somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

ফিচারের প্রকারভেদঃ

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিচারের প্রকারভেদঃ

১৪ তম বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষে ব্লগারদের কাছ থেকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্যভিত্তিক অথবা বিশ্লেষণ মূলক ‘ফিচার’ ক্যাটাগরিতে লেখা প্রকাশের জন্য আহবান জানানোর পর থেকে বিভিন্ন মিডিয়া, স্পেশালি গুগল সার্চ করে প্রায় দুই ডজন লেখা পড়েছি। প্রায় সবগুলো বিষয় একত্র করে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেবো, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পড়ে জেনেছি।

নির্ধারিত বিষয়:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পুরাতত্ব, শিল্প ও সাহিত্য, জানা – অজানা (বিবিধ)।

ফিচারঃ গতানুগতিক সংবাদ থেকে ভিন্ন, তথ্যবহুল, ভিন্নধর্মী লেখনশৈলীবিশিষ্ট প্রতিবেদনকে ফিচার বলা হয়। ফিচার যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনা বা ব্যক্তির ওপর আলোকপাত করার মাধ্যমে পাঠককে ঐ ঘটনা বা ব্যক্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দেয়।
তথ্যবহুল, ভিন্নধর্মী নিজস্ব মতামত লেখনশৈলীবিশিষ্ট প্রতিবেদনকে ফিচার বলে। ফিচার যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনা বা ব্যক্তির ওপর আলোকপাতের মাধ্যমে পাঠককে ঐ ঘটনা বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দেয়। পত্রিকার নিত্যদিনের গতানুগতিক সংবাদ আর ফিচার লেখার প্রক্রিয়া ও শৈলী আলাদা। সাধারণ সংবাদকে বলা হয় হার্ড নিউজ আর ফিচারকে বলা হয় সফট নিউজ বা হিউম্যান-ইন্টারেস্ট-স্টোরি। সংবাদ লেখার জন্য সাংবাদিককে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়, কিন্তু একজন ফিচার লেখক নিজের ইচ্ছেমতো সুললিত ও আলংকারিক ভাষায় লিখতে পারেন। শব্দ ও বাক্যের খেলায় যে যত দক্ষ, তার ফিচারটি তত বেশি পাঠকপ্রিয়।

ফিচারের প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন ঘরানার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিচার লেখা যেতে পারে। উদাহরণঃ মানবিক আবেদন (Human Interest), প্রোফাইল (Profile), নির্দেশনামূলক (Instructional), নির্দেশনামূলক (Instructional), ঐতিহাসিক (Historical),
সাময়িক (Seasonal) এবং ঘটনার পেছনের ঘটনা (Behind the Scenes)।

মানবিক আবেদন (Human Interest): যেসব ঘটনা সরাসরি মানুষের আবেগকে স্পর্শ করে সেগুলো মানবিক আবেদন ভুক্ত। এ ধরনের ফিচার পড়ে মানুষ আবেগাপ্লুত হয়। এই ফিচারগুলো একজন মানুষকে নিয়ে যেমন লেখা সম্ভব তেমনি একটি দল বা সম্প্রদায়কে নিয়েও লেখা যায়। পথশিশুদের ঈদ উদযাপনের ব্যর্থতা নিয়ে একটি ফিচার লিখলে সেটা পড়ে পাঠকের ওই শিশুদের জন্য কষ্টবোধের অনুভূতি হতে পারে। আবার কোনো ব্যক্তি যদি কয়েকজন পথশিশুকে ঈদ উদযাপনের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে সেই কাহিনী পড়ে পাঠক আনন্দিত হবেন। অর্থাৎ এ ধরনের ফিচারগুলো পড়ে মানুষ দুঃখ বা সুখ, উভয় অনুভূতিই পেতে পারেন।

প্রোফাইল (Profile): এই ধরনের ফিচারে কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা হয়। বিশেষত সেলিব্রিটি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজ, দেশ বা পৃথিবীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জীবনাচরণের ওপর আলোকপাত করা হয় এসব ফিচারে। এই ফিচারগুলো পড়ে পাঠক নিজেকে সেই ব্যক্তির স্থানে কল্পনা করতে পারেন। তবে, কোনো ব্যক্তিবিশেষের ওপর লেখা ফিচারের ক্ষেত্রে লেখককে খুব কাছ থেকে ওই ব্যক্তির জীবন পর্যালোচনা করতে হয়।

নির্দেশনামূলক (Instructional): এই ধরনের ফিচারগুলোকে বলা হয় 'হাউ টু' (how to) ফিচার। পাঠককে কোনো একটি কাজ কীভাবে করতে হয় তা শেখাতে এই ধরনের ফিচার লেখা হয়।

ঐতিহাসিক (Historical): ইতিহাসে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয় এই ফিচারগুলোতে। বর্তমানের পাঠককে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করে থাকে ইতিহাস সম্পর্কিত সুলিখিত একটি ফিচার।

সাময়িক (Seasonal): বছরের নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার লেখা হয় যেগুলো অন্য সময় লিখলে তাতে পাঠকের খুব একটা কাজে আসে না। যেমন- বিভিন্ন দিবসের সময় ঐ দিবসটির মাহাত্ম্য নিয়ে লেখা ফিচার। আবার সমাজে হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে লেখা ফিচারও এই প্রকারভুক্ত।

ঘটনার পেছনের ঘটনা (Behind the Scenes): পর্দার আড়ালের অজানা গল্প নিয়েও লেখা যায় ফিচার। যেসব ঘটনা মানুষের কাছে সুবিদিত সেসব ঘটনার পেছনের ঘটনা হয়তো মানুষ জানে না। যেমন- টাইটানিক (১৯৯৭) সিনেমাটি সবাই দেখেছে, সিনেমার কাহিনী অনেকেরই মুখস্ত। কিন্তু এই সিনেমা বানানোর গল্প কিন্তু অনেকেই জানে না। সিনেমাটি কীভাবে বানানো হয়েছিল তা নিয়ে একটি দারুণ ফিচার হতে পারে। এভাবে জানা ঘটনার অজানা ইতিহাস ফিচার লেখার উপকরণ হয়ে উঠে।

ফিচার লেখার ক্ষেত্রে নিয়মের যথাযথ ব্যবহারের চেয়ে লেখকের লেখনশৈলী বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে লেখক যত আকর্ষণীয়ভাবে তার মনের ভাব লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন তার ফিচার তত বেশি সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঃ
বিজ্ঞান হলো প্রকৃতি সম্পর্কিত জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা ও বর্ণনা করে। আর প্রযুক্তি হলো আমাদের জীবনের বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা বা জ্ঞান সৃষ্টি করেছেন।

বিজ্ঞান: বিজ্ঞান (Science) হচ্ছে বিশ্বের যাবতীয় ভৌত বিষয়াবলী পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, যাচাই, নিয়মসিদ্ধ, বিধিবদ্ধ ও গবেষণালদ্ধ পদ্ধতি যা জ্ঞানকে তৈরিপূর্বক সুসংগঠিত করার কেন্দ্রস্থল। ল্যাটিন শব্দ সায়েনটিয়া থেকে ইংরেজি সায়েন্স শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ বিশেষ জ্ঞান। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে কোন বিষয়ে প্রাপ্ত ব্যাপক ও বিশেষ জ্ঞানের সাথে জড়িত ব্যক্তি বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানবিদ কিংবা বৈজ্ঞানিক নামে পরিচিত হয়ে থাকেন।

প্রযুক্তি: প্রযুক্তি (Technology) বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল। অবশ্য অনেক প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন থেকেই আবার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনেক জ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। মানব সমাজের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সংজ্ঞায় বলা যায়, "প্রযুক্তি হল কিছু প্রায়োগিক কৌশল যা মানুষ তার প্রতিবেশের উন্নয়নকার্যে ব্যবহার করে।" যেকোন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতারকেও প্রযুক্তি বলা হয়।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন: সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী চলছে নানা ধরণের উৎকণ্ঠা।
কোনও একটি জায়গায় বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়ার যে গড়-পড়তা ধরন, তাকেই বলা হয় জলবায়ু। সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তন বলতে ৩০ বছর বা তার বেশি সময়ে কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন বুঝায়। একটি নির্দিষ্ট এলাকার কিম্বা একটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলে যে পরিবেশগত তথা আবহাওয়ার চেনাজানা ধরন বদলে যাওয়াকেই বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। মনুষ্য সৃষ্ট নানাবিধ কারণে পৃথিবীর পরিবেশ উঞ্চ হয়ে পড়ছে এবং তার ফলে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার বহুদিনের চেনাজানা আচরণকেই জলবায়ু পরিবর্তন বোঝায়।

ইতিহাস:
প্রথমেই জানা যাক, ইতিহাস কাকে বলে?
ইতিহাস শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো "History", যা গ্রিক শব্দ "Historia" থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ কোন বিষয়ে অনুসন্ধান বা গবেষণা। ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাত হেরোডোটাস ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত সংগায় বলেছেন- "যেকোনো অতীত বিষয় নিয়ে গবেষণা, লেখা কে ইতিহাস বলে।"
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ই.এইচ. কার-এর ভাষায়, "ইতিহাস হলাে বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ।"
ইতিহাস শব্দটির উৎপত্তি ইতিহ শব্দ থেকে, যার অর্থ ঐতিহ্য। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এই ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয় ইতিহাস।
ইতিহাস হলো মানব সমাজের জীবন বৃত্তান্তের দলিল যেসব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে তার স্মারক। যেমন-ধ্যান-ধারণা, কর্মকান্ড নির্ধারণ করেছে এবং যেসকল বস্তুগত অবস্থা সে সকল সমাজের উন্নতির সহায়ক অথবা প্রতিবদ্ধক হিসেবে কাজ করছে তার সংকলন। সাধারণ অর্থে আজ যা অতীত আগামীদিনের জন্য তাই হলো ইতিহাস।

সংস্কৃতি এবং পুরাতত্ব: প্রথমেই বলবো- সংস্কৃতি এবং পুরাতত্ব দুটো সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয়। এই দুটো বিষয়কে একত্রিত করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং মিলিয়ে ফেলার কোনো সুযোগ নাই। এই দুটো বিষয়কে আলাদা আলাদা করে ভাগ করে দেওয়া উচিৎ ছিল।
সংস্কৃতি মানবসমাজের সব চাইতে বিশাল একটা বিষয়। মানব জীবনে সংস্কৃতি একটি জটিল ধারণা, এটি সচেতন এবং অবচেতন উভয়ভাবেই আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে।

মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা, যোগাযোগ এবং আচর-আচরণ, আঞ্চলিকতা সবগুলোর সমষ্ঠিকে সংস্কৃতি বলা হয়। আরো সহজভাবে সংস্কৃতির সংজ্ঞা হলো কোনও জাতি বা গোষ্ঠির চিন্তাভাবনা, আচরণগত দিকনিদর্শ, পোশাক, ভাষা, খাদ্য, ধর্ম, সংগীত, অঞ্চল বা ভূগোল ইত্যাদির সমষ্ঠি। যেমন: কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে, কীভাবে কাজ করে, তাদের আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, পোশাক, তাদের কথা বা ভাষা, তাদের ধর্মীয় ক্রিয়াকালাপ, সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়গুলো মিলিত হয়ে একটি সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়।

আমরা সংস্কৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করি না, আমরা মূলত নির্দিষ্ট একটি সংস্কৃতিতে জন্মেছি এবং সামাজিকভাবে বাসবাস করার মাধ্যমে আমরা সংস্কৃতি শিখি বা ধারণ করি। সংস্কৃতি এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রমণিত হয়। আমরা সংস্কৃতি যাকে বলি তার বেশিরভাগই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং সময়ের সাথে সাথে সংস্কৃতির উন্নতি হয় কিম্বা অবক্ষয় হয়।

আমরা বিভিন্নভাবে অন্যান্য সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হতে পারি; যেমন: সংগীত, সিনেমা, টেলিভিশন এবং শিল্পের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হতে পারি। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই যোাগাযোগ করতে পারি, অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। এভাবে এক সংস্কৃতি থেকে আরেক সংস্কৃতির প্রসার লাভ করে যাকে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বলে।

পুরাতত্ত্ব: পুরাতত্ত্ব হলো মানব সংস্কৃতি তথা সভ্যতার একটা অংশ, যাকে আমরা প্রত্নসম্পদ বলতে পারি। পুরাতত্ত্ব বা পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হল প্রাচীন যুগের দ্রব্যাদি। সময় ও কালের বিবেচনায় বিভিন্ন সভ্যতার ক্রমবিকাশে পুরাতত্ত্ব নামকরণ করা হয়েছে। যেমন: ভূমধ্যসাগরীয় সভ্যতা, গ্রিস ও রোমান সভ্যতা, ব্যাবলনীয় সভ্যতা, প্রাচীনকাল, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা ইত্যাদি। মধ্য প্রস্তর যুগ এর হস্তশিল্প এবং এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের সভ্যতার নির্দশনগুলোর পুরাতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত।

তথ্যসূত্রঃ (১) Click This Link

(২) https://sahajpora.com/news/2603/
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×