#আলুথালু
আমার দাদীর বাপের বাড়ী ছিল কলকাতা, আমার কোনদিন যাওয়ার সুযোগ হয় নি। তবে দাদীর মুখে যতটা শুনেছি মনে আছে- মুর্শিদাবাদ জেলায় যেখানে নাকি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার হাজার দুয়ারী বাড়ী আছে। আর দাদীর বাপের বাড়ীর আশেপাশে গঙ্গা নদী (পদ্মা) প্রবাহিত।
তো ফারাক্কা বাঁধ হওয়ার আগে জলঙ্গী-রাজশাহী বর্ডার দিয়ে গঙ্গা - পদ্মা নদী বেয়ে শশুরবাড়ী মানে আমার দাদার বাড়ী যাতায়াত করতেন।
তো পথিমধ্যে দেখতেন যে গঙ্গা নদীর পারে মন্দির থেকে দেবী গঙ্গার পূজা অর্চনা করতেন ভক্তবৃন্দ।
পূজার ভোগ ছিল খৈ আর কলা; যা কিনা নদীর পানিতে ছড়িয়ে ফেলতে হতো। ভোগ পানিতে দেবার সাথে সাথে কলা টুপ করে ডুবে যায় কিন্তু খৈ ভেসে থাকে।
তৎকালীন সময়ের মুসলমানেরা একে কটাক্ষ করে বলত— "কত রঙ্গ জানো মা গঙ্গা, কলাটা নাও টুপ করে গিলে আর খৈ গুলান দাও ভাসাইয়া!"
দাদীর মুখে অনেক শুনেছি এ শ্লোক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কলকাতা সহ সেভেন সিস্টার্সের মুখ্যমন্ত্রীবর্গ আসছেন বাংলাদেশে-
তালপট্টি দিয়েছি, ট্রানজিট দিয়েছি, নৌপথ -রেলপথ দিয়েছি, বাংলাদেশের দেশপ্রেমীক অফিসার হত্যা করে খাসীকৃত আর্মি দিয়েছি, সমুদ্র দিয়েছি সমুদ্রের ইলিশ দিয়েছি, বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার বাজার বানিয়েছি। আরো গোপন পরকিয়ায় কত কিছু দিয়েছি।
বিনিময়ে চাওয়া ছিল সামান্য-
স্টপ বর্ডার কিলিং, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, নেপাল-ভুটানে বাণিজ্য করার করিডোর, বাণিজ্য ঘাটতি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা।
কোনটা পেয়েছি? সীটমহল কি একা আমার গলার কাঁটা?
তোমার দাবী ঐ কলা, আর আমার দাবী খৈ!
#মৌলিক_পোস্ট