ছেলে বেলায় আমাদের এক কমন বন্ধু নাজিম দিনে প্রথম দেখা হলে প্রথমেই বলতো- ‘জানিস, আজ কি হয়েছে…’
আমি জিজ্ঞেস করতাম, ‘তোর জীবনটা কি করে এত হ্যাপেনিং বলতো? আমাদের জীবনে তো প্রতিদিনই এত ঘটনা ঘটে না!’
সত্যি সত্যিই ওর দিনচারিতায় কিছু না কিছু ঘটত প্রতি দিনই, তা-ই ওইভাবে শুরু করতো। আসলে আমাদের আশেপাশে রোজই তো কত কিছু ঘটে চলেছে। আমরা ক’জন আর সেসব ভালো করে লক্ষ্য করি! বা বলা ভালো লক্ষ্য করলেও সেসব নিয়ে অত ভাবি না।
ছেলে বেলায় আমার কাছেও ছোট থেকে আশেপাশের ঘটনাগুলো এক একটা গল্প তৈরী করত। কিন্তু কাউকে বলতাম না, তবে বড়ো হয়ে লিখব বলে ভাবতাম রোজ! নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনাগুলোকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিয়ে ভাবতাম, ‘এমনটা হলে কেমন হত!’
অনেক ছোট থেকেই ভাবনাচিন্তা করার ব্যাপারটা আমার মজ্জাগত। শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়েও আমি ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতে পারি। কিন্তু কখনও ভাবিনি যে আমার ওইসব ভাবনাচিন্তাগুলোকে কাগজ-কলমে বেঁধে ফেলা যায়। যখন বুঝলাম, তখন থেকে আমার স্কুলের খাতার পাতা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ডায়েরিতে তারপর পিসি- ল্যাপটপ আসার পর কিবোর্ড লিখতে শুরু করল ‘আজ কি হয়েছে!’
অন্যান্য সকলের মতই আমার জীবনেও অনেক মজার ঘটনা আছে, আছে অনেক ভালো স্মৃতি। জীবনের ছয় দশক পার করে এসে এখন মনে হয় অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ না হলেও নেহাত খালি নয়!
তাই ভেবেছি, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা বা ভালো স্মৃতি ভাগ করে নেব আপনাদের সঙ্গে, যারা আমার খুব আপন। আমার অনেক পরিচিত এই সোস্যাল মিডিয়ায় আছেন, যাদের সঙ্গে আমার হয়ত দেখা সাক্ষাৎ বা সরাসরি যোগাযোগ নেই, কিন্তু তাঁরা আমার লেখা পড়েন। আমার এইসব লেখাগুলোর মধ্যে দিয়েই না হয় যোগাযোগ আরেকটু দৃঢ় হোক আপনাদের সঙ্গে।
খুব একটা দুঃখের কথা না লেখারই চেষ্টা করব। চেষ্টা করব ভালো ভালো স্মৃতি বা ঘটনা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে, যাতে সকলের মন ভালো হয়ে যায়। এই লেখালেখির নাম দেবো- ভালো থাকার রসদ।
আমার জীবনচারিতায় গোপন রাখার মতো গোপনীয় কিছু নাই.... বরং সততার সঙ্গে সত্য প্রকাশের সৎ সাহস রাখি। তাই নিয়ম করে নয়, যখন মনে পড়বে এমন কোনো ভালো স্মৃতি, ঠিক ভাগ করে নেব আপনাদের সঙ্গে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



