somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনৈক অপ্সরীর ভালোবাসার দেশে যাত্রা!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক অতি বিদুষী সুন্দরী কোথাও বেড়াইতে যাইবেন (জানি কিন্তু পরশ্রী কাতরতায় তাহা বলিব না!), কি করিয়া যেন (সম্ভবতঃ নিজেকে উদার প্রতিপন্ন করিয়া কিঞ্চিৎ মার্কেট পাওয়া যায় কি না সেই উদ্দেশ্যে, তাহা না হইলে তিনি আমাকে পাত্তা দিবেন কেন হে?) বলিয়াছিলাম যে কিছু লিখিব, এখন দেখিতেছি যে নিজের হাতে নিজেকে ঠ্যাঙ্গাইলে যে রূপ প্রমোদ বোধ হয়, আমার তাহাই হইতেছে! লেখা আর আসিবেনা বুঝিলাম, আসিবে চন্ডিদাসী পদাবলীর অতি দূর্বল আর কস্টলব্ধ বয়ান, অতএব তাহাই লিখিতে চেস্টা করিতেছি! জানি আমাকে হয়তো অচিরেই অন্যান্য ব্লগের মতোই “নিকালো হিয়াসে” অথবা “পারসন নন-গ্রাটা” বলিয়া ভাগাইয়া দেওয়া হইবে! তাহা হউক, কুছ পরোয়া নাই, ইহা তো নিত্যই ঘটিতেছে আমার বেলায়, বিশেষ একটি জন্তু ভাবিলে সকলেই তাহাকে একটি সবিশেষ দেহ ভঙ্গীমায় ট্রিট করে, তাহাতে আর লজ্বার কি আছে আমার, কারন আমার তো ওই বস্তুটি, মানে লজ্বার বোধ শোধ যে যথা সামান্য, তাহা সেই অপ্সরীটিরও অজানা নয়! আশা আছে ক্ষমা ঘেন্না করিয়া দিবেন!
একেবারে যদি “ডিক্লেয়ার” করিয়াই দিই যে তাহার নিয়মিত প্রেমিকাসুলভ (যাহা যথাস্থানে আর কি!) অন্তর্ধানে আমার হৃদযন্ত্রে তেমন ইতর বিশেষ হইতেছে না, তাহা সম্ভবতঃ কিঞ্চিৎ মিথ্যাচার হইবে! তাই না পারিতেছি হজম করিতে, না পারিতেছি “রি-অ্যাকশন” দেখাইতে কারন দ্বিতীয় কার্যটি করিলে আমার কোনরূপ পাত্তা পাইবার কোন সম্ভাবনাই নাই তাহা আমি পূর্বেই বিলক্ষন বুঝিয়া লইয়া ছিলাম! তাই আমার হাপুস হুপুস নেত্রে ভগ্ন কন্ঠে সঙ্গীত গাহিবার সাধ জাগিল, যাহার স্ফল দাড়াইল নিম্নরূপঃ
সই, কেমনে ধরিব হিয়া ?
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া!
সে বঁধু কালিয়া না চায় ফিরিয়া,
এমতি করিল কে ?
আমার অন্তর যেমন করিছে
তেমনি হউক সে!
বাঙলার পশ্চিমভাগে মালভূমি রাঢ় এলাকার কবি চণ্ডীদাসের এই অমর পদটি বহু শতাব্দি ধরিয়াই রসিক এবং ভক্ত পাঠকের তৃপ্তিবিধান করিয়া আসিতেছে, অতএব হতভাগা আমিও ওই পদের স্মরন লইলাম (মনে কি চাহিয়াছিল তাহাতো স্বীকার করিবনা, শুধু এটুকুই বলিব যে “আঙ্গুর ফল যে টক” তাহা আমি কিছুতেই বলিবনা, বাকিটা পাবলিকে বুঝিয়া লউক! ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে সাঁওতাল বিদ্রোহের পর বাংলার মালভূমি এলাকার বহু মানুষ বাস্তুচ্যূত হইয়া ছড়াইয়া পড়িয়াছিলেন চারিদিকে। সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন তাঁহাদের আচার, বিশ্বাসতন্ত্র ও লোকসংস্কৃতির ধারাকে। নুতন নুতন জায়গায় শেকড়বাকড় ছড়াইয়া সেই মাটির রসের সঙ্গে নিজেদের এলাকার সঙ্গীতের ধারাকে মিশাইয়া দিয়া গড়িয়া তুলিয়াছিলেন নূতন প্রেম আর ভাব, আর হা হতোস্মী, তাহাতেই আমার তেরটা বাজিল!
কথাটি হইয়া ছিল আসলে “নাইয়র” বলিয়া পরিচিত শব্দটি লইয়া, আসলে তাহাও বলিতে চাহি নাই, বিশ্বাস করিতে বাঁধিলে আমার ডোশিয়ার দেখিয়া লইতে পারেন, এমন উদ্ভট শ্রেনীর পরশ্রীকাতর ও ঈর্ষাপরায়ন ব্যাক্তি এই তাবৎ ভূ-ভারতে খুঁজিয়া পাওয়া নিঃসন্দেহে মুশকিল হইবে! আসলে কি করিয়া তাহারে বলি যে “ওরে, বয়সে অতিবৃদ্ধ হইলে কি হইবে, আমার সর্বগ্রাসী প্রেমকে ঠেকায় কে হে?” তাই ওই সব ফালতু বাতচিত করিতেছিলাম নিতান্তই ঈর্ষাপরায়নতা হইতে, তাহাতে আমার মৌলিকত্ব বলিতে কিছুই নাই হে!
তাই হে অপ্সরী, তুমি যাও, সেথা যাও-আমি নানান দিক দিয়াই ফেল মারা পাবলিক, তাই তোমার অ্যান্টি “নাইয়র” এ এই বৃদ্ধ ভগ্ন শুস্ক আর ঈর্ষালু কন্ঠে চন্ডিদাসী সুর ভাজিবার চেস্টা বিনা আমার যে আর কিছুই করিবার রহিল না, আমার যুগ, আমার কাল আর আমার সময় সকলে মিলিয়া আমার প্রানে এক নিদারুন অন্তর্জ্বালার বহ্ণি ঊৎসব লাগাইয়া আমার তেরটা বাজাইয়া গেল (পৌষের কোকিলে!)! তাই আমি পুনশ্চ গাহিব (অবশ্য সেই শারিরীক সামর্থ্য থাকিলেই তাহার পর!)ঃ
সই, কেমনে ধরিব হিয়া ?
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া!


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×