somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকনমিস্ট আবারও বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকনমিস্ট আবারও বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘দ্য পয়জনাস পলিটিক্স অব বাংলাদেশ: রিভারশন টু টাইপ’।ব্রিটেনের এই প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকনমিস্ট সঠিক উপাও ছাড়া কখনও কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করেনিই, সরকারের ভাল করে জানা উচিৎ শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না এবং নিউজটা সম্পূর্ন সত্য, দেশের পুরোজাতির জানা উচিৎ। আমাদের দেশের কোনো সত্য খবর বিদেশে প্রকাশ করলেই আমাদের রাজনীতিকদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। রাজনীতিকদের যদি এতই মাথা ব্যাথা থাকে এই সব খবর নিয়ে তাহলে সেভাবেই শাসন করুন যাতে কেউ আপনার বিরুধে না লিখতে পারে।বংলাদেশের কোন পত্রিকা সরকার এবং সরকারের এমপি মন্রীদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলে পরের দিন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদবাজির মামলা হয় এ্যরেস্ট করেই রিমান্ড। এখন কি সরকার দ্য ইকনমিস্টের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সরকারের কাছে এটাই জাতির প্রশ্ন। সরকার এখন কি দ্য ইকনমিস্ট বন্ধ করে দিবে ? পারবেনা। কারন সবাই কলা গাছের কলা কাটতে পারে কিন্তু তাল গাছের তাল সবাই পাড়তে পারে না । সত্য কোন না কোনভাবেই প্রকাশ পায়।আমাদের সরকার সত্য না গিলে প্রতিবাদ করবে এর চেয়ে বেশী কিছু না। সত্য চিরকালই সত্য। সত্য কোনো দিন চাপা থাকে না।আমাদের দূর্নীতিগ্রস্ত সরকার এখন কি বলবে? ইকোনোমিস্ট কি বন্ধ করে দিবে নাকি!!! অপ্রিয় হলেও দি ইকোনোমিস্ট সত্য কথাগুলোই বলছে। বাংলাদেশের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতিই চলছে এর শেষ কোথায় কেউ জানে না। দেশটির জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাউকেই আন্তরিক হতে দেখা যায় নি। বলাবাহুল্য দি ইকোনোমিস্ট অনেকগুলো মন্তব্যের সাথে একমত হলেও দুটি বিষয় অর্থাত বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল ও ২০০৮ সালের অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে।সাধারন জনগন দেশে-বিদেশে যা কিছু ইমেজ অর্জন করে এই মহাপাপী দুই দল সবকিছুর উপর গোবর ঢেলে দেয়।মিথ্যা লিখেছে নাকি! আমাদের সরকারের যদি এতই খারাপ লাগে তাহলে মামলা করতে পারে।ইকনমিস্ট পত্রিকা আগের একটি রিপোর্টে বলেছিল আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনে ভারতীয় অর্থ ও সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। এ রিপোর্ট সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদও পাঠানো হয়েছে।আর বর্তমান রিপোর্টে বলা হয়েছৈ সবচেয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।এরকম পরস্পর বিরোধী রিপোর্ট যদি আমাদের দেশের পত্রিকায় ছাপা হতো তবে আমাদের পাঠকরা কত গালাগালি দিত ওই পত্রিকাকে। কিন্তু ইকনমিস্ট পত্রিকা তাই সাত ধোয়া তুলসী পাতা। এ ধরনের মতলববাজী রিপোর্টের মাজেজা কী? এখন আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে তেল দেওয়া হচ্ছে কেন? নেপথ্যে কী এমন ঘটলো? কোনো গণবিরোধী সরকারকে বিদেশী কোনো মতলববাজ মহল রক্ষা করতে পারবে না। দেশের সাধারণ মানুষ আজ দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ উর্ধগতিতে দিশেহারা, কুখ্যাত খুনীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন, সরকারের পুলিশ কিশোরকে ডাকাত বলে পিটিয়ে ফেলার জন্য বলে। আর ইকনমিস্ট দেখে দেশের অর্থনীতি নাকি বেশ ভালোই, সরকারও নাকি জনপ্রিয়। এই রিপোর্ট পড়ে বাংলা প্রবাদ মনে পড়লো, "টাকায় কিনা হয়, টাকা দিলে বাঘের দুধও পাওয়া সম্ভব"। টাকা (ডলার) খরচ করলে রিপোর্টও সম্পূর্ণ পাল্টে দেওয়া যায়।প্রথম আলো প্রতিবেদনটির যথাযথ অনুবাদ করেনি। বিস্তারিত পড়তে এখানে লগইন করুন - http://www.economist.com/node/21525897, বাংলাদেশের জনগনের অনেক প্রত্যাশা ছিল এই সরকারের কাছে | কিন্তু এই সরকারের কর্মকান্ডে মানুষ আজ অতিষ্ট | বঙ্গবন্ধু টাকার মধ্যে আছে কিন্তু নাই মানুষের অন্তরে এবং এর জন্য দায়ী আওয়ামীলীগ সরকার | এরা যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করেছে এদের কর্মকান্ড দিয়ে |ইকোনোমিস্ট এর দুইটি রিপোর্টই সঠিক বলে মনে করি।এই দুই পরিবারকে কমপাখখে ২০/৩০ বছর বাংলাদেশের রাজনিতি থেকে দুরে রাখা উচিৎ।এই পত্রিকার সম্পাদক মনে হয় এখনো হাসিনাকে চিনে নাই !!!Hello প্রথম আলো, The Economist এ আরেকটি হাটে হাড়ি ভেংগে দেয়া Report ছাপা হয়েছে "In the name of the father" শিরোনামে । It is also a good read (also True)..... আওয়ামীলীগের রাজপথের রাজনীতিতে পটু হলেও দেশ চালাতে ব্যর্থ.....শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের আর দরকার নেই। আমাদের সংবিধানে Prime Minister এর পদ ২ বার করা হোক। এটা করা হলেই ইনারা এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবেন। দেশে পন্ডিত, সুশীল সমাজের নাগরিকের অভাব নেই কিন্তু এই কথাটি কেউ বলতে পারেন না কারন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া তাদের দলের জন্য dictator।আসুন আমরা এই দুই দল বর্জন করি। শুধু প্রয়োজন একটি revolution ( বিপ্লব )। বদলে যাও, বদলে দাও । আমরা সবাই ইতিহাস কম বেশী জানি। দয়া করে এই সব ইতিহাস জানানোর দরকার নাই। ইতিহাস পরে আমাদের দেশ আগাবে না। ইতিহাস পড়ে সাধারন মানুষের পেট ভরবে না। ইতিহাস পড়ে আমাদের ছাএ রাজনীতি বনধ হবে না। ইতিহাস পড়ে আমাদের শেয়ার বাজারের অবসথা ঠিক হবে না। মানুষকে আর ইতিহাসের দোহাই দিয়েন না। অনেকফাকা বুলি ইতিহাস শুনিয়ে মানুষের কাছে মহৎ হয়েছেন। এসব লিখার দরকার নাই। এসব হচেছ রাজনীতিকদের বক্তব্য। মানুষের মাঝে ভেদাভেদের জন্যই আপনারা পুরোন বুলি আওড়াচেছন। আমারা হাসিনা-খালেদা ছাড়া বাংলাদেশ চাই। এটাই হচেছ বাসতব। এবং সময়োপযোগী মন্তব্য।আসুন আমরা এই দুই দল বর্জন করি।বাংলাদেশের রাজনীতি কোন পর্যায়ে ছিল, এখন কোথায় আছে তা জানতে বিদেশি বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত পত্রিকাগুলোর প্রতিবেদন অন্তত কোন সুস্থ মস্তিষ্কের বাংলাদেশীকে সাহায্য করতে পারবে না। আমরা সব জানি, সব বুঝি, কিন্তু কাজের বেলায় আর থাকি না......।খুবই সত্য কথা আর সত্য কথায় কারো কারো গা জ্বালা করে,বাস্তব সত্য কথা আমাদের স্বীকার করতে হবে, যদিও তারা আমাদের ভাল চায় না।২০০১-২০০৬ পর্যন্ত শে. হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা দেয়া হয়ে ছিল তাই আপনার মতে প্রতিহিংসার রাজনীতি সেখান থেকেই, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আপনিই ঠিক (?)। কিন্তু ১৯৭১-১৯৭৫ পর্যন্ত বাকশাল গঠনের মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার লক্ষে হাজার হাজার লোককে মারা হয়েছিল, তাহলে কি আমাদে এটা বললে ভুল হবে যে আমাদের মূলেই ভুল??? আসলে আমাদের রাজনীতিবিদরা কোউই দক্ষ বা যোগ্য না বাংলাদেশের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলে আসছে। যতদিন আমাদের রাজনীতি এধারা থেকে বের হতে না পারবে ততদিন জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন হবে না।এখন বলুন ঠিক বলেছি কিনা আর খারাপ কিইবা লিখছি?? সবই সত্যি কথা। আর এই সত্যি পুরা দুনিয়ার মানুষের জানা উচিত। যে আমাদের সরকার দেশের জনগনের কি হাল করে রাখছে।শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া ছাড়া যত রাজনীতিক এই দুই দলে আছে সব জী হুজূর জী হুজুর মারকা! তোষামোদ করে এই দুই জনকে খূশী করতে পারলেই দুই নেএীই খুশী,চাটুকার সব,চাটুকারীতা করেই সব নিজের আখের গুছিয়ে ফেলে।এথনই উপযুক্ত সময় দুদলকে বাদ দিয়ে নতুন কিছু চিন্তা করার। এদের রাজনীতি দেখলে মনে হয় গ্রামের প্রভাবশালী দু বংশের গ্রাম শাসন করার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। জাতি এদের কাছ থেকে অদ্যাবধি কিছু পায়নি, পাবেও না।এখন বলুন- মইনুদ্দীনের মাইনাস টু ফরমুলা কি ভুল ছিলো ? আসলে মইনুদ্দীন এ দেশের উপকার করতে চেয়েছিলো,আমাদের দরকার মইনুদ্দীন, সাফ কথা।দেশে আছে মাএ ১০ টা বিমান তাও ভাংগাচুড়া। আগামীতে আরও ৩ টা আসবে তত দিনে হয়ত ১০ টার মধে আরও ২/৩ টা বাতিল করে দেন। আর বিদেশী যে বিমান আসে তার জন্য আমাদের পুরনো বিমান বনদরই যথেষঠ। ১৬ কোটি মানুষের কয় জন বিমানে চড়ে! এই টাকা দিয়ে কত হাসপাতাল, কত ইসকুল, কত রাসতা, কত ছোট ছোট উপশহর গড়ে তুলতে পারেন। আসলে টাকাটা তো নিজের পকেটের না তাই এমন সিধান্ত। দেশের মানুষকে কষেট রেখে বিমান বনদরের ঝকমকানি আমাদের দরকার নাই। ঐ টাকা দেশের সাধারন মানুষের জন্য ব্যয় করা হোক।এইসব প্রতিবেদনে সরকারের কোন হুস হবে কি? বিশ্বাস হয় না।অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে , দেশে বিদেশে এভাবেই মানুষ সোচ্ছার হবে,পূর্বে ও এভাবেই হয়েছিল। যে কোন দেশে আত্যাচারী সরকার এর পতন হয়েছে,কোন অত্যাচারী সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি।অবাক লাগে আমদের দেশে ৯০% রাজনিতিক দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন সহ নানন মামলা আছে! আর আমরা দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, খুনি দের হাতে দেশ পরিচালনার ভার দিয়ে থাকি!দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস আর খুনিদের ভোট না দিলেই এদেশের রাজনীতি আনেকটা বিশুদ্ধ হবে।এটা সত্য যে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ গুমরে কেদে মরছে কেউ অনাহারে কেই অর্ধাহারে কার খবর কে রাখবে। আমাদের ছবি ছাপানোর ব্যবস্থা, ৫০ হাজার কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধু বিমান বন্দর চাই চাই। বর্তমান সরকার ১৪০০ কোটি টাকার বিনিময়ে যখন বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করে (দুঃখ জনক হলোও সত্য বিদেশী সকল ডকুমেন্টেশনে এবং এয়াপোর্টগুলোতে এখনো জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোটেই নামই রেখেছে পরিবর্ত করে নাই, এতে দুটো জিনিস মনে হতে পারে ১. তারা আমাদের জন্য টাকা খরচ করে নাম পরিবর্ত করবে কেন? ২. হয়তো তারা জানে আগামীতে সরকার পরিবর্তন হবে তখন নতুন সরকার আবার পূর্ববর্তী নাম বহাল রাখবেন) ঔ খবরের পাশাপাশি আরো একটি খবর পড়ে এবং ছবি দেখে চোখের পানি সংবরণ করতে পারিনি আর তা হলো উত্তর বঙ্গের কোন এক অক্ষম পিতার ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে স্কুলের খরচ ও পরিবারের খরচের জন্য গরু দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছে এই অত্যাধুনিক যুগোই। বর্তমান সরকার যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য ট্রাইবুনাল গঠনে ব্যস্ত তখন রংপুরে বিদ্যুতের অভাবে, অর্থাভাবে ৫০ বছরোর্ধ সমিরন বিবি কুয়া থেকে বর্গা জমিতে সেচ দিচ্ছে। এরকম আরো লক্ষ লক্ষ ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। কে রাখবে কার খবর সরকার ও বিরোধীদলের প্রতিহিংসার রাজনীতিতেই ব্যস্ত এবং ক্ষমতা তাদের চাই-ই চাই।প্রথম আলো যেভাবে এই খবরটিকে হাইলাইট করেছে, মনে হচ্ছে ইকোনমিস্ট ভুল বলেছে এবং আমাদের দেশের বদনাম করছে। আসলেই কি তাই? প্রথম আলো কি বলতে চায় যে এই খবরটি সঠিক না? অন্যের মুখ থেকে শুনতে ভালো লাগছে না...তবে যা বলেছে তা ১০০% সত্যি এইটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না...এইটা যদি আমাদের রাজনীতিবিদ দেখে একটু ভালো হবার চেষ্টা করতো কিন্তু দু:খের বিষয় হল তারা যতই অভিজ্ঞ হচ্ছেন ততই ক্রিকেটার আশরাফুলের মত ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন !!এই দুই নেএী আমাদের দেশের কি ক্ষতি করছেন সেটা উনারা জেনেও না জানার ভান করেন কিন্তু আমরা সাধারন মানুষ ঠিকি জানি। এই দুই জন না থাকলে আমাদের দেশ এতদিনে আরও এগিয়ে যেত।আপুমনি তাড়াতাড়ি প্রতিবাদ পাঠান , ইজ্জত গেলে ,চাকরিও যাবে !এমন একটা দেশ সারা জীবন মসনদে বসতেই ইচেছ করে! চিরসাথয়ী মসনদে বসার ব্যবসথা বাতিল করতে হবে। শুধু মসনদে আমি বসব আর কেউ না! হাসিনা ম্যাডাম এই খবর পড়ে কেমন লাগছে ? খালেদা ম্যাডামকে সাথে নিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসুন। আর বাংলাদেশের উননয়নে এগিয়ে আসুন। টাকার গায়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছেপে মানুষের মনে জায়গা করে নেয়ার সুযোগ এসেছে, আপনি দেশের জন্য ভালো করলেই বঙ্গবন্ধুর নাম মানুষ মনে রাখবে চিরকাল। খালেদা ম্যাডাম আপনিও প্রতিহিংসায় লিপ্ত না হয়ে সরকারকে সাথে নিয়ে দেশের জন্য ভালো কিছু করেন, তবেই শেখ মুজিব আর জিয়ার সোনার বাংলা হবে। সারা বাংলার মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তানা হলে একদিন সবাই মিলে আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করবে।আসলে যত নষ্টের গোড়া কিন্তু আমরাই. আমরা গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে যথেষ্ট চেঁচামেচি করি, গণতন্ত্রের মানেই তো আমরা জানিনা. তা না হলে আমাদের দেশের গনত্রন্ত্র কেন পরিবারতন্ত্রের বেড়াজালে বন্ধি? গনত্রন্ত্র বলতে আমরা মনে করি ৫ বছর পরপর ব্যালটপেপার এ "আমার ভোট আমি দিব গাঙ্গে কিংবা ক্ষেতে দিব" গলা ফাটিয়ে নাচতে নাচতে গিয়ে ৫ বছরের জমানো গনত্রান্ত্রিক অধিকার একখানা সিল এর মাধ্যমে প্রয়োগ করা . ব্যাস জনগণ হিসেবে আমার দায়িত্ব শেষ. আর আমরা কমবেশি সবাই জানি, এরা ক্ষমতায় গেলে কি করবে বা না করবে ;আমাদের দেশের রাজনীতি প্রতিহিংসার রাজনীতি, লুটেরাদের রাজনীতি. আমাদের কাজ শুধু দেখে যাওয়া "ছাগলেরা কিভাবে হালচাষ করে" !?!?!পরিবারতন্ত্রই বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান অন্তরায়। তাদের সম্পর্ক যেন সাপে - নেউলে এবং দিন দিন তাদের সংঘাত যেন বেড়েই চলছে। এখন দেশে বিদেশে একই কথা- অনুগ্রহ করে আপনারা অবসরে যান এবং আপনাদের সংঘাতময় সার্ভিস দেশবাসী মনে রাখবে।দেশের মানুষ খাইতে পায় না ৫০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান বনদর হবে! ১৪০০ কোটি টাকার বিনিমিয়ে বিমান বনদরের নাম পরিবতন! এসব কাজের কোনো মানে হয় না। কেউ কি ভাবতে পারেন এই ৫০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাংলাদেশে কি কি করা যেতে পারে! দেশে নাই বিমান ৫০ হাজার কোটি টাকার বিমান বনদর!এমন উনমাদ আর বসতাপচা সিদধান্ত শুধু বাংলাদেশেই সমভব।এটি আসলে একটি সত্য সংবাদ, আসলেও তাই। তারা একদল অন্য দলের হিংসা, প্রতিহিংসার বেড়া জালে দেশের উননয়ন জলে ভেসে যায়। দেশের জনগনের সমপদ ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করে এয়ারপোটের নাম বদলিয়ে সরকার কি পেল ? এরকম বহু নজির আছে। এরা নিজেদের রাজনীতিবাজ মনে করলেও বাসতবে আধা শিখিত। দেশে কোনো কিছুরই অভাব নেই কিন্তু অভাব আছে এদের মন-মানশিকতার।একেই ছিলছিলা চালু হবে আবার বি,এন,পি ক্ষমতায় এলে।ওদের লজ্জা সরম থাকলে আর দেশের পতি ভালোবাসা থাকলে ওরা দেশের লাভটাকেই মুল্যায়ন করতো। মুল কথা হলো দুই বড় দলকে ত্যাগ করো আর দেশ পরিচালনার ধারাবাহিকতা থেকে দেশ বাচাও।দিন দিন দুটি দলের একে অন্যের প্রতিহিংসা বেড়েই চলছে।কিছু দিন আগে ডেইলি মিরর লাদেন হত্যার সাথে জড়িত পাকিসতানের আইএসআই কথা উলেলখ করল যে আড়াই কোটি ডলার ও আমেরিকার সিটিজেনসিপ এর বিনিমিয়ে তারা তথ্য দেয়। এটি প্রকাশ হবার পরও আমেরিকার State Department কোনো মন্তব্য দেয় নি বা বিরত।আমরা প্রাচীনকাল থেকেই অন্য দেশের শাসনে থেকেছি যাইহোক ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ বছর চলছে । রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্য নেতৃত্বও তাই গড়ে উঠেনি । কারণ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার বয়স বেশি নয় ৪১ বছর । তারপরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা,বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং এরশাদ সবার কিন্তু ১০ বছরের মত দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে । কিন্তু দু:খের বিষয় হল তারা যতই অভিজ্ঞ হচ্ছেন ততই ক্রিকেটার আশরাফুলের মত ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন !! এখন আমাদের দরকার যোগ্য নেতৃত্ব তাহলেই এতসব সমস্যার সমাধান সম্ভব তানা হলে নয়। বাংলাদেশের রাজনীতির কঠোর সমালোচনা ও বাংলাদেশের রাজনীতি এখনো ব্যক্তি-পর্যায়ে এবং কলুষিত রয়ে গেছে।মানুষের আশা ছিল, শেখ হাসিনা তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবেন। দেশের রাজনীতির প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার এক অপরের প্রতি বিরূপ আচরণেরও অবসান ঘটবে। কিন্তু মানুষের এই আশা অল্প দিনেই ভঙ্গ হয়। নির্বাচনের আড়াই বছরের মধ্যেই ফুটে ওঠে বাংলাদেশের রাজনীতির সেই পুরোনো চিত্র। শুরু হয় অতীতের মতো বিরোধী দলের প্রতি বিরূপ আচরণ।এই সপ্তাহেই বিএনপির চেয়ারপারসন ও দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার নির্বাসিত ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়াও একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওই সময় চাঁদাবাজি ও হত্যার ষড়যন্ত্রসহ শেখ হাসিনার নামে ১৩টি মামলা করা হয়েছিল।এই দুই পরিবার ক্ষমতায় এলেই একে-অপরের প্রতি প্রতিহিংসায় লিপ্ত হয়।বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে নিহত বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। খালেদা জিয়াও ১৯৮১ সালে নিহত আরেক সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। বিএনপি সংসদ বর্জন করে রাজপথকে বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লীগও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।গত জুনে সরকার সংবিধান সংশোধন করে বড় সমস্যার বাধিয়েছে। গত বছর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপক্ষে যেমন করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাও তেমনটি করেছেন।এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এখন আগামীতে নতুন ব্যবস্থায় যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতার কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।ইকনমিস্টের প্রতিবেদনে আরও বলেছে, দেশটির স্বাধীনতার সময়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দুই দলের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এ মাসে আসামি পক্ষের এক ব্রিটিশ আইনজীবীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বেশির ভাগই দরিদ্র।তৈরি পোশাক রপ্তানি করে দেশটি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। চীন এবং পার্শ্ববর্তী ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে যাবেন। ওই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কয়েকটি চুক্তি সই হবে।একটি দলের সঙ্গে না হয়ে দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হলে ভালো হতো।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×