AFC এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের খামখেয়ালিপনায় বাংলাদেশ বাদ পরে গেল। নিশ্চিত চুড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সপ্ন পরিনত হল হতাশায়।
বাছাইপর্বে পাঁচ গ্রুপের লড়াইয়ে নিজেদের ‘ডি’ গ্রুপে রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। গোল গড়ে সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেরা রানার্স আপ-এর যোগ্যতা নিয়ে বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার অপেক্ষায় ছিল।
D গ্রুপে বাংলাদেশের ফলাফল
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ০-১ গোলে হার
নেপালের বিরুদ্ধে ২-০ গোলের জয়
ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডস বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে বিশাল জয় নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেরা রানার্সআপ হয়েছিল।
কিন্তু ২২শে মার্চ E গ্রুপে ব্রুনাই নাম প্রত্যাহার করলে একটি জটিলতার শৃষ্টি হয়।
ফিফার রুল অনুযায়ী অনুপস্থিত দলের সাথে ওয়াকওভার হিসেবে ৩-০ গোলে জয় দেখানোর কথা। সেভাবেই হয়েছিল।
২১শে মার্চ থেকে সেটা ২৭শে মার্চ পর্যন্ত এএফসির ওয়েবসাইটে সেভাবেই দেয়া ছিল। এমনকি ২৬শে মার্চ ‘ই’ গ্রুপের শেষ খেলা ফিলিপাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচ রিপোর্টেও বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এএফসি। রিপোর্টে তারা উল্লেখও করেছে ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে টপকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হওয়া বিষয়টি নিয়ে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফিলিপাইনের জিএমএ নামক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
কিন্তু দুইসপ্তাহ পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বিভিন্ন লবিষ্টদের চাপে নতুন আইন তৈরি করে। নতুন আইনে অনুপস্থিত দলের সাথে ওয়াকওভার, জয় বা গোল কিছুই দেয়া হয়না, বরং অন্য গ্রুপের খেলাগুলো ৪র্থ স্থান দখলকারির সাথে খেলার হিসাব বাতিল করা হয়। এই আইনে অন্যান্ন গ্রুপের দেশগুলোও আক্রান্ত হয়।
D গ্রুপে ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডস চতুর্থ দল। যাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪-০ গোলের বড় জয় ছিল। নতুন বাইলজে এমন ক্ষেত্রে সব গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ দলের বিপক্ষে ম্যাচটি বাতিল গণ্য হয়। বাংলাদেশের এই বড় জয় ও গোল এভারেজ হিসাব বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেরা রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে চলে যায় তৃতীয় স্থানে। পেছন থেকে সবার ওপরে চলে আসে ‘সি’ গ্রুপের লাওস।
আর বাংলাদেশ দুর্ভাজ্ঞজনক ভাবে বাদ পরে গেল আগামী বছর মার্চে আট দলের চ্যালেঞ্জ কাপে মূলপর্ব খেলার আশা।