ধ্বঃষের মুখে ঐতিহ্যময় বেনারশি শাড়ি শিল্প
জিল
উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং বাজারে চাহিদা থাকা সত্বেও বাংলাদেশের ঐতিহ্যময় বেনারশি শাড়ি শিল্প এখন ধ্বঃষের মুখে। কাচামালের উচ্চ ম ল্য, ডিজাইনে বৈচিত্র্য না থাকা, বিদেশে রপ্তানির সুযোগ ও প্রচার না থাকায় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বেনারশি শাড়ির অতীত ঐতিহ্য।
16শ দশকে মুঘল শাসনামলে বেনারশি শাড়ি শিল্পের উদ্ভব হয়। 1950 সালে ভারত থেকে কিছু উদর্ুভাষী জনগোষ্ঠী ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে এ শিল্প গড়ে তোলে। এক সময়ে এ শিল্পের সঙ্গে লাখেরও বেশি কর্মী নিয়োজিত ছিল। কিন্তু সরকারি সহযোগিতা, সঠিক পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার অভাবে বর্তমানে এ শিল্পে মাত্র 25 হাজার কর্মী কাজ করছেন।
এ শিল্পে নিয়োজিত কর্মীরা দৈনিক গড়ে 11 ঘণ্টা করে কাজ করলেও নিয়মিত ও সঠিক পারিশ্রমিক পান না। শ্রমিকদের মাসিক আয় মাত্র 1 থেকে 6 হাজার টাকা হলেও উদ্যোক্তাদের আয় 40 হাজার টাকা পর্যন । যথাযথ প্রশিণ ও কারিগরী সহায়তা না থাকায় এ শিল্পের শ্রমিকরা শাড়ি ছাড়া অন্যকিছু তৈরি করতে পারে না। ফলে দেশিয় ও আন র্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকা সত্বেও স্কার্ফ, ওয়ালম্যাট, স্টোলসহ অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য তৈরি হচ্ছে না।
ঐতিহ্যবাহি এ শিল্পের সঙ্গে প্রচুর নারী উদ্যোক্তা জড়িয়ে আছেন। এ শিল্পকে ধ্বঃষের হাত থেকে রা না করলে মসলিনের মতো ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটিও বাংলাদেশ থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ শিল্পে দ মাস্টার ক্রাফটস ম্যানের খুব অভাব। এখনই সঠিক পরিকল্পনা না করলে দু'একজন যাও বেচে আছে মারা গেলে দারুণ সমস্যায় পড়তে হবে। শ্রমিকদের প্রশিণ ও বিনিয়োগ করতে পারলে ভারতের বাজার ধরা কোনো ব্যাপার না।
সরকারের উচিত এ শিল্পে ব্যবহৃত কাচামালের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার, সরকারি উদ্যোগে প্রশিণ কর্মশালাসহ যথাযথ সহায়তার ব্যবস্থা করা। এছাড়া বেনারশি শিল্পে ব্যবহৃত ডিজাইনের উপর কর্মীদের প্রশিণ দেয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




