্যুপুরী থেকে বিশ্ববাসী কবে মুক্ত হবে। কবে আমরা সেই প্রান খোলা হাসিতে বন্ধুরা মিলিত হয়ে আড্ডায় মেতে উঠবো। সবাই হাতে হাত মিলিয়ে সুরে বেসুরে গাইতে পারবো বিজয়ের গান। নাকি আদোও পারবো না সেই ভয়ঙ্কর কোভিট-১৯ এর সাথে। মনে হয় যেন স্বপ্ন ভাঙ্গলেই সেই পূর্বের মতো কোলাহলে মুখরিত মানুষের সমাগম দেখতে পাব। খেলায় প্রিয় দল জিতেছে বলে আনন্দের মিছিল করবো, প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করবো। শুধুই এই মৃত্যূপুরী থেকে মুক্তিলাভের আশায় নির্বাক নয়নে দৈনিক মৃত্যুর মিছিলে শামিল হওয়া লাশগুলো দিকে তাকিয়ে দু-ফোটা চোখের জল ফেলা ছারা কিছুই করার নেই। মনে হচ্ছে হেরে যাচ্ছি আমরা সবাই, সবাইকে হারিয়ে ফেলছি । সৃষ্টিকর্তা তাকেই সাহায্য করে যে চেষ্টা করে। ইনশা-আল্লাহ আমরা এই মৃত্যুপুরীর ভয়ঙ্কর রাক্ষস কোভিট-১৯ কে পরাজিত করবো। মানুষ আশা নিয়েই বেচে থাকে। আমাদের যুদ্ধ করার অস্ত্র নেই কিন্তু সাবধনতা অবলম্বন তো করতেই পারবো। সাবধানতা অবলম্বন এর মাধ্যমে এর বিস্তার রোধ করা আমাদের ব্রত হলেই আমরা তার মোকাবেলা করতে পারবো। মুক্তির অপেক্ষায় অপেক্ষমান পথের ধূলো, একটু বাতাসেই যেন বিস্তৃতির অসীম সীমায় হারিয়ে যাব....
আলোচিত ব্লগ
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।