কৌতুকের আড়ালে বুদ্ধিবৃত্তিক বলদামি....
বাদশাহ নামদার সভাসদদের উপস্থিতিতে নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে জিজ্ঞাসা করলেন - 'চাঁদ বেশী উপকারী না সূর্য?'
হোজ্জাঃ - "হুজুর, চাঁদই বেশী উপকারী। দিনের বেলা তো এমনিই কত আলো। রাতে যখন আলো থাকে না, তখন চাঁদের আলোই ভরসা।"
হেসে নিন, তারপর বলছি.....
কাল রাতে দেশব্যাপী ডায়রিয়া সমস্যা নিয়ে টিভিতে টক শো দেখছিলাম। উপস্থিত ছিলেন দেশের নামকরা সব টকমারানি গং। তারা সবাই স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন নিয়ে অনেক জোকারি করেছেন। কে কোনো দেশে স্বাস্থ্য সেবার মান দেখে বিমুগ্ধ হয়েছেন, কোনো কোন দেশের স্ট্রিট ফুড কত মজাদার তার বর্ণনা দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল ফেরাতে সবাই অনেক ওয়াজ নসিহত করলেও কোনো পণ্ডিতই 'ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তার কথা' বললেন না। যদিও স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে 'পুষ্টিকর পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তাই মুখ্য। আগে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে, চিকিৎসা তো রোগে পড়ার পর। রুগী ধরে সুস্থ করাটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা তথা রোগ উপশমের একটা অংশমাত্র।
ভাবখানা এমন যে, ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাবার আমরা সহজেই জোগাড় করতে পারি এবং সবার বাড়িতে ফিলটার আছে বা বোতল, জার ভর্তি পানি কিনে খাই-ই ওসব আর স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যে ঢুকিয়ে কী হবে?
.... মানে, দিনের বেলা যখন এমনিই এত আলো, তখন সূর্যের আর কী দরকার? চাঁদই বেশী কাজের!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



