somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসিনা খালেদা কেউই নিজের ইচ্ছায় রাজনীতিতে আসেননি

০১ লা মার্চ, ২০০৭ রাত ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বিদেশে পাঠিয়ে যারা রাজনীতি বদলাতে চান তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি
হাসিনা খালেদা কেউই নিজের ইচ্ছায় রাজনীতিতে আসেননি
জিল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এ দুজনের একজনও নিজের ইচ্ছায় বা নিজেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনীতিতে যোগ দেননি। 80-র দশকে দুটি দলেরই অবস্থা যখন ভাঙ্গণের পথে এবং নেতৃত্ব নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তখন দলের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে হাসিনা ও খালেদা রাজনীতিতে সক্রিয় হন। 80-র দশকের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
80-র দশকের পত্রপত্রিকা ও বইপত্র বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, 1975 সালের 15 আগষ্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা প্রায় 6 বছর স্ব-নির্বাসিত জীবন যাপন করেন। এ সময় তিনি বৃটেন ও ভারতে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ড. কামাল হোসেন বহুদলীয় গণতান িক চেনতায় এবং আব্দুর রাজ্জাক বাকশালের একদলীয় চেতানায় উদ্বুদ্ধ হলে আওয়ামী লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও সংকটাপন্ন ছিল। দলের মধ্যে অন র্দ্বন্দের কারনে তখন নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়।
1980 সালের দিকে ড. কামালের সঙ্গে আরো কিছু আওয়ামী নেতা ও আন র্জাতিক মহল শেখ হাসিনাকে রাজনীতিতে আনতে সচেষ্ট হন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে দিয়ে দলের হাল ধরানো এবং রাজনীতিতে অবস্থান শক্ত করা। শেখ হাসিনাকে সক্রিয় রাজনীতিতে আনাতে ড. কামালের নেতৃত্বে অনেকেই তখন ভারতে গিয়ে হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে তাকে রাজনীতিতে নামাতে সফল হন। 1981 সালের 16 ফেব্রুয়ারি কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতেই দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার 90 দিন পর 1981 সালের 17 মে শেখ হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
অন্যদিকে, 1981 সালের 30 মে জিয়াউর রহমান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে বিএনপি কঠিন সংকটের মুখোমুখি হয়। দলের পরবর্তী চেয়ারম্যান এবং নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সেনাবাহিনী প্রধান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে সংঘঠিত এক সামরিক অভূ্যত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়। 1982 সালের 24 মে সামরিক আইন জারি করা হয়। এ সময় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী দল ত্যাগ করে এরশাদের দলে যোগ দিলে বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকটসহ ভাঙ্গণ দেখা দেয়।
এ সময় দলের আপাত সংকট কাটানোর জন্য অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তার দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি হলেও খোদ বিএনপিরই অনেকে তা মেনে নিতে পারেনি। তখন সকলে একমত হন যে, দলের মধ্যে সৃষ্ট বিভক্তির সমাধান একমাত্র খালেদা জিয়াকে দিয়েই সম্ভব। 1981 সালে বিএনপির প্রেসিডেন্ট হিসেবে খালেদা জিয়াকে নির্বাচিত করার কথা দলীয় বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া তাতে রাজি হননি। পরবর্তীতে আবদুস সাত্তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে খালেদা জিয়াকে বিএনপিতে যোগদানের অনুরোধ করলেও খালেদা তা প্রত্যাখ্যান করে দেন। তখন খালেদা বলেন, যোগ দিলে নির্বাচিত পদেই দিব।
1982 সালের প্রথম দিকে খালেদা জিয়া (একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে) বিএনপিতে যোগ দেন। 1983 সালের মার্চে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট, 1984 সালের 12 জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন এবং 1988 সালের 10 মে তিনি দলের চেয়ারপার্সন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
পাদটীকা: যারা খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে দেশান রী করে রাজনীতিতে 'গুণগত উন্নয়ন' আনতে চান তাদেরকে নিজেদের সমতার ইতিহাস ঘেটে দেখতে অনুরোধ করছি।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×