somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘অনামিকা’ তোমাতে কেন বিয়ের আংটি পড়াব ??

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনামিকা তোমাতে কেন বিয়ের আংটি পড়াব’ শিরোনামটি দেখে অনেকেই হয়ত ভাবছেন ‘অনামিকা’ নামের মেয়েকে আংটি পড়ানোর কথা বলছি। কিন্তু না এখানে অনামিকা বলতে কোন মেয়েকে বোঝানো হয়নি। এটা আমাদের হাতের পাঁচ আঙ্গুলের যে আঙ্গুলটি আমরা বেশি বা বিয়ের আংটি পড়ে থাকি সে আঙ্গুলটিকে বুঝানো হয়েছে। মানুষের হাতের আঙ্গুলগুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। আর ‘অনামিকা’ নামক আঙ্গুলে আমরা বিয়ের আংটি পড়ে থাকি।

আঙ্গুলগুলোর নাম:

মানুষের এক হাতে পাঁচটি করে আঙ্গুল থাকে, পায়েও তেমনই। আঙ্গুলগুলোর নাম তো অনেকেরই জানা তারপরও বলছি- বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠা।

ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে - থাম্ব, ইনডেক্স ফিঙ্গার, মিডল ফিঙ্গার, রিং ফিঙ্গার ও লিটল ফিঙ্গার।

আর চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় আঙ্গুলগুলোর কোনো নাম দেয়া নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানে সংখ্যা দিয়ে আঙ্গুল চিহ্নিত করা হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি ১ নম্বর, তর্জনী ২ নম্বর, মধ্যমা ৩ নম্বর, অনামিকা ৪ নম্বর ও কনিষ্ঠা ৫ নম্বর। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবশ্য আমাদের আঙ্গুলগুলোকে দুইভাগে ভাগ করা হয়; বুড়ো আঙ্গুল একরকম, বাকি চারটা আঙ্গুল আরেকরকম।

নামগুলোর নামকরন:

প্রথম আঙ্গুলটিকে বাংলায় বলে বুড়ো আঙ্গুল বা বৃদ্ধাঙ্গুলি। কেনো বলা হয়, তা পুরোপুরি জানা যায় নি। ধারনা করা হয়, আঙ্গুলটি দেখতে বুড়োদের মতো বলেই এমন নাম দেয়া হয়েছে বৃদ্ধাঙ্গুলি। ইংরেজিতে আঙ্গুলটিকে বলে থাম্ব।

দ্বিতীয় আঙ্গুলটিকে বাংলায় বলা হয় তর্জুনী। সবচেয়ে ব্যবহার হয় এই আঙ্গুলটি। এই আঙ্গুলটিকে ইংরেজিতে বলা হয় ইনডেক্স ফিঙ্গার। ইনডেক্স ফিঙ্গার ল্যাটিন শব্দ ‘ইন্ডিকেটাস’ থেকে নির্গত। যার অর্থ নির্দেশ করা। কিছু নির্দিষ্ট করে দেখাতে গেলে এই আঙ্গুল দিয়েই দেখানো হয়। এই আঙ্গুলটিকে ইংরেজিতে পয়েন্টার ফিঙ্গার, ফোরফিঙ্গার বা ট্রিগার ফিঙ্গার বলা হয়ে থাকে।

তৃতীয় আঙ্গুলটার নাম মধ্যমা। আঙ্গুলগুলোর মধ্যে অবস্থিত বলে একে মধ্যমা বলা হয়ে থাকে। মধ্যমাকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে মিডল ফিঙ্গার।

চতৃর্থ নম্বর আঙ্গুলটির নাম অনামিকা। মূলত এই আঙ্গুলটির কোন নাম নেই। আমরা এটাকে নামহীন বলেই ডাকি। ‘অনামিকা’ শব্দটি কিন্তু একটি সংস্কৃত শব্দ, অর্থ- নামহীন। আঙ্গুলটির চীনা নামটির অর্থও তাই। আবার, পশ্চিমের দেশগুলোতে আগে মনে করা হতো, এই আঙ্গুলটির কিছু যাদুকরী ক্ষমতা আছে। তারা মনে করতো, আঙ্গুলটির সাথে হৃদয়ের সরাসরি যোগ আছে। আর তাই, তারা বিয়ে করার পর বিয়ের আংটি এই আঙ্গুলে পড়তো। এখন সেই রীতিটিই সারা বিশ্বে প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সকলেই বিয়ের আংটি এই আঙ্গুলে পড়ে থাকেন। আর এখন শুধু বিয়ের আংটি নয়, যে কোন আংটিই এই আঙ্গুলে পড়ে থাকেন। আর এ ধারনা থেকেই এই আঙ্গুলটিকে ইংরেজিতে বলা হয় রিং ফিঙ্গার।

আর সর্বশেষ পঞ্চম নম্বর আঙ্গুলটিকে বলা হয় কনিষ্ঠা। হাতের সবথেকে ছোট্ট আঙ্গুল বলে এটির নাম কনিষ্ঠা। ইংরেজিতেও নামটি লিটল ফিঙ্গার। অনেকে আবার আদর করে আঙ্গুলটিকে পিংকি ফিঙ্গারও বলেন।

অনামিকাতেই বিয়ের আংটি:

বিবাহিত আর অবিবাহিত বেশির ভাগ লোকই জানেন যে বিয়ের আংটি কোন আঙ্গুলে পরতে হয়।

তবে বলা হয়ে থাকে যে, অনামিকা আঙ্গুলের সাথে সরাসরি হৃদয়ের সম্পর্ক রয়েছে।

এই ব্যাপারে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত থাকলেও চাইনিজদের ব্যাখ্যাটি জনপ্রিয়। তাদের মতে, আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী বা থাম্ব ফিঙ্গার প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের পিতা মাতা কে।

তর্জনী বা গ্রুমিং ফিঙ্গার প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের ভাই বোনদেরকে। মধ্যমা বা মিডল ফিঙ্গার প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের নিজেদেরকে।

এরপর অনামিকা বা রিং ফিঙ্গার যা প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী বা অর্ধাঙ্গী/অর্ধাঙ্গীনী কে বুঝায়।

সবশেষ আঙ্গুল যা কনিষ্ঠা বা লিটল ফিঙ্গার নামে পরিচিত তা প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের নিজ সন্তানদের কে।

একসময় না একসময় বাবা মা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। তারা সারা জীবন আমাদের সাথে থাকবেনা।
তারপর তর্জনীও দেখেন আলাদা করা যায় যা বোঝায় ভাই বোন ও আমাদের সাথে জীবন পার করবে না। তাদের তো ভাই আলাদা সংসার আছে।
মধ্যমা তো আমরাই।
এরপর ধরেন কনিষ্ঠা। দেখেন এইটাও আলাদা করা যায় যাতে বোঝায় আমাদের বাচ্চা-কাচ্চাও আমাদের সাথে জীবন পার করবেনা। তারাও তাদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।

এবার অনামিকা দুইটি পরস্পর থেকে পৃথক করার চেষ্টা করুন। আপনি বিস্মিত হবেন… অনামিকা দুইটি পৃথক হতে কষ্ট হচ্ছে! অনামিকাকে পুরোপুরি পৃথক করা সম্ভব হবেনা। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার সারা জীবনের সাথী, একে অন্যের সাথে সুখে দুঃখে পাশাপাশি কাছাকাছি থাকবেন ঠিক অনামিকার মত, সারাটি জীবন, যতদিন বেঁচে থাকবেন! আল্লাহও নিশ্চয়ই তেমনটিই চান।

এবার নিশ্চই আপনি বিয়ের আঙটি পরালে অবশ্যই অনামিকা-তেই পরাবেন।

সূত্র- উইকিপিডিয়া।

সূত্র-bdnews24.com
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×