একচল্লিশ বছর আগে একজন তুমি বজ্রকন্ঠে হুঙ্কার দিয়েছিলে,
'এবারের সংগ্রাম্, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম্,
এবারের সংগ্রাম্, স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
রেসকোর্সের চারপাশের ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বায়ুস্তম্ভও বোধকরি সেদিন হানাদার বধের নেশায় ঝড় তুলেছিল। গঙ্গার স্রোত গর্জে উঠে স্বাধীন বাংলার স্বপ্নে নতুন করে বয়েছিল। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির রক্তপ্রবাহে নাচন উঠেছিলো।
নাহ্, সেদিন তোমার সামনে লক্ষ জনতার কাতারে ...বসে হুঙ্কার শোনার সৌভাগ্য আমার হয়নাই। টু ইন ওয়ান ভাঙাচোরা রেডিওটার নবে মোচড় দিয়ে কান পেতেও শুনিনাই। এমনকি তার মাত্র ১৭ দিন পর অস্ত্র হাতে জানোয়ার হত্যার পবিত্র দায়িত্ব আমার হাতে দিতে স্রষ্টা বড় কার্পণ্য করেছিলেন। তাই আমি তোমার হুঙ্কার শুনেছি তেত্রিশ বছর পর।
অথচ, আমার রক্তেও ওই একই নাচন জেগেছিলো।
অথচ, রক্তপ্রবাহ গঙ্গার স্রোতের মত গর্জে উঠেছিলো।
অথচ, শত্রুবধের হুঙ্কার দিয়েছিলো প্রতিটি স্নায়ুকোষের শাখা-প্রশাখা পর্যন্ত।
তেত্রিশ বছর পরেও আমি লড়াইয়ের গন্ধে উন্মাতাল হয়েছিলাম।
নাহ্, এরপর আর কেউ বাঙালি জাতিকে আর ডাক দেয়নাই। যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে দেশটাকে রক্ষা করতে কেউ বলেনাই। আমরা তাই এখন অথৈ সাগরে। আমাদের এখন তোমাকে বড় বেশি দরকার শেখ মুজিব।
আরেকবার তোমার নেতৃত্ব দরকার আমাদের এই নতুন যুদ্ধে। এবারের যুদ্ধ বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর যুদ্ধ। মানুষের মুক্তির জন্য যুদ্ধ। আরেকদল হানাদারকে এই মাটি থেকে তাড়ানো যুদ্ধ। আরেকবার তোমাকে এখন দরকার বঙ্গবন্ধু।
হ্যাঁ, আরেকবার তোমাকে এখন দরকার বঙ্গবন্ধু।
যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত হবার ডাক দিতে পারেন যিনি।
মুক্তির নেশায় জাতিকে মাতাল করতে পারেন যিনি ।
পুরো জাতিকে এক করে দাঁড় করাতে জানবেন যিনি।
আজ ৭ মার্চ । একজন বঙ্গবন্ধু । একটি দুর্বার স্বপ্ন । একটি পতাকা । আর একটি বাংলাদেশ ।
কবিতাটি লিখেছেন ও পরিমার্জনা করেছেন ~ সাদী ফয়েজ্ ও অপ্রকাশিত এডমিন।