প্রথমে, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা । ঈদ মোবারক ।
গত শুক্রবারে ,জুমার নামাজে, ইমাম সাহেব ঘোষনা দিলেন ঈদের জামাত সকাল ৭.৩০ মিনিটে হবে । হঠাত্ সবাই বলে উঠল ঠিক আছে,আবার অনেকে বলতেছে ৮ টায় করলে ভাল হবে । আমিও কিন্তু ৮ টার দলে ছিলাম । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে ,বেশিভাগ মানুষ ৭.৩০ মিনটে জামাত এর সময়সূচি করার পক্ষে থাকায় । ৭.৩০ মিনিটে আমাদের ঈদের নামাজ হয় ।জুমাবারের দিন ইমাম সাহেবের উপর অনেক রাগ হয়েছিল ।কিন্তু কি আর করা !আজ সকালে নামাজ পড়ে একটু ঘুমালাম । হঠাত্ ডাক পড়ল ভাইয়া ভাইয়া । আকস্মিক ভাবে ঘুম থেকে উঠে ,বল্লাম কে কে ? পাশে দেখি আমার ছোট চাচত ভাই সিয়াম । অবশ্য তার এখন বয়স ৪ বছর ,অসম্ভব দুষ্ট ।আর প্রয় সময় আমার কাছে থাকতে ভালবাসে ।আর আমি যখন কম্পিউটার চালাতে বসি, সুজা আমার কোলে উঠে বসে থাকে ,নইত পাসের চেয়ারে বসে থাকে ।অবশ্য চেয়ারটা আমাকে এনে দিতে হয় ।আর মাঝে মাঝে বলে কি জানেন, ভাইয়া আপনি উঠেন। আমি কম্পিউটার চালায় ।কি আর করা ভাইয়ের আবদার উঠে যেতে হয় । তারপর ইচ্ছা মত আমার ভাই, কিবোর্ড এর বারটা বাজায় । ও কি বলতে আসলাম ,কি বলতেছি । ও আচ্ছা , ত-ভাইয়া কি হয়েছে ?আম্মু ঘুম থেকে উঠতে বলেছে । তারপর ধিরে ধিরে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম । পাশ থেকে মোবাইলটা নিলাম । একি ৬.৪৬ তাড়া হুড়া করে পুকুরে গোসল করতে চলে গেলাম । গোসল করতে গিয়ে দেখি ,আমাদের বাড়ির দুজন ছেলে ,গোসল করতেছে ইকবাল আর ইমন । আমাকে দেখামাত্র ইকবাল বলে উঠল :-ফয়সাল ভাই কেন আছন ?
ভাল আছি ,তুই কেন আচছ ?
আয়ও ভালা আছি ।
তারপর ইমন এর উক্তি ,ফয়সাল ভাই এতক্ষনে গোসল গইরতে আইসুন যে ?
আর ন কইচ ,ঘুমুত্তোন উঠতি দেরি হই গেয়ি যে ,এতাল্লায় ।
ও আচ্ছে ।
এখন তাদের গোসল প্রায় শেষ ,কাপড় ও কাছা শেষ হয়েছে । ইকবাল আর ইমন বল্ল:- ভাই আয় ।
আমি বল্লাম:- ঠিক আছে ।
এখন ,পুকুরে আর কেউ নেই ।
একটু একটু শিত অনুভোত হচ্ছে , কিছুক্ষন পর আমি খেয়াল করলাম ,একটা মাছরাঙ্গা, শিখার ধরার জন্য ,পুকুরের মাঝ দিয়ে উড়ে, পুকুরের পারের একটা গাছের ঢালে গিয়ে বসল । এরপর পুকুরের এক পাশে দেখতেছি একটা অতিতি পাখি । আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম ।এখনো শিত আসে নাই ,এই অসময়ে অতিতি পাখি কোত্থেকে ? হয়ত গত শিতে এসেছিল তারপর ,এই বাংলার মায়ায় পড়ে যেথে ভুলে গেছে । এর পর পুকুরে নেমে গেলাম ।একটা ডোব দিলাম ,এখন আর শিত লাগতেছেনা ।কি আচ্ছার্য তাইনা ? ইতি মধ্যে গোসল করা শেষ, কাপড় কাছা একটু বাকি আছে । আবার লক্ষ করলাম, মাছরাঙ্গাটা পুকুরের পূর্বপ্রান্তে, খিনারা থেকে একটু গভিরের ঠিক উপরে ,এক যায়গায় স্থির হয়ে শিখার ধরঁতেছে । একি মাছরাঙ্গাটা সুজা পুকোরে ডোব দিল এবং একটা ছোট মাছ ধরে গাছের সেই একই ঢালের ঠিক উপরের ঢালে গিয়ে বসল । পুকুর থেকে বাড়িতে ফিরে আসলাম । দাদাকে সঙ্গে নিয়ে ঈদগাহে গেলাম । তারপর কবস্থানে আসলাম ,কবর জেয়ারত করে । বাড়ির পথে রাউনা দিলাম । বাড়িতে এসে নাস্তা করলাম । অর্ধেক নাস্তা খাওয়া অবস্থায় বাহির থেকে ডাক ,ফয়সাল !ফয়সাল !হুজুর আসছে গরু জবেহ করতে হবে । কি আর করা । তারাতারি নাস্থা করে বাহির হলাম । আমার বাবা আর আমি গুরু ধরলাম এবং দুই প্রতিবেসিও সাহায্য করল গুরুটা জবেহ করার সময় । এর পর বাবা দাদা আর আমি মিলে গরুর চামড়া ছাটাঁলাম ।এরপর মাংস কাঁট লাম । মাংস গুলো বাবা তিন ভাগ করল ।গরীব ,আত্নিয় স্বজন ও নিজের ভাগ ।...............................
এখনো অনেক কাজ বাকি !
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন