somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

ট্যাটু প্রথা এবং......

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ট্যাটু প্রথা এবং......

যুগে যুগে, কালে কালে দুনিয়া জুড়ে রাজাদের ‘প্রয়োজন’ হত নতুন নতুন রাণির। কিন্তু এত রাজকুমারী তো আর পাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই, সাম্রাজ্যের পথেঘাটে কোনও সুন্দরীকে পছন্দ হলেই তার স্থান হত রাজার ঘরে(এই কুকর্মের উদাহরণ হতে পারে- মোঘল সম্রাটদের জীবনাচার, হালের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তুর্কি ঐতিহাসিক সিরিয়াল 'সুলতান সুলেমান';) সাধারণ ঘরের মেয়ে রাণি হবে, এ তো খুবই আনন্দের বিষয়। কিন্তু আদতে তা হত না বর্তমান বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মায়ানমারের 'চিন প্রদেশ'র আদিবাসীদের মধ্যে। রাণি হওয়ার সাধ তাদের অধরাই থেকে যেত। বিয়ে তো দূরস্থান, রাজার মন ভরে গেলে, রক্ষিতা হিসেবেও স্থান হতো না। এমনকি সমাজও তাদের স্বীকৃতি দিত না।

লম্পট রাজার হাত থেকে ঘরের মেয়েদের বাঁচাতে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করে এই আদিবাসীরা। যুবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েদের মুখে ট্যাটু করে দেওয়া হত। যাতে তাদের সৌন্দর্য কোনও ভাবেই রাজাকে আকৃষ্ট না করে। নীল, সবুজ বা কালো রঙের লাইন এঁকে বা বুটি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হত তাদের অবয়ব। গাছের রস, ষাঁড়ের পিত্ত ও অ্যানিমাল ফ্যাট দিয়ে প্রস্তুত করা হত সেই রং। তারপরে গাছের কাঁটা দিয়ে বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে মুখে নকশা এঁকে দেওয়া হত। কষ্টকর এই পদ্ধতির পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে যেত সম্পূর্ণ সুস্থ হতে। পরবর্তীকালে ট্যাটু করার এই প্রথা চিন আদিবাসীদের মধ্যে কেবলমাত্র ‘সংস্কৃতি’র অঙ্গ হিসেবেই রয়ে যায়- এভাবেই চিন প্রদেশ থেকে ট্যাটু প্রথা ফ্যাশন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ আমেরিকা আফ্রিকা সহ গোটা বিশ্বে। তবে ট্যাটুর জন্মস্থান খোদ মায়ানমার সরকার ১৯৬০ সালে ট্যাটু করার এই প্রথাকে আইনত নিষিদ্ধ করে। ফলে বর্তমানে প্রায় অবলুপ্ত হতে চলেছে ঐতিহাসিক এই ট্য্যাডিশন।

কিন্তু শেষ হইয়াও বোধহয় হইলো না শেষ! হলিউড বলিউডের কুসংস্কৃতি এখন আমাদের দেশেও সংক্রমিত হয়েছে ভয়াবহ ভাবে। দেশের নাটক সিনেমা জগতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, বিবাহবিচ্ছেদ কিম্বা বহুবিবাহ কুসংস্কৃতি থেকে রক্ষা করতে সুন্দর মুখোশ্রীর শিল্পীদের মুখে ট্যাটু করে কুৎসিত/বিকৃত করার সময় হয়েছে। নচেৎ আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×