"রাজা সবারে দেন মান,
সে মান আপনি ফিরে পান"-এটাতো সবারই জানা।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট’ (Alexander the Great) ছিলেন একজন গ্রীক সম্রাট। সুদূর গ্রীস থেকে একের পর এক দেশ জয় করে তাঁর বাহিনী মিশর থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারত পর্যন্ত এক বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি একজন অন্যতম সফল সেনা নায়ক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছেন। মাত্র ৩২ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি গঠন করেছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম সাম্রাজ্য।
পারস্য বিজয়ের পর ৩২৭ খ্রীস্টপূর্বাব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সে সময় উত্তর-পশ্চিম ভারত অনেকগুলো ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। প্রথমে আলেকজান্ডার পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে, তারপর অশ্বক জাতিকে পরাজিত করেন। অন্যদিকে তক্ষশীলার রাজা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ঝিলমের রাজা পুরু তাঁর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত ও বন্দী হন। ইতিহাসে এই যুদ্ধ ‘হিদাস্পিসের যুদ্ধ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। এই যুদ্ধে পুরুর প্রবল পরাক্রম দেখে আলেকজান্ডার মুগ্ধ হয়েছিলেন ভীষণভাবে।
আলেকজান্ডারের সামনে বন্দী পুরুকে হাজির করা হলে আলেকজান্ডার নিজে এগিয়ে যেয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান। বন্দী পুরুরাজকে আলেকজান্ডার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'তিনি কি রকম ব্যবহার প্রত্যাশা করেন?'
জবাবে রাজা পুরু জানিয়েছিলেন- "একজন রাজার প্রতি আরেকজন রাজার যেরকম মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহার হওয়া উচিত তিনি সেই ব্যবহার প্রত্যাশা করেন।"
আলেকজান্ডার পরাজিত রাজা পুরুকে রাজার মতো সম্মান দিয়ে বন্দী পুরুরাজকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং তাঁর রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়ে নিজেও ভারতবাসীর কাছে সম্মানীত হয়েছিলেন।
এই পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য ব্লগে ব্লগারের পারস্পরিক অসম্মান করার প্রকটতা!
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও কাউকে আঘাত করা, অপমান করাই যেনো কতিপয় ব্লগারের মূখ্য উদ্দেশ্য! এদের অনেকেরই আত্মসম্মানবোধ নাই বলেই অন্যকে সম্মান করতে পারেননা। যাদের নিজেদেরই সম্মান নাই তাই অন্যের প্রতি সম্মানবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকবে কিভাবে!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


