(ছবি- গুগুল)
এখানে ভাতের থালায় শৃগাল-কুকুর করে উৎপাত
বসায় তাদের ধারালো নখের আঁচড়;
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া ভাতের দানায়
আয়েশি ঠোকর দেয় দুর্গন্ধময় নোংরা ছুঁচোরা;
চারপাশে থাকে সতর্ক প্রহরায়, বিষাক্ত কেউটে
যাদের বিষ-নিঃশ্বাসে পুড়ে যায় সবুজ ফসল, সোনালী ধানের ক্ষেত;
সৌখিন গৃহস্থেরা তখন সুদিনের খড় সংগ্রাহক
রেশন ঘরের গুদামের হিসেবে নিদারুণ গরমিল;
তবু ফি-বছর বাড়তে থাকে হিসাব রক্ষকের মাসিক ভাতা।
যেখানে প্রকাশ্যে জনপদে চলে ধর্মের কেরোসিনে আগুনের লেলিহান তাণ্ডব;
যুবতী কিংবা গৃহবধূর শ্লীলতাহানির নোংরা উল্লাস;
যত্রতত্র ক্ষমতার দাপটে নতজানু বিহ্বল বিবেক।
স্বাধীনতা কি আমাকে দিলো নতুন করে শ্মশান উপহার
অথবা তাপিত গোরখোদকের যাবতীয় দায়ভার?
জিজ্ঞাসা প্রতিদিন করাঘাত করে যায় মননের সিংহদ্বারে;
অথচ উত্তর পালিয়ে বেড়ায় যেন ছিন্নমূল, গৃহহারা
ভীত-সন্ত্রস্ত হরিণ শাবক; পেছনে দাবাগ্নি
তাড়া করে ফেরে দুঃস্বপ্নের মতো।
এখানে খোলা বাজারে আছে রিলিফের সমুদয়
তবু কারো মুখে নেই এতটুকু প্রতিবাদ;
শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় বিশৃঙ্খল নরকীট
খুবলে খায় দিন-মজুরের কষ্টার্জিত শ্রমের নির্যাস;
তবু উদাসীন আমাদের নাগরিক জীবন
জনপদে দিবানিদ্রার অবিরাম ঢল।
একদিন আমাদের দেশ হবে সোনার বাংলা
এমন দিবাস্বপ্ন কবেই ঘটিয়েছে আমাদের মস্তিষ্ক বিকৃতি;
এমন দেশ কি আমরা চেয়েছিলাম কারো কাছে?
জাতির পিতার সন্তানেরা আজ বয়সের ভারে স্থবির
তাদের দৃষ্টিপথে আজ গ্লুকোমার বাধা; পরকাল
ভাবনায় দিনরাত বকেন অর্থহীন প্রলাপ। সত্যভাষণ
আজ বিলুপ্ত ডাইনোসর; উচিত কথনের সেই সাহসী সুবোধ
ইদানীং নিখোঁজ অথবা গুম হয়ে গেছে পুলিস রেকর্ডে
চারদিকে তাই আজ ক্লীবলিঙ্গের দারুণ উচ্ছ্বাস।
---০০০---
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯