বৃটেনে আর্থিক টানাপোড়েনে অনেক লোক গুহায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। ডাস্টবিন থেকে উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে তা দিয়েই ক্ষুধা মেটাচ্ছে তারা। গত বুধবার বৃটেনের দ্য ‘ডেইলি মেইল’ পত্রিকা এই তথ্য জানায়।
বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের স্টকপোর্ট এলাকার একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছেন এস্তোনিয়া থেকে আসা এক ব্যক্তি। ‘ডেইলি মেইল’-এ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক ব্যাগ, কুড়িয়ে পাওয়া ক্যান এবং নানা ধরনের আবর্জনা নিয়ে গুহার ভেতরে বাস করছে ওই ব্যক্তি।
গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তাদানকারী মানবাধিকার সংস্থা ওয়েলস্প্রিং জানায়, ওই এলাকার চুনাপাথরের বেশকিছু প্রাকৃতিক গুহায় বসবাস করছে গৃহহীনরা। থাকার জায়গা না পেয়ে এই একবিংশ শতাব্দীতেও গুহায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
‘ডেইলি মেইল’ জানায়, অর্থনৈতিক মন্দা ও চাকরির বাজার পড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে কর্ম ও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও অভিবাসীর সংখ্যাই বেশি। অনেকেই পার্কে, নদীর পাশে ও গুহায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ছয় শতাংশ।
তবে অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে গুহা অনেক বেশি নিরাপদ বলে দাবি করে গুহায় বসবাসকারী লোকজন। কারণ, এটি শুকনো থাকে এবং অনুপ্রবেশকারীরা কখনো বিরক্ত করে না।
ওয়েলস্প্রিংয়ের প্রকল্প পরিচালক জোনাথন বিলিংস জানায়, অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহহীনদের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বলে জানায় সে।
বিলিং বলন, “এই শতাব্দীতে এসে মানুষ গুহায় বসবাস করবে, সেটি মোটেও কাম্য নয়।”
২০১২-১৩ সালে লন্ডনে গৃহহীনদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশে।