সরকার ভেবেছিল ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের গ্রেফতার করলে নির্বাচনে নাস্তিক ও তাদের সমগোত্রীয়দের ভোট হাত ছাড়া হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের সে ধারণা যে ভূল ছিলো তা তারা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। কারণ এসব গুটি কয়েক নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক বাম-পন্থীরা স্বাধীনতার পর এ যাবত সব নির্বাচনেই জামানত হারিয়ে আসছে।
৮৪ নাস্তিকের ঠিকানাসহ স্বরাষ্ট্র মণ্ত্রণালয়ে তালিকা দেয়ার ফলে সরকার লোক দেখানো দু-চারটা নাস্তিককে ধরেছে তাও আবার জামিন দিয়ে দিয়েছে। মূলত নাস্তিকদের পক্ষাবলম্বনের কারণেই এবার ধর্মপ্রাণরা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফলত সিটি নির্বাচনে সরকারের চরম ভরাডুবি হয়েছে।সরকার নাস্তিকদের পক্ষাবলম্বন করায় ও নাস্তিকদের অবজ্ঞা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্লের কোন বিচার না করায় এদেশের ধর্মপ্রান মুসলমান সরকার এর উপর ক্ষেপে আছে ।
সরকার জামাত-শিবির, রাজাকারদের বিচার করার কথা বলে জনগনের সাথে প্রহসন করেছে। যুদ্ধাপরাধী প্রমানিত হওয়ার পরেও সরকার রাজাকারদের ফাসি দিচ্ছেনা । উলটা একজনের ফাসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে যা জনগন মেনে নিতে পারে নাই । আবার হিফাযতিদের সরকার কঠোর হস্তে দমন না করে এদের আন্দোলন ক্মরার সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে এরা যে তান্ডব চালিয়াছে তার দায়ভার সরকার এর উপর গিয়েছে ।
আবার এই সরকারের আমলেই প্রশাসনে যে পরিমান হিন্দুতোষন হয়েছে তা নজীরবিহীন। মুসলমান যোগ্য লোক থাকার পরেও সরকার তাদের ডিঙ্গিয়ে হিন্দুদের উচুপদে বসিয়েছে অথচ ভারতে যা কল্পনার ও বাইরে । এই সরকারের আমলেই হিন্দুরা নবীজিকে নিয়ে যে পরিমান কটুক্তি করেছে তা মুসলমানদের চরমভাবে আহত করেছে কিন্তু সরকার কোন ব্যবস্থা করে নাই । কেন করে নাই ? কারন সরকার ভেবেছিল হিন্দুদের ভোটে সরকার ক্ষমতায় আসবে !!!!
সরকার ভুলে গিয়েছে যে এদেশ মুসলমান প্রধান ।সারা বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি একজনকে সব ভোট দেয় তাও দেখা যাবে ওই ব্যক্তি পরাজিত হচ্ছে । তাহলে কেন এদের এত তোষন ?
সরকার যদি ধর্মব্যাবসায়ীদের বিচার না করে , হিন্দুতোষন বাদ না দেয় ও নাস্তিকদের বিচার না করে তাহলে জাতীয় নির্বাচনে পরাজয় সুনিশ্চিত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪