পর্ব ২
পিতার নমি চান মিয়া মায়ের নাম ফরিদা ভূমিহীন এ পরিবরটি থাকতো ময়মনসিংহের সরকারী খাস জমীতে।রাস্তার পাশে ছোট খুপরি ঘরে মা-বাবার সাথে তার দিন কাল ভালোই কটছিল।২০০১ সালে এসব জয়গা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় ।মাথা গুজার ঠাই না পেয়ে নীল আকাশের দিকে চান মিয়া তাকিয়ে ছিল।কিন্তূ অবুঝ শিশু আর প্রিয়তমাকে নীয়ে ণীল আকাশের নীচে থাকার মানসিকতা তার ছিল না।পাড়ি দিল ঢাকায় দীর্ঘদিনে জমানো কিছু টাকার বিনিময়ে শহীদ নগর এক বস্তিতে ঠাই হলো।সেই থেকে চানমিয়া জীবন শুরু করলো এক নতুণ যুদ্বের মাধ্যমে।রতন ইউসেপ স্কুলে যাওয়া আশা করে ২ক্লাশ পাস করেছে। একদিন ক্লাশ থেকে ঘরে ফিরে আদরের মাকে খুজে না পেয়ে পাশের ঘরের খালাম্মাকে জিগ্যেস করে জানতে পারলো তার বাবা রিক্শা চালাতে গিয়ে একসিডেন্ট করেঁছ।একটি পা হারালো তার বাবা ঘরে পড়ে থাকা ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব না কিন্তু নিয়মিত অসুদ পত্র জোগান দেয়া না হলে চানমিয়া কন্না কাটি করে।রতনের স্কুলে যাওয়া বন্দ ,শুরু হলো গাড়ীর গেরেজে কঠিন কাজ,৩০টাকা হজিরা রতনের মা ছুটলেন মানুষের বাসায় কাজের সন্ধানে,(যেই বয়সে আমরা উদ্দামনৃত্যে অলীতে গলিতে ভু-ভূ করে ঘুরেছি,আম্মুর পাশে বসে স্কুলে গিয়েছি এমনকি ব্যাগটিও আমি বহন করিনি ) সেই বয়সে রতন গাড়ীর গেরেজে হার ভাংগা কাজ করে সংসারের খরচ বাবার চিকিতসার অর্থ যোগান দিচ্ছে।এতে সে দুঃখ করেনা ।তবে মনটা তার খারাপ অন্য কারণে,সেটাই আমার আলোচনার বিষয়। আজ বিশ্ব শ্রমিক দিবশ,বাংলাদেশের তথাকথিত শ্রমিক নেতারা মহা ধুম ধামে তা পালন করবে।বু্দ্বিজীবিদের দলের মহড়া দেখা যাবে পত্রিকার পাতায় আর রেডিও টেলিভীশনে।এতো কিছু করতে খরচ হবে কাড়ি কাড়ি টাকা,কিন্তু যাদের জন্য এতো আয়োজন তাদের একটি বিরাট অংশ এ দিন সম্পর্কে জানেনা কোন কিছুই।আবার এদের বৃহত্তম একটা অংশ হলো শিশু শ্রমিক,যারা গড়ে উঠছে অসুস্ত মানসিক চিন্তা চেতনায়।পর্ব ৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




