সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকো ভিত্তিক প্রক্সি অ্যাডভাইজরি ফার্ম গ্লাস লুইস অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিবেদনে দেখা গেছে টেক জায়ান্ট বিভিন্ন সিইওর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান ইয়াহু সিইও। তিনি বছরে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেতন পান। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, গ্লাস লুইস এর প্রতিবেদন অনুসারে মোট ২৫ টি কোম্পানি তার সিইওদের দেয়া বেতন এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ইয়াহু সিইও। আর সিইওদের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন নেন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের সিইও স্টিভ জবস।
জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ইয়াহুর এই সিইও-এর নাম ক্যারল বার্জ।
ইয়াহুর মুখপাত্র ডানা লেংগিক-এর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বেতন পেলেও তিনি তা নগদ অর্থে পান না। তাই নগদ অর্থ তিনি বাসায় নিতে পারেন না। তিনি মূলত বেতন পান স্টক হিসেবে যার পরিমান হলো ইয়াহুর ৫০ লাখ শেয়ার। তবে শর্ত এই যে তিনি এই শেয়ার ২০১৩ সালের আগে বিক্রি করতে পারবেন না।
অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন আবিষ্কারের জন্য ১৯ শতকের গণিতবিদ চার্লস ব্যবেজকে বলা হয় কম্পিউটারের জনক। কিন্তু এই বাষ্পচালিত প্রথম কম্পিউটারটি তিনি তৈরি করে যেতে পারেননি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক প্রোগ্রামার ও সায়েন্স ব্লগার ব্যাবেজের অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনটি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ১৮৩৭ সালে চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনকেই আধুনিক কম্পিউটারের প্রথম উদ্ভাবন হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু তার এই স্বপ্নের পূর্ণতা তিনি দিয়ে যেতে পারেননি। তার এই স্বপ্ন পূরণে যুক্তরাজ্যের প্রোগ্রামার জন গ্রাহাম-কুমিং প্রচারণা শুরু করেছেন এবং ৪ লাখ পাউন্ড তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রচারণাও শুরু করেছেন।
জানা গেছে, পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম এই বাষ্পচালিত কম্পিউটার বা অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন তৈরিতে ব্যাবেজের করা মুল নকশাটিই ব্যবহার করা হবে। এই নকশা বর্তমানে লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, এই ইঞ্জিনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ১৭৩ বছর সময়জুড়ে বিভিন্ন সময় তৈরি হলেও একসঙ্গে পুরো এই মেশিন তৈরির ঘটনা ঘটবে এবারই প্রথম।
এই কম্পিউটারে থাকবে এক্সপান্ডএবল মেমোরি, একটি সিপিইউ, মাইক্রোকোড, একটি প্রিন্টার এবং প্রোগ্রামেবল পাঞ্চ কার্ডস যাতে বিভিন্ন নির্দেশ দেয়া থাকবে।
যদিও এ কম্পিউটারটি আকারে একটি গাড়ির সমান বা এটি বাষ্পের সাহায্যে চলবে, তবুও আদতে এটি কম্পিউটারই।
কম্পিউটার ঐতিহাসিক ড. ডোরন সোদে জানিয়েছেন, এই কম্পিউটারটির পূনঃনির্মাণ হলে ইতিহাসের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে। এতে পাওয়া যাবে ভিক্টোরিয়ান যুগের অনেক অজানা তথ্যও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




