গতকাল সুনিতা পলের লেখা পড়ে বিরক্ত হয়েছিলাম, যদিও সুনিতা পলের সাথে কোনো যোগাযোগের সুবিধা নেই, তবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তার আগ্রহ আমার পছন্দ হয় নি। কোথাও স্পষ্ট বলা নেই বাংলাদেশের সাথে সুনিতা পলের যোগাযোগ কোন সূত্রে, তবে Click This Link
এই লেখাটা পড়বার পর থেকেই ভাবনা বিক্ষিপ্ত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যতটা গালি দেওয়া সম্ভব দিয়েও গায়ের ঝাল মিটছে না, একবার মনে হলো এটার প্রতিবাদ করা প্রয়োজন, তবে গ্লোবাল পলিটিসিয়ান সাইট ই মেইল ফিডব্যাক নেয়, সরাসরি বলবার উপায় নেই, সেখানে ই মেইল করবো হয়তো তবে তার আগে নিজের গা জ্বলুনি কমিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
সুনিতা পল এই লেখায় বিশিষ্ট ইহুদিপ্রেমী ভুমিকায় অবতীর্ণ, বাংলাদেশ ইসরাইলকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয় নি, যদিও ইসরাইল অন্য সব মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের স্বীকৃতিও চাইছে অনেক দিন ধরে, তবে বাংলাদেশ এখনও সেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নি।
তাইওয়ানকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয় নি চীনের চাপে, তাইওয়ান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়েছিলো তবে চীন এখনও তাইওয়ানকে নিজেদের তালুক ভাবে, সেখানে নির্বাচন হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অস্থায়ী অবস্থান গ্রহন করে, তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহরা চালায়- এবং সুনিতা পলের অভিযোগ মতো ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এর সদস্য দেশগুলোর ভেতরে ইরাক, ইরান সিরিয়ার উপরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবার চেষ্টা করে, ইরাকে অনেক দিন অর্থনৈতিক অবরোধ ছিলো, ইরানে অন্তত ১ বছর আগেও পরমাণু অস্ত্র প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক অবরোধ ছিলো, তবে সুনিতা পল এইসব নিয়ে না লিখে বাংলাদেশকে সম্মানিত করবার প্রচেষ্টা করলেন কেনো?
তথ্যের অবাধ প্রবাহ অন্তর্জালে, তবে তথ্যের যাচাই বাছাই করবার সময় কোথায়, বাংলাদেশ সরকার সুনিতা পলের লেখার বিরোধিতা করবে এমন তৎপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর নয়, কিংবা বাংলাদেশের তথ্য দপ্তর, আমি ঠিক জানি না সুনিতা পলের এই প্রচারণার প্রতিবাদ কুটনৈতিক ভাবে করা উচিত না কি এটা তথ্যবিকৃতি বলে এটার প্রতিবাদ করা উচিত।
ইহুদিবিদ্বেষী বাংলাদেশ পরিচয় তুলে ধরে যখন সুনীতা পল আব্দার করেন এ কারণে বাংলাদেশের পন্য বর্জন করা উচিত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কঠোর নীতিমালা গ্রহন করা উচিত তখন মাগীর হোগার কাপড় তুলে মনে হয় বিছুটি পাতা লাগিয়ে দি।
বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বর্ণবাদের কারণে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রাখে নি, এখনও যেহেতু বাংলাদেশ ইসরাইলকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয় নি তাই ইসরাইলের অস্তিত্ব সম্পর্কে উদাসীন বাংলাদেশ, যখন বাংলাদেশ এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিবে তখন সুনিতা পল কোনো অভিযোগ আনলে আমি মানতে পারতাম, বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয় ভাবে অস্তিত্ববিহীন একটা ভুখন্ডের জন্য সুনিতা পলের মায়া কান্না আর বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের মদদদাতা রাষ্ট্র, হামাস এবং অন্যান্য জঙ্গী দলগুলোর প্রতি সহানুভুতিশীল একটা রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা এবং এমন দাবি করা যে বাংলাদেশের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যে আসলে ইসলামী শয়তানের উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশ ইহুদিবাদ, যুক্তরাষ্ট্র এবং সেমেটিকদের শত্রু দাবিটা করবার সময় এই চুতমারানী মহিলার কি মনে হয় নি, ক্রিশ্চায়িনিটি সেমিটিজমের একটা রুপ হলেই ইসলামিজম সেমিটিজমের আরেকটা রুপ, বাংলাদেশ এন্টিসেমেটিক আদর্শ ধারণ করে না।