দিল্লির হোটেলের সামনে আসলো বাস, 42 সীটের বাস, আর একটা সুমো জীপ, এখন থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থা, ভারতের আরেক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি খুলেছে, এদের কাজ ভ্রমনকারিদের জন্য ড্রাইভার সহ পরিবহনের ব্যাবস্থা করা। 52 জন হওয়ায় আদর্শ বিভাজন হয়েছে, 42 জন বাসে থাকবে এবং 10 জন জীপে। লিটু ভাই যাচ্ছে জীপে, লিটু ভাইয়ের সাথে আরও 9 বান্দা উঠবে, যারা প্রথম ট্রেনের উঠার সময় 14 জনের কম্পার্টমেন্টে ছিলো তারাই যে জীপে যাবে এটা নিশ্চিত, হলবাসী ভাইয়েরা যাবে না, তাদের ঐক্য অটুট থাকুক।
জীপে উঠলাম, প্রথম সীটে লিটু ভাই আর বাবু। এর পেছনে 4 জনের সীটে জসিম, জামাল মুর্তজা, লুকু,পেছনের 4 জন তানভীর, আশফাক, আমি আর বলদ তানভীর। শমিক বাসে যেসব অভাগা আছে তাদের জন্য সান্তনা পুরস্কার। বাসে ঢাকাবাসীর সংখ্যা কম নয়, তবে জাহাঙ্গির ভাইয়ের দোকানের সামনে যেই 24 জন আড্ডা দিতাম তাদের সবাই এখানে আসে নি, তমালের আলাদা এবং নতুন একটা কারন তৈরি হয়েছে বাসে থাকার, আইভি, রুবেল স্বর্না র কারনে আসতে পারবে না, শমিকের ভাগ্যে সোনিয়া এবং রিম্পিকে সান্তনা দেওয়ার সুযোগ আছে আর যুঁথি স্বয়ংসম্পুর্ন। হৈ হৈ করে উঠে পড়লাম জীপে, আমাদের ড্রাইভারের নাম চৌহান, জম্পেশ ছেলে, বয়েসে আমাদের সমান হতে পারে, কিংবা ছোটো হবে, এখানে আসার পর সবাই কারনে অকারনে হিন্দিতে বাতচিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, অবশ্য খুব খারাপ কাজ করছে এমনও না, চৌহানের সাথে হিন্দিতে আলাপ জামিয়েছে মর্তুজা, আব হোগা, তাব হোগা, যানা হোগা, খানা হোগা,
এর মধ্যে লিটু ভাইয়ের সাথে কোলকাতা ভ্রমনের গল্প হয়েছে সবার সাথে, আমি অধিক উল্লাসে সবাইকে জলসেনার গল্প শুনাচ্ছি, হঠাৎ করেই লিটু ভাই তানভিরের নাম দিলে দারুসেনা। সারাক্ষন দারু নিয়ে থাকার জন্য তার নাম দারু সেনা। আশফাকের নামটাও পাওয়া গেলো সামান্য চেষ্টায়, আশফাক আমাদের চিন্তা সেনা, বাবু অর্থকরির দায়িত্বে আছে, তার নাম প্রথমে ছিলো অর্থ সেনা, পরে সামান্য সংশোধিত হয়ে সেটা দাঁড়াল ধনসেনা।
লিটু ভাইয়ের আপত্তি ছিলো সামান্য, ধনসেনা বলার বিষয়ে অবশ্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটা না ভোটের কোনো মুল্য নেই, লুকু হলো ফাজিল সেনা, মর্তুজার হিন্দি শুনে তাকে অবলীলায় হোগাসেনা নাম দেওয়া হলো।
সবার নামের সাথে সেনা যুক্ত করার চেষ্টা চলছে,বিভিন্ন নাম প্রস্তাবিত হচ্ছে, কণ্ঠভোটে বাতিল হচ্ছে সবই, লিটু ভাইয়ের নামটা অবশেষে হলো সেনাপতি। আমাদের সেনাপতি কমান্ডে আমরা 9জন সেনা যাচ্ছি আগ্রা, এই হলো ঘটনা। দিল্লির ধোঁয়ায় অন্ধকার রাস্তায় জ্যামে আটকে বসে আছি। আশেপাশে অন্তত 100 গাড়ি প্যাঁপোঁ করছে, এর মধ্যে বলদ তানভীরের মনে হলো ওর ঔষধ কেনা হয় নি, আমরা নীলক্ষেতের সামনের জ্যাম হাসিমুখে পার হই, এসব কোনো বিষয়ই না, একজন নেমে গেলো গটগট করে,গিয়ে ঔষধ কিনে আনলো, এর সাথেই লুকুর দাবি ছিলো একটা লিকার শপের পাশে গাড়ী থামাতে হবে, চৌহান সে রকমই করলো। লিকার শপ থেকে বেশ কয়েক বোতল বীয়ার নিয়ে আসা হলো। হাওয়ার্ড 5000, বিশাল বোতল, জীবনে প্রথম বীয়ারে চুমুক দিবো, তবে বাধ সাধলো চৌহান বলে চলতি গাড়ীতে বীয়ার পান নিষেধ, তোমরা একটু লুকিয়ে খাও, যদি ধরে তাহলে 10000 রুপি জরিমানা হবে। অগত্য লুকিয়েই বীয়ার চলছে, তানভীর তার গোপন সিন্দুক থেকে জনি ওয়াকার বের করেছে, লিটু ভাই হালকা ধমক দিলো, ব্যাটা পানি দিয়া খা, এইরকম র খাইলে স্টমাকের 12টা বাজবো।
তানভীর উলটা কইলো, লিটু ভাই, আমার ঐসব লাগে না, আমি এমনিই খাই, গ্যালাক্সিতেও পানি ছাড়াই খাই,
তানভীরের এই স্বভাব আছে, ও হাতে সামান্য টাকা জমলেই গ্যালক্সিতে গিয়ে 5 পেগ খায় তারপর টলতে টলতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, মাতাল হওয়া ওর কাছে একটা আনন্দের বিষয়। কেরু কোম্পানির ভদকা চালু জিনিষ, 5 পেজে টালমাটাল হয়ে যায় নাকি। আমাকেও একবার ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো এই এডভেঞ্চারে, সেখানের দারোয়ান আবার সালাম দেয়, তানভীর গটগট কড়ে ঢুকলো ঢুকে প্রথমেই 2 পেগের োার্ডার দিয়া বসলো। আমারে অনেক অনুরোধ করলো, আমি রাজি না, এই শালার কথায় যদি একবার খাইয়া ফেলাই টাইলে অন্তত 10 বছর ও গল্প ছড়াবে শালার একদিন রাসেলরে মাল খাওয়াইলাম, ঐ আমারে পালটা মাল খাওয়াইলো না।
আমি একটা কোকের অর্ডার দিয়ে বইসা বইসা ওর খাওয়া দেখলাম, আমি ফুসলানোর চেষ্টায় ছিলাম, ইচ্ছা ছিলো ওরে পুরা মাতাল কইরা রাস্তায় ছাইড়া মজা দেখবো, হইলো না, 4 পেগের পর ও কয়, আমার হয়ে গেছে, আমি আর পারবো না, আমি কই দান দান তিন দান, 40টাকা পেগ কইরা 4 পেগ হইছে 160, 200 পুরায়া যা, একটা রাউন্ড ফিগার হইলো, অবশেষে 5 নামবারটা গলায় দিয়ে কিছু ক্ষন বসে থাকলো ঝিম মেরে, তার পর কয় চল বাইরে চল।
আসার পথে আবারও দারোয়ান সালাম দিলো, তানভির কয়, জানোস এইখানে আওনের সময় একটা জিনিষই ভালো লাগে, এইশালার দারোয়ান ঢুকার সময় একবার স্যার কয় , বাইরানোর সময় একবার স্যার কয়, শালারে 5 টাকা বকশিশ দিয়া দেই।
এরপর যা ঘটলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি, সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে বেচারা আমাকে জড়ায়া ধইরা হেভি একটা কান্না শুরু করলো, নাক টানতেছে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে, গলা ধইরা আচে, আর তখন সায়েন্স লা্যবের মোড়ে বিখ্যাত জ্যাম, অন্তত 300 রিকশার মানুষ দেখতেছে, সেই ভেঙে পড়া ওভার ব্রিজের নীচে দাড়িয়ে এক পোলা আরেক পোলারে জড়ায়া ধইরা কানতাছে। আমারে কেউ ভালোবাসে না, কেউ পছন্ড করে না। সবাই আমারে উৎপাত মনে করে। তুইও আমারে গালি দিস শালা, যাউকগা তোর কথায় কিছু মনে করি না আমি, কিন্তু অন্য সব শালারা আমার লগে এই রকম করে ক্যান।
আমার কান লাল হইয়া গেছে, হে ধরনী দ্্বিধা হও বলে মাটিতে আত্মগোপন করার সেই সত্যযুগীয় বিষয় এখন ঘটে না, তাই ভর সন্ধ্যায় সায়েন্স ল্যাবের বিখ্যাত জ্যামে আটকে পড়া 300 রিকশার সামনে এক ছেলে আমাকে জড়িয়ে কান্নাকাটি করতেছে, আর আমি সংয়ের মতো দেখতেছি এই কাজ।
অবশেষে দুঃখ গলে জল হলো, যুঁথি ক্যানো আমাকে পছন্দ করে না, শালীর ঘরের শালী, আমার কি নাই, তুই ক রাসেল, আমার মতো পোলা ঐ দুনিয়া খুইজ্যা পাইবো, আমি একদিন এখানের প্রফেসর হবো, আমার বাপের এত টাকা, কিন্তু শালী আমারে পাত্তা দেয় না।
অবস্থা বেগতিক দেখে একটা খালি রিকশায় উঠে পড়লাম, সেই রিকশা নিয়ে কিছুক্ষন গেলেই বাসা, তখন গ্রিন রোডে থাকি, ল্যাব এইড, আইডিয়াল স্কুলের পাশে,
সেখানে ওকে নিয়ে গিয়ে লেবুর শরবত খাইয়ে, প্রায় 3 ঘন্টা ওর যাবতীয় জীবনকাহিনী শুনে নিস্কৃতি পেলাম, ওরে বাসায় পৌঁছায়া দিতে হইলো রাত 10টার সময়, আমার সীমিত টাকায় চলতে হয়, সেদিনের মতো সব টাকা শেষ, হেঁটে হেঁটে আজিমপুর থেকে ফিরতে হয়েছে ল্যাব এইড।
জসিম আয়েশী মানুষ, যাবতীয় উঠতি বালিকাকে পছন্দ করে প্রেমিকা হিসাবে, ওর এক ছাত্রি 9ম শ্রেনীর তার প্রেমে পড়েছে, ওকে বুঝানোর চেষ্টা করছি, এটা শিশু নির্যাতনের কেস হয়ে যাবে দোস্ত তোমার আইডিয়াল প্রেমিকার বয়স একটু বাড়ায়া এইচ এস সি পাস করাও, তুমি শুরু করছিলা এইচ এস সি দিয়া, দিন দিন উলটা বাগে যাইতেছো, আর কয়দিন পর কিন্টারগার্ডেনের মেয়ে পটানোর ট্রাই দিবা তুমি।
অবশ্য জসিমের প্রিয় শখ ওর ছয় তলার চিলেকোঠায় পুর্ণিমা রাতে মদ কিংবা গাঁজা খেয়ে চাঁদের আলোয় কবিতা পড়া। এবং তার প্রথম প্রেমিকার স্মৃতিচারন করা, এর পর 2য় প্রেমিকার, এর পর 3য়, অবশেষে সামপ্রতিকে এসে থামা। আমি ইর্ষা করি এইসব মানুষকে যারা অবলীলায় প্রেমে পড়তে পারে। আমি প্রচুর মেয়েকে পছন্দ করি, ক্ষনিক দেখায় উদ্্বেলিত হই, কথা সত্য কিন্তু সেই মোহকে টেনে প্রেম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সব সময় ঘটে না। বড় শখ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক সহপাঠির সাথে হয়ে যাবে, চোখের সামনে একর পর এক সহপাঠি অন্যের প্রেমিকা হয়ে গেলো। ভাবলাম নতুন ছাত্রি আসলে- ওরাও চোখের সামনে পর হয়ে গেলো, এই আশায় তরনী বাইয়া চললাম, কারো আমি হইলাম না আপন, যেই ডালে বান্ধি বাসা ভাঙে সেই ডাল অবস্থা, কোনো একটা মেয়েরে পছন্দ করলে কিছু ক্ষন পর ওর প্রেমিক আইসা বলে রাসেল ভাই ক্যামোন আছে, এইটা আমার বন্ধু অমুক। তাই আমার মনের দুঃখ মনে রইলো জানলো না তো কেউ,
অবশ্য এখন চেষ্টায় আছি, লোক মুখে শুনছি আমি নাকি রহিমার 8 নম্বর প্রেমিক, সপ্তাহে 7 দিন 7 জনরে দিলে আমারে কোন দিন দিবো এই হিসাবটা বুঝি নাই, আশায় আছি সামনে লিপ ইয়ার, ঐ লিপ ইয়ারের দিনটা বাড়তি, ঐ দিন ও আমার হইবো। চেষ্টা চালায়া যাইতেছি, রহিমা দেখলেই আররররে রহিমা সুন্দরি বলে ডাক দেই, রহিমা সামনে আসে একটু হাসে, আমি বুকে হাত দিয়ে উলটে পড়ি মাটিতে । বড়ই সৈন্দর্য্য সেই হাসিতে।
সকাল বেলা কুতুব মিনারে বিশ্রি এক ঘটনা ঘটেছে, সবাই মিলে কুতব মিনারে ঘুরছিলাম, লুকু মুখ ফসকে বলেছে দেখছোস শালার কত বড় ধন, চাগায়া রইছে ক্যামোন, পিছনের শ্রদ্ধেয় স্যার ছিলো খেয়াল করি নাই, আমাদের খ্যাঁক খ্যাঁক হাসি গিলে ফেলতে হয়েছে। সেখানে কয়েক দফা ফটো সেশন হলো, এক মধ্যে একদল বিদেশি টুরিস্টের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের রক মানে টিপু ছবি তুলছে, সেই মহিলার সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা যাকে বলে, রাগে পিত্তি জ্বলে গেছে আমার। ওর আবার রকের মতো কোনা করে কাটা চিপ, 3 সাইজ ছোটো গেঞ্জি পড়ে ঘুরে, পোলা খারাপ না সিলটি পোলা, সিলেটের যাবতীয় প্রেষিতভতৃকার সাথে আলগা খাতিরের চেষ্টা করে।
সঞ্জয় সানগ্লাস পড়ে সোনিয়ার দিকে তাকায় হাসে, সোনিয়া অবশ্য খুশী, তবে ধর্মের বাধাটা বড় একটা বাধা। শমিক সবার সাথে সমানে ফ্ল্যার্ট করতেছে, সোনিয়াকে গিয়ে বললো, আপন গড তোরে হেভি সেক্সি লাগতেছে, তোরে দেখলেই....
সোনিয়া উৎসাহি হয়ে বলে দেখলে কি বল?
রিম্পিকে গিয়া বলে তোরে একটু স্লিম লাগে ডায়েট করিস নাকি?
আইভিরে গিয়া বলে সোনামনি তোমারে দেেেখ হেভি আদর আদর লাগে/
অবশ্য সবাই উপভোগ করে,
যাদের কেউ নেই তাদের জন্য বান্দা হাজির সব সময়।
ফটোসেশনের একটা পর্যায়ে তানভীর দাঁড়িয়ে ছিলো যুঁথিপর াশে, যুঁথি মুখ ঝামটা দিয়ে অন্য পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি একটু দুরে দাঁড়িয়ে মজা দেখতেছি, ছবি তুলতে ভালো লাগে কিন্তু ছবির সাবজেক্ট হইতে ভালো লাগে না আমার। কিছুক্ষন পর দেখি বেচারা আার পিছনে দাঁড়ায়া আমাকে বলে দেখো রাসেল কি রকম করে তাকায় আছে তানভীর আমার দিকে। যেকোনো পুরুষের পৌরুষ উদ্দিপ্ত করার জন্য এমন বানি যথেষ্ট। তার কাছে একজন শরণ চেয়েছে এবং তাকে রক্ষা করা পুরুষের দায়িত্ব, আমি ট্যাংট্যাং করে তানভিরে ওখানে যাই, গিয়া বললাম বেটা একটু সামলায়া, তুই তো খাইয়া ফেলবি চোখ দিয়া, দোস্ত একটু সামলায়া তাকা, যদি এমন করিস তাইলে মাইয়া পটবো না।
তানভীর সিরিয়াস মাইন্ড খাইছে, আমাকে বললো, বেটি আমার পাশ থেইক্যা লাফ দিয়া গেলো গা, আমার গায়ে কি বাজে গন্ধ তুই ক আমাকে, আমার সাথে এই রকম করে ক্যান? শালীরে আমি যদি সবক না শিখাইছি তো আমার নাম তানভির না। আমি বলি, দ্যাটস মাই ম্যান, তোরে দিয়াই হইবো, তুই জিনিয়াস,
ও কয় আমি আর ওর আশে পাশে যামু না, আমার হেভি অপমান হইছে, তয় ওর দিকে দুর থেকে তাকায়া থাকবো। লাড়কা আঁখিয়োসে গুলি মারে লাড়কা কামাল। আঁখিয়োসে গুলি মারামারি চলবে জেনে আশ্বস্ত হই। অযথা কারো সাথে ঝামেলা বাজানোর কোনো মানে হয় না।
সেই তানভীর মনমরা হয়ে জনি ওয়াকারের বোতল থেইক্যা মাল ঢালতেছে গলায়। আমি একবার এর মধ্যে ড্রাই জিন ট্রাই করছি, ভয়ংকর রকমের বিস্বাদ। মদের প্রতি যেমন মোহ তৈরি হওয়ার কথা ছিলো তা কেটে গেলো এই ড্রাই জিনের এক চুমুকে। লুকু লেমন জিন ট্রাই করতে বলে আমি না কইরা যাই। ঘর পোড়া গরুসিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় আমি ড্রাই জিনের শোকে যাবতীয় জিনকে দুরে সরিয়ে রাখি, প্রয়োজনে তাবিজ বাঁধবো তবু জি্বনকে গলায় টানবো না।
অন্ধকার ঘন হচ্ছে, দিল্লি শহর ছাড়িয়ে ভারতের মসৃন হাইওয়েতে চলছে জীপ। পেছনের বাস কোথায় কেউ জানে না, আমরা অবশ্য খুব খুশী নিজেদের ইচ্ছামতো গাড়ী থামানো যাবে। বিলাসিতা একেই বলে। এবং এটা করে দেখার জন্যই একবার রাস্তায় জিপ থামিয়ে সার বেধে সবাই মুতলাম, ভারতের উন্মুক্ত আকাশের নীচে প্রথম বার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


