somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একুশ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগেই বলে নেই এই লেখাটি সামু ব্লগে ২০১৩ সালে এক সিনিয়র ব্লগার পোষ্ট করেছিলেন এবং আমি লেখাটি গুগলে সার্চ করে পাই । লেখাটিতে কিছু ভুল ছিল যেমনঃ তারিখ ও সাল । তাই আমি এই লেখাটি পুনরায় ভুল সংশোধন করে পোষ্ট করলাম । অবশ্য লেখাটি আমার নিজের ব্লগেও দিয়েছি ।

-
-
-
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা দিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের একুশে অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। – এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

ভাষা আন্দোলন থেকে মাতৃভাষা দিবস
১৭৭৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রথম মত পোষণ করেন একজন ব্রিটিশ লেখক। তার নাম ন্যাথিনিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড। ১৯১৮ সালে ভারতের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ভারতের সাধারণ ভাষা কী হওয়া উচিত তা নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রবিঠাকুর ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে মত পোষণ করেন। এ প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করেন ওই সভায় অংশগ্রহণকারী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লহ । তিনি তার বক্তব্যে বাংলাকে ভারতের সাধারণ ভাষা করার প্রস্তাব পেশ করেন। ওই সময়ে হিন্দি- প্রেমিকরা হিন্দিভাষাকে সমর্থন করে গান্ধীজীর বরাবরে একটি পত্র লেখেন তা হলো- the only possible national language for intercourse is hindi in India
মাতৃ ভাষা বাংলা চাই
১৯২১ সালে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী লিখিত আকারে ব্রিটিশ সরকারের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রস্তাব পেশ করেন। ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সম্পাদক আবুল হাশিম প্রাদেশিক কাউন্সিলের কাছে পেশকৃত খসড়া ম্যানিফেস্টোতে বাংলাকে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা প্রবন্ধে আব্দুল হক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ সাল নবগঠিত পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম বৈঠক বসে করাচিতে। বৈঠকের শুরুতেই উর্দু ও ইংরেজিকে গণপরিষদের সরকারি ভাষা বলে ঘোষণা করা হয়।

পূর্ব বাংলার বিরূপ প্রতিক্রিয়া গণপরিষদ সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (কুমিল্লা) সভায় একটি মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাতে তিনি উর্দু-ইংরেজির সাথে বাংলাকেও গণপরিষদের সরকারি ভাষা ঘোষণার দাবি জানান। পূর্ব বাংলার সব মুসলিম সদস্য ও পশ্চিম পাকিস্তানের সদস্যরা এক জোটে এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। পূর্ববাংলায় এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়।‘‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’’ দাবিতে ছাত্রসমাজের বৈপ্ললবিক পদক্ষেপে ঢাকার রাজপথ সরগরম হয়ে ওঠে।
ভাষা-বিক্ষোভ ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ বঙ্গীয় সমাজে বাংলাভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালি মুসলমানদের আত্ম-অন্বেষায় যে ভাষা চেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যার চরম প্রকাশ ঘটে। এইদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে বরকত, জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক সহ ছয়জন ছাত্র-যুবক হতাহত হন।
রাজপথে প্রতিবাদী মিছিল এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে সমবেত হন। নানা-নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জমাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। এদিন নবাবপুর, রণখোলা ও ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় পুলিশ মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এ দিনে শহীদ হন শফিউর রহমান, আব্দুল আউয়াল ও অহিদুল্লাহ সহ একাধিক ব্যক্তি।
শহীদ মিনার স্থাপন ও ভাঙ্গন ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখের রাতে ছাত্রজনতার এক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য একটি শহীদ মিনার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই রাতের অন্ধকারেই গুলিবর্ষণের স্থানে নিজেদের নকশা অনুযায়ী ইট দিয়ে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে পুলিশ এ শহীদ মিনার ভেঙ্গে দেয়। সে জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ তারিখে প্রথম শহীদ দিবস পালনের জন্য কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পরের দুই বছরও ঐ স্থানে কালো কাপড় দিয়ে ঘিরে শহীদ মিনারের অভাব পূরণ করা হয়।
যুক্তফ্রন্টের বিজয় লাভ ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিমলীগ হক-ভাসানী- সোহরাওয়ার্দীর মিলিত যুক্তফ্রন্টের নিকট শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয় বিপুল ভোটে। এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২৩৭ টি আসনের মাঝে ২২৩ টি আসন পায়। মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯ টি আসন। বাংলাদেশিদের দাঁতভাঙ্গা জবাবে পূর্ব পাকিস্তানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মুসলিম লীগ।
বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অনেক প্রতিবন্ধকতা পার করে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে সরকার বাংলাভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারির স্বীকৃতি
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পাওয়ার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ সাধনা, সংগ্রামের ইতিহাস। কানাডা প্রবাসী বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালামের প্রতিষ্ঠিত “The mother language lover of the world” সংগঠন ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করে একটি চিঠি পাঠান। এ চিঠিতে সাত জাতি ও সাত ভাষার দশজন স্বাক্ষর করেন। এর এক বছর পর, ইউনেস্কো সদর দফতরের ভাষা বিভাগের আন্না মারিয়া রফিকুল ইসলামকে ১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ সম্মতিসূচক চিঠি লেখেন, Regarding your request to declare the 21 February as International Mother Language day. The idea is indeed very interesting.nঅবশেষে Bangladesh National Commission -র পক্ষে সচিব কফিল উদ্দিন আহমদ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সদর দফতরে পেশ করেন। ইউনেস্কোর ২৮ টি সদস্যরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রস্তাব লিখিতভাবে সমর্থন করে। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর বাংলাভাষাভাষী মানুষের কাছে শোকার্ত দিন নয়। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন গোটাবিশ্বের মাতৃভাষা দিবস। রক্তের আলপনা এঁকে যে ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে আমাদের বাঙালি সন্তানরা, রাজকীয় ভাষা হিসেবে। তাঁদের আন্দোলনের সূত্র ধরেই একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তারাই আমাদের গর্বিত ধন, তারাই আমাদের মাতৃভাষার প্রতিষ্ঠাতা।

শহীদ দিবস থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস। অমর একুশে। একুশের রক্তস্নাত পথ বেয়ে এদিনটি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। UNESCO- র ঘোষণায় বলা হয়- 21 February is proclaimed international mother language day througout the world to commemorate the martyrs who sacrificed their lives on this day in 1952.
বর্তমান বিশ্বের ১৮৮ দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে যথার্থ গুরুত্ব সহকারে। উল্লেখিত দেশগুলোর জনসাধারণের কাছে বাংলাভাষা আজ সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে আসীন। এ এক অনন্য অর্জন। এ অর্জন আমাদের সর্বক্ষেত্রে গর্বের, গৌরবের ও অহংকারের। সারা বিশ্বের মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালনের মাধ্যমে মৃত্যুঞ্জয়ী ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় এবং সমগ্র চেতনায় লালনকারে কালজয়ী ভাষা বাংলাকে। এ গর্ব সকল বাংলাভাষী মানুষের। অমর একুশে আমাদের প্রেরণার উৎস। আমাদের সম্মিলিতভাবে দাঁড়াবার ভিত্তিভূমি রচিত হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারির দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমেই। বাংলাদেশের মানুষের গৌরবান্বিত ইতিহাস ও অজেয় অহংকার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-একথা ভাবতেই বুকটা গর্ভে ভরে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠী ও জাতিসত্তার মানুষ গত কয়েক বছর ধরে যথাযথ সম্মান ও গুরুত্বসহকারে অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাভাষা ও বাংলাদেশকে স্মরণ করছে। এক অভূতপূর্ব অনুভূতি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের প্রাণের উচ্চারণ
মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার। এ অধিকার মানুষ লাভ করে স্বয়ং স্রষ্টা থেকে। যে মাটির কোলে যে মানুষ জন্মগ্রহণ করে যে মাটির ভাষা তার অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে থাকে। তার চোখ, মুখ, বুকের সাথে লেগে থাকে সে ভাষার গভীর আবরণ। তার স্বপ্ন সাধনা, আশা-আকাক্সক্ষা তৃপ্তি ও সম্ভাবনার সমস্ত আকাশ জুড়ে উড়তে থাকে মাতৃভাষার প্রাণময় নীল ঘড়ি। যে মাটির রসসিক্ত জলবায়ুর জৌলুসে বেড়ে ওঠে মানুষের শরীর সে মাটির ভাষা উপেক্ষা করার শক্তিই বা কার থাকে। কারো থাকে না। থাকে না বলেই যে মানুষ যে ভূগোলে নিরস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পায় সে ভূগোলের ভাষা তার জিহ্বায় জড়িয়ে পড়ে। সে ভাষার স্বাদ, গন্ধ, স্পর্শ অনুভবের ভিতর ডানা ঝাপটায়। বুকের গভীরে ডালপালা মেলে। শতদল ফুটে যায় ভাষার সৌরভে।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা শব্দটা উচ্চারণের সাথে সাথে যেন হৃদয়ের গভীর থেকে এক অভাবনীয় মুখের শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেহের কোষে কোষে। যেন সারা শরীর জুড়ে বয়ে যায় প্রশান্তির অমীয় বাতাস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা হবার পর সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষা সম্মানিত হয়েছে। বাংলাভাষার প্রতি বিশ্বনাগরিকদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমার মাতৃভাষা আমার প্রাণের ভাষা। আমার হৃদয় মেলে বেরিয়ে আসা স্বপ্নের ভাষা-প্রাণের উচ্চারণ।
একুশে ফেব্রুয়ারি – আমাদের শিক্ষণীয়
কিছু প্রতিবাদ শিখা অনির্বাণের মতো, কিছু ঘটনা চেতনার আলো ছড়ায় সারা বিশ্বে , সে চেতনার দৃপ্ত শপথে সত্ত্বা জুড়ে আছ তোমরা, শুধু তোমরাই মোদের গরব। সময়ের সিঁড়ি বেয়ে বিদ্রোহের বিবর্তন ধারায় মশালটির মাতা বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিকসহ বহু পৌরুষ- প্রোজ্জ্বল তাজা প্রাণ তরুণের-আত্মদান আজকালের এচক্রনেমি ঘোরাতে ঘোরাতে কাল থেকে কালান্তরের মধ্যে পরিব্যাপ্ত হয়েছে। এ পরিব্যাপ্তি যেন মানবসভ্যতার ইতিহাসের আগ্রেয় অধ্যায়ের পরিব্যাপ্তি।
একুশ থেকে আমরা পাই গণতন্ত্রের চেতনা, পাই সাম্যের চেতনা। একুশ আমাদের শিখিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠার অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে। একুশের চেতনা যেমন সমানাধিকারের চেতনা তেমনি একুশের চেতনা মানে অসাম্প্রদায়িকতার মহান চেতনা ।

ঐক্য ও সম্প্রীতির শিক্ষা মহান একুশ আমাদের সবার মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন বচন করে। একুশের সবচেয়ে বড় দান হলো গোটা জাতিকে সে একত্রিত করতে সফল হয়েছে। জাতির ওপর যত বড়ই আঘাত আসুক না কেন, জাতি আত্মকলহে যতই নিমজ্জিত থাকুক না কেন একুশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে সবাইকে একত্রেই আসতে হয়। এভাবে একুশ সকলের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টি করে।
ভাষার মৌলিক অধিকার শিক্ষা একুশ সারা পৃথিবীর মানুষের জীবনে একটি সচেতন প্রবাহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ভাষার মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। একুশ শিখিয়েছে-আমি ভিখারি হতে পারি, দুঃখ-অশ্র“র কঠিনভারে চূর্ণ হতে আপত্তি নেই। আমি মাতৃহারা অনাথ বালক হতে পারি, কিন্তু আমার শেষ সম্বল ভাষাকে ত্যাগ করতে পারি না।

মানসিক ও নৈতিক বিকাশ মানুষের মানসিক আর নৈতিক বিকাশের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ভাষার পথ বেয়েই তার সব রকম বিকাশের সূত্রপাত। আর এই ভাষাকে আমাদের সামনে জাগ্রত করে রেখেছে ২১ ফেব্রুয়ারি। একুশ আমাদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশের পথপ্রদর্শক।
মাথা নত না করার শিক্ষা একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণীয় শহীদদের স্মৃতি আমাদের এ প্রেরণা দেয় আমরা ইতিহাসের পাতায় নেহায়েৎ হতভাগ্য ও করুণার পাত্র হয়ে থাকবো না। আমাদের জাতীয় জীবনের খাতায় আমরা নব নব স্মরণীয় তারিখ সংযোজন করবো। আমরা আমাদের ভাষার পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে স্থান করে নেব।
ভাষার প্রতি ভালবাসার শিক্ষা ভাষাবিহীন জীবন রূহবিহীন দেহের ন্যায়। রূহ ছাড়া যেমন দেহের কেনো মূল্য নেই, ঠিক তেমনি ভাষা ছাড়া জীবন অচল। যা আমরা বুঝতে পারি একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদদের ত্যাগের মাধ্যমে। ভাষার প্রতি অগাধ ভালবাসার কারণেই তারা তাদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিল।

একুশে ফেব্রুয়ারি – আমাদের করণীয়

গৌরব অক্ষুণ্ন রাখা সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর, অহিদুল্লাহ প্রমুখ আজ দেশে কাল থেকে কালে, শতাব্দী থেকে শতাব্দী অমর হয়ে থাকবেন। তারা আমাদের যে গৌরবে অভিষিক্ত কবে গেলেন-তাকে ধরে রাখা আজ আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমাদের মায়ের ভাষাকে নিয়ে যেতে হবে ভাষার আন্তর্জাতিকতায়। আমাদেরকে সততা, ঐক্য, মেধা, শ্রমের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে শিক্ষায়-উন্নয়নকে দেশপ্রেম। আর তখনই আমরা খুঁজে পাব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আমাদের রক্তেরাঙা অমর একুশের সার্থকতা।
বাংলা বানান সংস্কার করা অমর একুশকে সামনে রেখে বাংলাভাষাকে সংস্কার, সমৃদ্ধিও বেগবান করার জন্য বানান যাতে কোনো মতেই প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। আজ আমাদের এই প্রতিভা নিতে হবে। আধুনিক বানান ভাষার গতিময়তা বাড়িয়ে দিতে পারে। মূলধ্বনিকে সামনে রেখে বলিষ্ঠ এবং সঠিক উচ্চারণের সাথে তাকে মিলিয়ে নেয়াই ভাষার ইতিহাসে বানান, উচ্চারণ ও লেখায় তার সঠিক অবস্থান খুঁজে নেবে।
ঐতিহ্য থেকে প্রেরণা গ্রহণ একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত। এ ঐতিহ্য থেকে আমরা প্রেরণা গ্রহণ করবো, সঞ্চয় করবো শক্তিও সাহস। কিন্তু আমাদের পদক্ষেপ হবে সামনের দিকে, দৃষ্টি থাকবে ভবিষ্যতের প্রাণে এবং আমরা এগিয়ে যাবো মহত্তর ত্যাগের নবতর সংকল্প বুকে নিয়ে। এভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় সংযোজিত হবে আরো নতুন নতুন স্মরণীয় তারিখ। তা হলেই একুশে ফেব্রুয়ারি পালন হবে সার্থক।
মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ সাহিত্যে পরিণত করা ইতিহাসের জটিল আবর্তে মাতৃভাষার স্বীকৃতি ও আত্মপ্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে মূল্যবান। কিন্তু মাতৃভাষা যদি স্রেফ মাতৃভাষাই থেকে যায়, সমৃদ্ধ সাহিত্যে রূপান্তরিত না হয়, তাহলে তা আমাদের বৃহত্তর জীবনের চাহিদা মিটাতে হবে ব্যর্থ। তখন আমাদের পরনির্ভরতাও ঘুচবে না কিছুতেই। আমরা যা ছিলাম তাই থেকে যাবে-এগুতে পারবো না সামনের দিকে এক পাও। একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাসকে সফল করে তুলতে হলে মাতৃভাষা আর মাতৃভাষার সাহিত্যকে আমাদের জীবনের উপযোগি করে গড়ে তুলতে হবে। করতে হবে তাকে সব জ্ঞানের বাহন।
মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হওয়া মূল্যবোধ মানে সত্যবোধ-আমাদের ইতিাসে একুশে ফেব্রুয়ারি অমর হয়ে আছে। এ সত্যবোধের এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে এদিন এগিয়ে এসেছিল আমাদের তরুণ ছাত্র সমাজ জীবনের মূল্যবোধ তথা সত্যরক্ষায়। এরা সত্যরক্ষার মৌলিক-এদের হাতে ছিল মূল্যবোধের অদৃশ্য হাতিয়ার। আমাদের উচিত এ নদ-নদী আর সমুদ্র- মেখলা, সবুজে ছাও যা প্রিয় মাতৃভূমিতে যারা জন্মাবে তাদেরকে মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত করা। যাতে কবে তারা বুঝতে পারে মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে কি করে জীবন তুচ্ছ করে এগিয়ে যেতে হয় সত্য আর মনুষ্যত্ব রক্ষায়।
বাংলাভাষার ভূমিকা স্পষ্টকরণ বৎসরের একটি বিশেষ দিনে, একুশের মৌসুমে, বাংলা বাংলা বলে আমাদের লোক দেখানো আর্তি-আমাদের জাতীয় ভাবালুতা ও ক্ষেত্রবিশেষে মোনাফেকীর একটি দিক ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলার প্রশ্ন আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। একুশের পরিব্যাপ্তিকে শুধুমাত্র কিছু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, বরং এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটতে হবে। বাংলাভাষার ভূমিকা যতদিন না স্পষ্ট হচ্ছে, ততদিন একুশের আবেগ, একুশের আহাজারির মধ্যে এই তরল ভাবালুতা, এই অস্পষ্ট অনর্থক উচ্ছ্বাস আমাদের অধঃপতনকেই এগিয়ে আনবে।
একুশের অঙ্গিকার বাস্তবায়ন একুশে চেতনার উত্তরাধিকার বহনের গর্ব নিয়েও একুশের কিছু অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আমাদের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সাধারণ মানুষ তার ফলে একুশ থেকে দূরে, অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ এ দিনটির রাজনৈতিক তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরা হলে একুশের ইতিহাস তাদের চেতনায় দাগ কেটে যেতে পারে, একুশের স্পর্শে তাদের রক্তস্রোত তীব্র হৃৎস্পন্দন দ্রুততর হতে পারে, স্নায়ুতন্ত্র আবেগে বেজে উঠতে পারে। আমাদের উচিত একুশের অঙ্গিকারকে বাস্তবায়নে সজাগ হওয়া।

একুশ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার

রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় জীবনের আদর্শ সংযুক্ত হলে সে আন্দোলন দেশে একটি শাশ্বত রূপ নিয়ে জীবনকে গতিশীল করে তোলে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন একটি ব্যতিক্রমী আন্দোলন, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল একটি দেশের সমগ্র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ভাষার প্রশ্ন। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে বিশ্বের ইতিহাসে তার কোনো নজীর নেই। গত শতাব্দীতে আমাদের যে দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জন নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি তার একটি হল স্বাধীনতা অর্জন এবং অন্যটি হল রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করা। দুটি অর্জনই অনন্যসাধারণ। যুদ্ধ করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা এই দুটি কোনো জাতির পক্ষেই একসাথে করা সম্ভব হয়নি। সে বিচারে আমরা অবশ্যই বিশেষ মর্যাদাবান জাতি হিসেবে পরিগণিত হবার দাবি রাখি। বাংলাদেশের জনগণকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বিশ্বের অন্যান্য জাতির জন্যও শিক্ষণীয় অবদান রেখেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যা শুনলেই আমাদের বুক গর্ভে ভরে উঠে, অহংকার আমাদেরকে শক্ত করে পেয়ে বসে।
উপসংহার
কল্পনা করুন তো ভাষাবিহীন একটি পৃথিবীর কথা, একেক জন মানুষ যেন এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, একে অপরের থেকে দূর-দূরান্ত, কেবল নির্বাক চোখে তাকিয়ে রয়, যেখানে মা কোনোদিন সন্তানের মুখে ‘‘মা’’ ডাক শুনতে পায় না। ভাবুন তো অক্ষরবিহীন একটি পৃথিবীর কথা! জগতের সকল পুস্তক যেখানে শোকে সাদা! পিতার কাছে টাকা চেয়ে পুত্র আর চিঠি লেখে না, রানার যেখানে অলস ঘুমায়, কিন্তু আমরা জানি এটা অসম্ভব, কথা ছাড়া পৃথিবী অচল, লেখা ছাড়া সভ্যতা স্থবির। আমাদের ভাষা বেঁচে থাকে আমাদের কথায় আর লেখায় আর আমরা বেঁচে থাকি আমাদের ভাষায়। মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য প্রতিটি জাতি বদ্ধপরিকর। বাঙালি জাতি তার জলন্ত প্রমাণ। কৃষ্ণচূড়ার রক্তলালে রঞ্জিত আমাদের ভাষা শহীদদের আত্মবলিদান। বায়ান্ন সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার রাজপতে তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য। যার ফলে এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছি। আমরা পেয়েছি আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা। ইতিহাস যে শুধু অতীত নয়, ভবিষ্যতকেও গর্ভে ধরে রাখে তার এক জ্বলজ্বলে নজীর রেখে গেছেন আমাদের ভাষা শহীদেরা। তারা আজ পৃথিবীর সকল ভাষাভাষী মানুষের নিকট শ্রদ্ধেয়। সমগ্র বিশ্বের মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের আত্মত্যাগকে কেন্দ্র করেই তারা একুশকে নিজেদের মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে পালন করে।
-
-
-
লেখাটির সংশোধিত সোর্সঃ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×