সবজান্তা কেরানীর ইংরেজি জ্ঞান .....
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপর, কলকাতায় রেশনিং চালু হয়েছে। গৃহভৃত্য এসে যদুনাথ বাবুকে জানালো, কত্তা আপনাকেই আপিসে গিয়ে সই দিতে হবে- নইলে কার্ড পাওয়া যাবেনা।" বৃদ্ধ ভদ্রলোক লেখালিখি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু রেশনকার্ডটাও খুব জরুরী। অগত্যা দপ্তরে নিজে গিয়ে নাম সই করে কাউন্টারে সেটা এগিয়ে দিলেন।
ছোকরা কেরানী নামের বানান দেখে হেসে ফেলল। তারপর সাদামাটা চেহারার বুড়ো লোকটিকে ব্যঙ্গ করে বলল - "বয়েস তো অনেক হল, ইংরেজিতে লিখতে গেছেন, আবার শ্রী বানানটাও শুদ্ধ করে লিখতে পারেন না!"
এবার সেই বৃদ্ধ, অর্থাৎ Knighthood পাওয়া ভারতের অলটাইম গ্রেট হিস্টোরিয়ান, লন্ডন রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির সাম্মানিক সদস্য ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইসচ্যান্সেলর বললেন,
- 'আজ্ঞে, ওটা Sri নয় Sir।
আমার নাম স্যার যদুনাথ সরকার।'
(ইতিহাসের পাতা থেকে)
**********************
সকল বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এই ঘটনা প্রসংগে একটা অশ্লীল জোকস শেয়ার করছিঃ-
গ্রামের এক প্রাইমারী স্কুলে ভিজিটে এসেছেন স্কুল ইনস্পেকটর। তিনি ছাত্রদের শিক্ষার মান যাচাই করতে ক্লাস থ্রির ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন, 'ওয়ান জিরো তে কি হয়?'
ছাত্ররা এ-ওর মুখের দিকে তাকায় কিন্তু জবাব দিতে পারেনা। ক্লাস টিচার তার ছাত্রদের মান বাচাতে স্কুল ইনস্পেকটর এর পিছনে দাঁড়িয়ে এক হাতের দুটি আংগুল গোল করে জিরো এবং অন্য হাতের একটা আংগুল সোজা করে ওয়ান সাইন দেখায়। সাথে সাথে শমসের গাজী নামের এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বলে, "স্যার আমি বলতে পারি...."।
ক্লাস টিচার খুশী হয়ে স্কুল ইনস্পেকটরকে বললেন, "স্যার, শমসের গাজী বলতে পারবে- ও হচ্ছে ক্লাসের ফাস্ট বয়।"
স্কুল ইনস্পেকটরও খুশী হয়ে বললেন, ওকে মাই বয়, বলো- ওয়ান জিরো তে কি হয়?
শমসের গাজী ওর এক হাতের দুই আংগুল গোল করে, অন্য হাতের এক আংগুল বারবার ঢুকিয়ে এবং বের করে আদিম প্রাগৈতিহাসিক যৌন কর্মের প্রক্রিয়া দেখিয়ে দিলো.....(এখানে শমসের গাজীর দোষ নাই, দোষ যদি হয়েই থাকে সেটা শমসের গাজী পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার। শমসের গাজী জন্ম থেকেই ওর পরিবারের সদস্যদের শুধু ওই কাজই করতে দেখেছে.....)।
স্যোশাল মিডিয়ায় একশ্রেণীর/দুই একজন অর্ধশিক্ষিত 'মুই কার খালুরে' টাইপের "সবজান্তা শমসের" আছে যে বা যারা সব যায়গাই পণ্ডিতি ফলায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



