আজ ১৯তম জাতীয় টিকাদান দিবসে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নবজাতক থেকে শুরু করে ৫ বছরের কম বয়সের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে পোলিও টিকা এবং ১ বছর থেকে শুরু করে ৫ বছরের কম বয়সী ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো এ কর্মসূচির লক্ষ্য।
এ থেকে একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতনতাও জরুরি সেক্ষেত্রে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি ছাড়াও এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং থাকা দরকার আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।
পোলিও একটি মারাত্বক রোগ। নির্দিষ্ট বয়সে টিকা না খেলে এ রোগের ঝুঁকি থেকে যায়। ২০০০ সালের ২২ আগস্টের পর দেশে আর কোন পোলিও রোগী পাওয়া যায়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়ে থাকে। এটা এ কর্মসূচির সাফল্য নিশ্চয়ই। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), ইউনিসেফ, জাপান সরকার ও রোটারি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিওর সক্রিয় সম্পৃক্ততা, সর্বোপরি জনগণের অংশগ্রহণে অর্জিত হয়েছে এ সাফল্য। তবে এতে আÍতুষ্টির সুযোগ নেই। হু এখনও বাংলাদেশকে পোলিও নির্মূলের সনদ দেয়নি। ভারতে গত বছর ৪১ জন পোলিও রোগী শনাক্ত হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী কোন দেশে যদি একজনও পোলিও রোগী পাওয়া যায়, তাহলে পোলিওমুক্ত দেশের স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত ঘোষিত হয়নি। পোলিওর পাশাপাশি হাম, ধনুষ্টংকারসহ শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সরকারের কর্মসূচির সাফল্যও কাম্য।
১২ ফেব্র“য়ারি টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় রাউন্ডে ২ থেকে ৫ বয়সের কম বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক বড়ি। এ বিষয়েও অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
আমাদের শিশু, বিশেষত দরিদ্র বাবা-মার সন্তানদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচির ভূমিকা অনস্বীকার্য। সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতে পোলিও শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশও রয়েছে এ ঝুঁকিতে।
রোগটি সংক্রামক হওয়ায় আমাদের সতর্ক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। এদেশে এক সময় ম্যালেরিয়া নির্মূল ঘোষিত হলেও পরে আবার রোগটি ফিরে আসে। পোলিও নির্মূলের ক্ষেত্রে যেন তেমনটি না ঘটে। পোলিও নির্মূলে আমরা শতভাগ সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




