"হোয়াট ইজ টু বি ডান".......
১৯০২ সালে সাইবেরিয়ার নির্বাসন থেকে ফিরে লেনিন
"হোয়াট ইজ টু বি ডান" নামে একটা বই লিখেছিলেন।
যার বাংলা অনুবাদ 'কি করিতে হইবে'- বইটাকে সারা পৃথিবী জুড়েই কমিউনিষ্টদের গাইডবুক বলে চিহ্ণিত করা হয়। এই বইয়ে লেনিন বহু তাত্বিক প্রতিপাদ্যকে চিহ্ণিত করেছিলেন দ্বিধাহীন ও নির্মোহ ভঙ্গীতে। তার মধ্যে একটি হল অর্থনৈতিক আন্দোলন নিজে নিজেই রাজনৈতিক চরিত্র গ্রহণ করতে পারে না।
অর্থাৎ যত বড় অর্থনৈতিক আন্দোলনই হোক না কেন তা নিজে নিজেই ব্যবস্থাকে পালটে দেবে তা কখনও হতে পারে না- যদি না তার মধ্যে সমাজকে পালটে দেওয়ার শক্তি উপস্থিত থাকে। কারণ অর্থনৈতিক আন্দোলনের লক্ষ্যই হল এই মজুরী-শ্রমের যে ব্যবস্থা তার মানটাকে একটু যদি বাড়ানো যায়। একটু ভালোভাবে খেয়েপরে বেঁচে থাকা। দাসত্ব থেকে মুক্তি নয়।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও 'বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘চুক্তি তত্ত্ব, সম্পদের অধিকার ও অর্থনৈতিক অর্জন’ নামক একটা সেমিনারে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেছেন- ‘কন্ট্রাক্ট থিওরি আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। কোথায় আমাদের ঠকানো হচ্ছে, এটা বুঝে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।’ একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চুক্তি তত্ত্বের বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য রাষ্ট্র যেসব পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে, সেগুলো ভালো হলে তার দীর্ঘমেয়াদি সুফল অর্থনীতি পায়। একইভাবে একজন শ্রমিক বা কর্মীর সঙ্গে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কেমন চুক্তি হচ্ছে, তার ওপর কর্মক্ষেত্রে ওই কর্মীর সন্তুষ্টি নির্ভর করে।
এইধরণের তাত্বিক আলোচনামূলক সেমিনারে আমার ভালো ঘুম হয় এবং যথারীতি একটু ঘুমিয়েও নিয়েছি। আমি ঘুমালেও বিদগ্ধ বক্তারা অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলেছেন- সরকারের সমালোচনাও কেউ করেছেন, কেউ বিরোধী দলেরও...... সবার বলা কথা লিখে সময় নষ্ট না করাই উত্তম। তবে একজন বলেছিলেন- আমাদের সরকারের উপর বিদেশীদের তথা দাতা গোষ্ঠীর বিরুপ মনোভাবের কথা, আর একজন বলেছিলেন- সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদের বিদেশ মুখিতার কথা.......
গত এক যুগের আন্দোলন করার পর আন্দোলনকারীদের যখন মনে হয় আমেরিকা কিম্বা অন্য কেউ এসে উদ্ধার করে দেবে। দুর্নীতির পাহাড়চূড়ায় বসে থাকা শাসককেও যখন মানবিক মনে হয় তখন হীরক রাজার দেশের সেই খনিশ্রমিক আর চরণদাস বাউলের কথাই মনে পড়ে, মগজধোলাই এর পর যারা পথে পথে ঘুরে বলে বেড়াতো আর গাইতো-
"অনাহারে নাহি খেদ
বেশী খেলে বাড়ে মেদ
যায় যদি যাক প্রাণ
হীরকের ........ ভগবান"।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



