somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমন 09

১০ ই অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীপ চলছে, হাইওয়েতে উঠার পর পিছনের গাড়ী খেয়াল করে বীয়র চলেছে কয়েক দফা। হাওয়ার্ড 5000 কেমন জিনিষ, কড়া না হালকা বুঝলাম না, তিতকুটে একটা স্বাদ গলার কাছে আটকে থাকলো কিছুক্ষন, গাঁজার মতো বলিষ্ট না এই স্বাদ, গাঁজা যেমন গলায় লেপ্টে থাকে তেমন কোনো বিশ্রি অনুভব নেই তবে ঢোক গিললে সামান্য তিতা লাগছে, লুকুর দিকে তাকিয়ে বললাম এই তোগো বিয়ার শালা, ফালতু জিনিষ।
ও আমাকে বলে এইটা কি প্রথম বার? তাইলে এই রকম লাগবো, তয় পরে ঠিক হয়্যা যাইবো।

কখন আগ্রা পৌঁছাবো জানি না, জিজ্ঞাসা করা হয় নি, যখনই পৌঁছাই পৌঁছে গোসল দিতে হবে গা ঘিনঘিন করছে, ইন্ডিয়া গেটের কাছে গিয়েছিলাম, ওখান থেকে বেরিয়ে দেখি এক বান্দা বড় এক অজগর সাপ নিয়ে বসে আছে, কথা হলো, শমিক দেখি সাপ ঘাড়ে তুলে ছবি তুললো ঐ লোকের মতো। 3 জন মেয়ে ছিলো ওদেরও অনুরোধ করা হলো, অবশ্য ওরা এসব অনুরোধে রাজি হবে না এটা জানতাম।
আমাকে বললো নিতে পারবি তুই? আমি চিরটাকাল সাহসী পুরুষ, বললাম সমস্যা নাই দে।
সাপ অতিশয় বীভৎস এক প্রানী, শীতল রক্তের প্রাণী, যার অর্থ পরিবেশের সাথে এদের গায়ের তাপমাত্রা উঠানামা করে, আর দিল্লিতে শীত পড়েছে, ডিসেম্বর মাসে কখনও কখনও রাতে 0 র কাছাকাছি তাপমাত্রা পৌঁছায়। তবে এই বিকালের কাছাকাছি সময়ে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয়, টি শার্টের উপর দিয়ে সাপকে ঘাড়ে ফেললাম, যেভাবে লোকটা রেখেছিলো তার অনুকরন করার চেষ্টা। ভেজা ভেজা শীতল একটা অনুভুতি, সাপের চামড়া সামান্য খসখসে তবে তবে ভেজা ভাবটা বেশী। কেউ যদি নতুন গামছা ভিজিয়ে গায়ে ঘসে যেমন অনুভুতি হবে তেমন অনুভুতি অনেকটা। শুধু কিলবিলে বেপারটা বাদ দিতে হবে আর আমাদের চিরকালীন সর্পভীতি। অবশ্য ভালো বিষয় হলো পৃথিবীতে যত প্রজাতির সাপ আছে তার মাত্র 10% বিষাক্ত, এবং এদের মধ্যে বেশির ভাগই লোকালয়ে থাকে না, তাই লোকালয়ে বিষধর সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা কম। তবে সাবধান, উজ্জল যেকোনো সাপই বিষাক্ত। যে সাপ যত উজ্জল এবং তেলতেলে ওদের কাছ থেকে ততদুরে থাকতে হবে।
ব্যাতিক্রম আছে তবে মোটামুটি বেশিরভাগ বিষাক্ত সাপই উজ্জল বর্ণের ।

এসব ডিসকভারি চ্যানেলের জ্ঞান শুনে কেউ প্রলুব্ধ হয় নি, অজগর সাপ বিষাক্ত না, এনাকোন্ডায় দেখা ভয়ংকর সাপ আসলে নেই, আর মানুষের মতো প্রানীকে ওরা আসলে ভয় করে, এসব আশ্বাসেও কিছুতেই কেউ রাজী হলো না সাপ ঘাড়ে নিতে। বরং ছি ছি ওমা, তোরা না, এ জাতিয় অর্থহীন অব্যয়ের ছড়াছড়ি সেখানে।
ইন্ডিয়া গেট, প্রধানমন্ত্রির বাসভবন, কুটনৈতিক পাড়া, বিভিন্ন ভবন, সত্যি চমৎকার ডিজাইনের কিছু বাসা আছে, কিছু আছে দেশের ঐতিহ্য অনুসারে বানানো ও সাজানো দুতাবাস, সরকারি অফিসারদের ভবন, এসবের কোনো একটাতে যাযাবরের নিবাস ছিলো একটা সময়। সেই যাযাবর যে কি না দৃষ্টিপাত নামের এক বই লিখেছে, আর দিল্লি র মেয়েরা হট। সালোয়ার কামিজ এবং পুষ্টিকর খাওয়ার খাবার কারনে বেশ চমৎকার সাস্থের অধিকারিনী। ছেলেরাও চমৎকার সাজুগুজু করা। আমার গাল ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সচারাচর আমার দাড়ি কাটার সিডিউল সপ্তাহে এক দিন, তবে সেটা সব সময় পালিত হয় না, মাঝে মাঝে 9 দিন 10 দিনও হয়ে যায়। এমন সময় বিকাল বেলায় এক পার্কে দেখলাম এক বাচ্চাকে, বেচারার কিছু একটা পড়ে গিয়েছিলো। আমি সুন্দরকে উঠালাম, উঠিয়ে টাকে ফেরত দিয়ে বললাম হাউ আর ইউ?
সেই বাচ্চা জীবনছাড়া চিৎকার করে কান্না শুরু করলো। বড়ই নাকাল অবস্থা। মানসম্মান নিয়ে টানাটানি।চিৎকারে সেই ছেলের বাবা মা ছুটে এসেছে, আমি হাত উপরে তুলে সরি বললাম, সেই ছেলের বাবা আরেক কাঠি সরেস বলে ইটস ওকে, নাউ সে হিম সরি, কিছু মনে করিও না ও একটু এই রকম। আমরা পরস্পর ক্ষমাপ্রার্থনা করে সিদ্ধান্তে আসলাম এই বালের দেশের কোনো বাচ্চারে আর আদর করবো না, শালার বজ্জাত দেশের বজ্জাত বাচ্চা বেয়াদপ, আমার দেশের বাচ্চাদের মাথায় হাত বুলানো যায়, একটু দাড়িয়ে গল্প করা যায় ওদের সাথে, এই ত্যাঁদোর পয়দাগুলার মাথার 10 গজ আশে পাশে গেলেই শালার বাচ্চারা কাঁইমাই করে।

শমিক ব্যাবস্ত ক্যামেরা নিয়ে, মাঝে মাঝেই ছবি তুলছে, আমরা দল বেধে হাটছি, এক পশলা চা হয়ে গেলো। আমার সিগারেট শেষ, লুকুর সিগারেট শেষ, লিটু ভাইয়ের প্যাকেট আছে দেড়টা। এই হলো হিসাব, জসিমের সাথে পয়াকেট নাই, অবশ্য ও খুবই কম খায় , কিন্তু আমার লিটু ভাইয়ের লুকুর আবার না হলে চলেই না, আর লিটু ভাইয়ের প্যাকেট শেষ ভরসা আমাদের। লুকু ইন্ডিয়ান সিগারেট কিনেছে, কিনে কিরক্ত মুখে টানছে, আমিও একটা 10টার প্যাকেট কিনলাম।

সেই ভয়ংকর স্যাঁতস্যাঁতে অনুভুতিটা কিছুতেই গা থেকে সরছে না। তানভীর জনি ওয়াকারের বোতল অর্ধেক লোপাট করে ঝিমাচ্ছে, তানভীর বলদা শালা ঘাড়ে হেলান দিয়া ঘুমাচ্ছে, আশফাক চুপচাপ, লুকুর সাথে আশফাকের রীতিমতো শীতল যুদ্ধ সম্পর্ক খুবই খারাপ। সেই আই সি সি ট্রফি যেদিন জিতলো বাংলাদেশ ডিপার্টমেন্টে রং ছুড়াছুড়ি হইছিলো, সেই দিন লুকু আশফাককে রং দিছিলো, আশফাক বলছে, ভাই রং দিবি ভালো একটু বলে দিবি না, শার্টটা খুলতাম।
এই কথায় লুকু উথালপাতাল রেগেছে, আর তারপর থেকে ও আশফাকের সাথে কথা বলে না। এই বিষয় আমি জানতাম না, শুনলাম বিকাল বেলাই, বুঝলাম তাহলে এই কেস, কেনো আড্ডায় ও আসতো না নিয়মিত। আসলেও কেনো বেশিক্ষন বসতে চাইতো না।

কিরে বালগুলা তোরা ম্যান্দা মাইরা পইরা আছোস ক্যান, তোগো কি কোনো উচ্ছাস নাই, গান গা বেটারা। আমি আছি ব্যাক আপ দিমু নে।
আমার গানের গলার কোনো প্রশংসা শোনা হয় নি কখনই তবে লুকুর গানের গলা ভালো। ইঙ্গিত টা ওদিকেই যায়। আমরাও সায় দিলাম তবে চলুক। রাজ্জাকের কোনো এক ছবির গান ছিলো, ইটস এ সানি সানি ডে, আমি জানিও না সম্পুর্নটা। লিটু ভাই ভয়ংকর গলায় সেই গান শুরু করলো। ম্যান এনজয় ম্যান এনজয়। ইটস এ সানি সানি ডে, চলো আসি ঘুরে, মাথায় টুপি পড়ে,
আমরা সবাই হেঁড়ে গলায় শুরু করলাম গান গাওয়া। এর পর বাচ্চু, বাচ্চুর পর দলছুট, জসিম তখন বেশী রকমের দলছুট শুনছে, বাংলা ছবি, আব্দুল জব্বার, যার যেটা মনে আসছে উত্থাপিত হচ্ছে আর সেটাই গেয়ে শুনিয়ে দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের।
তানভীরের আর বলদের ঘুমের কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না এটাই আশ্চর্য। ওরা ঝিমাচ্ছে মনোযোগ দিয়ে। অবশেষে শালা লা লালাল লা, শালা লালা শায়লা। মর্তুজা জীবন ফিরে পেলো। আহা শায়লা মেয়রা জোশ মাইরি, ফিগারটা কি দেখছস, চাককু মামা পুরা চাককু।
লিটু ভাই গলা খাঁকড়ি দিলো একটা সাবধানে, কি করো তোমরা? একটু সবাধানে কথা বলো মিয়ারা।
আমরা ব্যাক আপ দিয়া বলি লিটু ভাই আপনি আমাদের সাথে এমন করলে কিভাবে হবে? একটু মাঝে মাঝে মুখফসকে এটাসেটা বের হয়ে যাবে ওটাতো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে,
মাঝে মাঝেই মুখফসকেছে, তবে লিটু ভাইয়ের সীমারেখা অতিক্রম না করার চেষ্টা টা সব সময় ছিলো।
লিটু ভাই কিছু ক্ষন পর বলে আচ্ছা চৌহানকে বলো কোথাও গাড়ী থামাতে একটু চা খাবো।
লিটু ভাইয়ের হিন্দি ভয়ংকর, সময় সুযোগ পেলে ইংরেজি ছবি দেখে, হিন্দি দেখা হয় না, আর এ কারনেই তার হিন্দি বলার প্রচেষ্টা দেখলে আমার গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে ইচ্ছা করে। বাবু ট্রান্সলেট করে দিলো হিন্দিতে, চৌহান বলে কোই প্রব্লেম নেহী, সামনে এক ধাবা হ্যায় উসপে রাখদেঙ্গে।
আমরাও কই ওকে, নো প্রব্লেম
ধাবা আসলে পাঞ্জাবি হোটেল, ওরা খুবই উৎসব প্রিয় মানুষ, সবাই শিখ না, তবে শিখদের মতো জীবন্ত অন্য কোনো জাতি নেই, বর্নিল এবং উৎসবমুখর। ডালের মেহেদির গান বাজছে উঁচু ভলু্যমে। বিভিন্ন রংয়ের প্লাস্টিকের চেয়ার সাজানো। খাওয়া সস্তা বলা যায়,মাটরপনির, পনির ডাল, পালং পনির, মাখনি, হাবি জাবি না, আমি একটাও জানি না কি, কেনো, আর তন্দুর, ওরা কয় নান, তো নান রুটি আর মাটরপনির দিয়ে একচোট ভুড়িভোজ হয়ে গেলো। বোধ হয় সিগন্যাল দিয়েছিলো আগেই, ঠিক মতোই বড় বাসটাও ওখানেই থামলো। সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলো। এই ধাবার পেছনে বিশাল টয়লেট, মেয়েদেরটার কথা জানি না, ছেলেরা পাশাপাশি ইউরিন্যালে গল্প করতে করতে কাজ সারতে পারে।
সবাই ফ্রেশ হয়ে খেয়ে আবার রওনা দিলো আগ্রা। সোনিয়া রিম্পি অনুরোধ করলো ওদের জীবন একেবারে ডাল হয়ে আছে, ওদের জন্য লুকুকে ধার দেওয়া হোক, লুকু গেলো জীপ থেকে জীপে আসলো শমিক। শমিকের প্রায় পুরো গীতবিতান মুখস্ত। ওর প্রিয় গান নজরুলের গান, আর ড্রিম থিয়েটার, এর পর আন্তাক্ষরি খেলা শুরু হলো, চৌহানের সুবিধার জন্য হিন্দিকেও ইনক্লুড করা হলো। তাই আমরা সবাই একসাথে গান গাইছি, মাঝে লিটু ভাই জিজ্ঞাসা করছে চৌহান সিগারেট খায় নাকি, চৌহান বলেছে, হরওয়াক্ত নেহী, কাভি কাভি পি লেতা হু।
তাই সিগারেট ধরিয়ে তাকে দেওয়া হলো , মোটামুটি জম্পেশ হচ্ছে ভ্রমন, জমে গেছে,
চৌহান কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশী তড়িঘড়ি না করার জন্য, পেছনের বাস যেনো তাকে অনুসরন করতে পারে এমন ভাবে চালাতে বলা হয়েছে, চৌহান সদ্য যুবক, মাঝে মাঝেই আবেগে 120 এ টান দেয়, অনেক দুর গিয়ে গাড়ী থামিয়ে অপেক্ষা করে, মেরে ভাই মুঝকো কাট ডালে গা। উহ বোলা হার ওয়াক্ত সাম্বালকে চালানে কো।
অবশেষে আগ্রা পৌঁছালাম, হায়দ্্রাবাদ, টিপু সুলতান, আর কোন এক বিশ্বাস ঘাতক নিজামের জন্য পরিচিত।একটা 3তারা হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা হয়েছে, সুবিধার না, হোটেলের ভাড়া সিঙ্গেল বেডরুম 900 রুপি, তবে আমি নিশ্চিত আমরা 900 রুপি দিয়ে থাকছি না এখানে, বাস থেকে নেমে যথারীতি রুম বন্টন চলছে, আর ওরা নিজেদের জন্য কিচেনে ব্যাবস্থা করে নিয়েছে, ওখানে রান্না হচ্ছে, রান্না শেষ হলে খাওয়া।
একই গল্প। লিটু ভাই আশফাক, তানভীর তাদের রুপে চলে গেছে, সবাইকে আবারও বুঝিয়ে দিয়ে 3 তলার এক কক্ষে ব্যাগ নামিয়ে রেখেছি সদ্য। আবার দেখি ঝামেলা। মামুন এসেছে, খুব গম্ভির মুখে দাঁড়িয়ে আছে, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমাদের রুমের জানলার কাঁচ ভাঙা।
বললাম নিচে রিশেপশনে গিয়া বল, ওরা ঠিক কইরা দিবো। বলে না তোরা দায়িত্বে আছিস তোরা এইসব দেখবি, এমনিতেই মেজাজটা বিলা বললাম তো হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট ফ্রম মি? আমি সারারাত জানালায় কাজগ লাগায়া দাঁড়ায়া থাকবো আর তোমরা ঘুমাইবা?
বলে হ্যাঁ প্রয়োজনে তাই করবা।
আমি বললাম যাও গিয়া বলদের পুটকি মারো বাল আমার, এইসব আলাপ চোদায়ো না, একটা কাগজ কাইট্যা লাগায়া দাও, নাইলে রিশেপশনে গিয়া আলাপ করো।
এর পর আসলো জ্যোতি, আমাদের রুম বদলে দাও, আমাদের রূম পছন্দ হয় নি, ঠিক আছে মায়েরা আমার, তমাল ব্যাগবোচকা সহ অন্য রুমে হিজরত করলো। তলামের সাথে বাবু আর রুবেল। আমার সাথে লুকু আর শমিক, চার বেডের রুম হলে মর্তুজা রুবেল তমাল বাবু এক সাথে থাকে। আমাদের কোনো সমস্যা নাই আসলে, তবে এটা সত্য যে হলবাসিদের সাথে আমার রুম শেয়ার করতে হয় নি, সোনিয়া রিম্পির সাথে অন্য এক মেয়ে থাকছে, ঝন্টু আর সিরাজের প্রেমিকারা একই রুমে থাকে যেমন ওরা দুজন এক রুমে থাকে, মুকুল টিপু, দুলাল সঞ্জয় একসাথে, পলাশ চন্দন, মামুন এক সাথে, এই রকমই নির্দিষ্ট হয়ে গেছে । যেযার পছন্দ মতো সঙ্গির সাথে থাকছে।
আমি পৌঁছেই বাথরুমে গিয়েছি। ফ্রেশ হওয়া দরকার, বেশ আয়েশ করে শাওয়ার ছাড়লাম, পানি আসে না, নড়াচাড়া করছি, এক ঝোঁক পানি আসলো। পানি গায়ে পড়া মাত্র জ্বলে গেলো মনে হয়, পরবর্তি অংশ আসার পর বুঝলাম আসলে পানি বরফের মতো ঠান্ডা, যেখানটাতে লেগেছে সেটা অবশ হয়ে গিয়েছে মোটামুটি ভাবে, মাথায় সামান্য পানি ছিলো ওটা কোনো মতে মুছে সরাসরি রিশেপশন, শালার বেটারা জীগার ছাড়ে নাই ক্যান। তো ওরা বললো নাহ ভাই গীজার ছাড়া হইছে, তবে পানি গরম হইতে সময় লাগবে, কেপ্পনচোদা ভারতীয় শালারা, হোটেল খুইল্যা বয়া আছো, হোটেলে গরম পানি নাই, গিয়া একঘন্টা বয়া থাকতে হইবো না কি। ট্রাভেল এজেন্সির পাবলিককে বললাম ভাই এইটা কি শুরু করছেন, অন্তত ওদের পৌঁছানোর সময়টা বলে দিতেন, ওরা রুম ঠিক করে রাখতো গরম পানি পেতাম এসেই, এখন এখানে বসে থাকো, পানি গরম হবে ফ্রেশ হবো।
আবার একচোট গেলো রিসেপশনের উপর দিয়ে, ওদের অর্ধের রুমের ফ্লাশ কাজ করে না। কোনোটাতে গরম পানি আসছে না এক ঘন্টা পরেও। বিভিন্ন রকম হিসাব মিলিয়ে আর পারছি না মোটেও। বাইরে ঠান্ডা পড়ছে, চরম ঠান্ডা, লবিতে বসে সিগারেট টানি আর অপেক্ষা করি কখন রান্না হবে কখন খাবো।
এর পর লিটু ভাই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুম। আমরা একটা রুমে ঢুকে আড্ডা, বিশাল আড্ডা যাকে বলে। সোনিয়া রিম্পি, আইভি, স্বর্না, যুঁথি, তানভীর মর্তুজা, শমিক লুকু, জসিম, জামাল, রুবেল তমাল বাবু, রুম হীটার 50 টাকা রাত, নিয়ে আসা হয়েছে, আড্ডা চলুক ভালো মতো। লুকুর রসিকতা চলছে, স্বর্না এককালে বাবুকে পছন্দ করতো, বাবু না করেছে, এখনও সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় নি, সোনিয়া ভালোবাসা শব্দটার প্রেমে পড়েছে, বলে দেখছিস আমার সঞ্জু ডার্লিং কিরম করে দেখে, শাল হ্যান্ডসাম আছে, ভাবতেছি ওর সাথেই ঝুলে পড়বো।
জসিম তোর হাত কি মোলায়েম রে, নাহ তুই আমার ডার্লিং, রিম্পি লুকুকে পছন্দ করে তবে অপ্রকাশিত প্রেমের দহনে পুড়ছে, আইভিকে প্রথম দেখেই তমাল কাইত, ওর পছন্দ যেমন মেয়ে সেরকম রোগাভোগা, একটু দুর্বল, দেখলেই মনে হয় সহায়তা লাগবে এমন ধাঁচের মেয়ে, তমালও বেশ খেয়াল রাখছে আইভির, যাও ঘুমাতে যাও, বেশি দেরি করে ঘুমালে শরীর খারাপ করবে। আইভি চলে গেলো। চলে গেলো স্বর্না যুঁথি, একে একে সবাই যে যার রুমে চলে গেলো। আমরা ধোঁয়ার ঘর অন্ধকার করে ছেলেদের আড্ডা শুরু করলাম,
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×