somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

তিনজন বহুভাষাবিদ বাংগালী........

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিনজন বহুভাষাবিদ বাংগালী........

বহু ভাষাবিদ, জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রথম দার্শনিক। ১৯২১ সাল থেকেই তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের আগেই তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলার দাবি তুলে ধরতে থাকেন। বাংলা ভাষার পক্ষে লেখনী ধারণ, সভা সমিতিতে ভাষণ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সবকয়টিতেই তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি প্রায় ৩০টি ভাষা জানতেন। ১৮টি ভাষায় ছিলেন সুপণ্ডিত। কিন্তু তার অন্তরের ভাষা ছিল বাংলা। মাতৃভাষার প্রতি তার ভালোবাসা ছিল প্রবাদ প্রতীম। তিনি বাংলা একাডেমিরও স্বপ্ন দ্রষ্টা। তিনি বলেছিলেন, মা, মাতৃভাষা, মাতৃভূমি প্রত্যেক মানুষের পরম শ্রদ্ধার বস্তু। চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা, বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে তার মতবাদ, বাংলাভাষার জন্মসাল বিষয়ে তার বক্তব্য, বাংলা বর্ষপঞ্জির সংস্কার, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লেখা, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান প্রণয়ন সবই তার উল্লেখযোগ্য কীর্তি।



বাংলাদেশে বহুভাষাবিদ বলতে আমরা আরও একজনের নাম জানি তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী, বিংশ শতকী বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা। তিনি তার ভ্রমণকাহিনির জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। সৈয়দ মুজতবা আলীও প্রায় ২৪ টি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।



খুব ছোটবেলায় 'ছোটদের বুক অব্ নলেজ' বইতে আচার্য হরিনাথ দে-র কথা প্রথম পড়ি। বড়বেলায় তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু কিংবদন্তীপ্রতিম কথাবার্তা জেনেছিলাম। সম্প্রতি দ্যা ওয়াল পত্রিকায় 'The Legend Harinath dey' পড়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারলাম। ''The Legend: Harinath dey''- অনুবাদ নয়, ভাবানুবাদ শেয়ার করছিঃ-

"হরিনাথ দে ছিলেন এক Mobile library..."- শ্মশানের চিতায় তাঁর দগ্ধ মৃতদেহ দেখে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের মনে হয়েছিল একটি বিশাল লাইব্রেরী লেলিহান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। প্রাচীন বিশ্বের সমৃদ্ধতম আলেকজান্দ্রিয়ার সুবিশাল গ্রন্থাগার চেঙ্গিস খাঁর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল বাগদাদের সেকেন্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার। ইতিহাসের সেই মর্মান্তিক অনুষঙ্গ উঠে এসেছিল তাঁর স্মৃতিপটে..... সেদিন তিনি লিখেছিলেনঃ
"যাচ্ছে পুড়ে দেশের গর্ব,
শ্মশান শুধুই হচ্ছে আলা।
যাচ্ছে পুড়ে নতুন করে সেকেন্দ্রিযার গ্রন্থশালা।"



আমাদের দেশেও বহুভাষাবিদ ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছাড়াও একাধিক ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে এবং লিখতে পারেন এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম নয়। বহু বাঙালিকে দেখেছি মাতৃভাষা ছাড়াও ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, জার্মানি, ফারসী ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভাষায় গড়গড় করে কথা বলতে পারেন। একাধিক ভাষা আয়ত্ত করা মস্তিষ্কের এক বিশেষ ধরনের ক্ষমতার স্বাক্ষর বহন করে। ভাষা না জানলে দেশ বিদেশে গিয়ে বোবা হয়ে থাকতে হয়। অথবা আকারে ইঙ্গিতে কাজ চালাতে হয়। সুভাষচন্দ্র ও রাসবিহারী বসুর মতো মানুষেরা বেশ কিছু বিদেশি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন, শরৎচন্দ্রের 'পথের দাবি' উপন্যাসের সব্যসাচীর মতো। কিন্তু ৩৪ টি ভাষায় মাতৃভাষার মতো কথা বলতে, পড়তে ও লিখতে পারেন এমন আশ্চর্য বঙ্গ-সন্তানের কথা শুনলে আমাদের বিস্ময়ের সীমা পরিসীমা থাকে না। এর মধ্যে ১৪ টি ভাষায় আবার সর্বোচ্চ সাফল্যের সঙ্গে এম এ পাশ করেছেন যিনি- সেই বিস্ময়-মানবের নাম হরিনাথ দে। মাত্র ৩৪ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। সেই স্বল্পায়ু জীবৎকালেই তিনি রেখে গেছেন এক অমর কীর্তি, যা বাঙালি হিসেবে আজও আমাদের পরম শ্লাঘার বিষয়।

১২ আগস্ট ১৮৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের কামারহাটির আড়িয়াদহ গ্রামে জন্ম হয় এই বিস্ময়-শিশুর। বাবা ভূতনাথ দে ছত্তিশগড়ের একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।

প্রবাদ আছে: 'Morning shows the day'- হরিনাথ দে-র শৈশব ও কৈশোর দেখেই বোঝা গিয়েছিল তাঁর অবিশ্বাস্য আলোকময় ভবিষ্যতের কথা। সবজি কাটতে কাটতেই ৪ বছরের শিশু হরিনাথকে আলু, পটল, ঝিঙে, শশা ইত্যাদি সবজির খোসা সাজিয়ে দিয়ে বাংলা বর্ণমালা চিনিয়েছিলেন তাঁর মা এলোকেশী। কয়েক মুহূর্ত পরেই সেই শিশু সবজির খোসা আর কয়লা দিয়ে সারা বাড়ি ভরিয়ে দেয় বাংলা বর্ণমালায়। এক দিনেই তিনি বাংলা বর্ণমালার সবকটি বর্ণ আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন। এইভাবেই বাংলাভাষার সঙ্গে নিবিড় বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল বালক হরিনাথের। কিশোর বয়সে স্থানীয় গির্জা থেকে বাইবেল নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর গির্জার ফাদার বিস্মিত হয়ে দেখেন, ছেলেটি সমগ্র বাইবেলটাই হিন্দিভাষায় অনুবাদ করে ফেলেছে!

রাইপুরের উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কলকাতায় চলে আসেন। প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে এবং পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। প্রেসিডেন্সি কলেজে একদিন ভাষাতত্ত্বের ক্লাস চলার সময় অধ্যাপক এফ জে রো ভাষা পরিবর্তনের একটি জটিল বিষয় নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন। ক্লাসের ছাত্ররা সকলেই রীতিমতো বিস্মিত এবং অপ্রস্তুত। উত্তর কী হবে ভেবে পাচ্ছে না তারা। সেই স্তব্ধ মুহূর্তে অধ্যাপকের অনুমতি নিয়ে হরিনাথ দে ব্ল্যাকবোর্ডের উপর চক দিয়ে অনায়াসে লিখে ফেললেন ওই কঠিন প্রশ্নের উত্তর। উচ্ছ্বসিত আবেগে ছাত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন অধ্যাপক রো। আর তখনই তিনি ছাত্র হরিনাথকে রোমের বিখ্যাত ভাষাবিদ ও দার্শনিকের নামে নতুন সম্মান-সূচক উপাধি দিলেন বাংলা তথা ভারতবর্ষের ‘সিসেরো’! বিশিষ্ট রোমান ভাষাবিদ ও বাগ্মী মার্কাস টুলিয়াস সিসেরোর (১০৬-৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সিসেরো ছিলেন ভাষাবিদ বিদ্যানুরাগী, সাহিত্যানুরাগী।

১৮৯৩ সালে হরিনাথ প্রেসিডেন্সি থেকে ল্যাটিন ও ইংরেজি ভাষায় প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল্যাটিন ভাষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। তারপর বিলেতে গিয়ে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন উচ্চতর শিক্ষার জন্য। কেম্ব্রিজে পড়ার সময়েই হরিনাথ গ্রিক ভাষায় এম.এ.-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। প্রায় একই সময়ে তিনি প্যারিসে গিয়ে সেখানকার সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা আয়ত্ত করেন এবং মিশরে গিয়ে আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষায় উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন।

সেখান থেকে জার্মানির মারমুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সংস্কৃত, তুলনামূলক ব্যাকরণ এবং আধুনিক ভাষা শিক্ষাদানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯০০ সালে তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক্লাসিক্যাল ট্রাইপস্স' পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তার পরের বছর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যযুগীয় আধুনিক ভাষায় ট্রাইপস্ ডিগ্রি অর্জন করেন। কেম্ব্রিজ থেকে হরিনাথ গ্রিক, লাতিন, হিব্রু ভাষায় শিক্ষা লাভ করে নিজের দুর্নিবার ভাষাতৃষ্ণার পরিতৃপ্তি সাধন করেন।

১৯০১ সালে হরিনাথ দেশে ফিরে ঢাকা কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনিই ছিলেন বৃটিশ-শাসিত ভারতের শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদে নিযুক্ত প্রথম ভারতীয়। ঢাকা কলেজ ছেড়ে ১৯০৫ সালে হরিনাথ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বহুভাষী ছিলেন। চৌত্রিশটি ভাষায় তিনি বলতে, লিখতে পড়তে এবং ব্যাকরণ সহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষক ছিলেন।

ভ্যাটিকান সিটির পোপ ইংরেজিতে কথা বলেন না। একবার হরিনাথ দে গিয়েছিলেন সেই পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ইতালির স্থাপত্য, প্রাচীন ইতিহাস বিচিত্র রহস্য-রোমাঞ্চে ঢাকা। সেসব দেখার পর হরিনাথ সরাসরি উপস্থিত হন পোপের সামনে। পোপের আসনে তখন আসীন ছিলেন দশম পিউস। সেই পোপের সামনে দাঁড়িয়ে বিশুদ্ধ লাতিন ভাষায় তাঁকে অভিবাদন জানালেন বাঙালি পলিগ্লট হরিনাথ। একজন ভারতীয় তরুণের মুখে অনর্গল লাতিন উচ্চারণ শুনে খুব অবাক হয়েছিলেন পিউস ! কথায় কথায় তিনি বললেন : 'এবার তাহলে ইতালীয় ভাষাটাও শিখে নিন।' সেই মুহূর্তে পোপের সঙ্গে চোস্ত ইতালিয়ান ভাষাতেই কথা বলতে আরম্ভ করেন হরিনাথ!

ল্যাটিন ভাষায় হরিনাথের দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন লর্ড কার্জন। এই মুগ্ধতাকে কেন্দ্র করেই উভয়ের মধ্যে একটা সম্ভ্রমসূচক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

বিচিত্র ভাষা-পিপাসু হরিনাথের আর এক মস্ত বড় নেশা ছিল দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুসন্ধান চালিয়ে তিনি খুঁজে বের করেছিলেন কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’-এর প্রাচীনতম পুঁথি। পার্সি ও তুর্কি ভাষায় লেখা বৈরাম খানের একমাত্র পাণ্ডুলিপি, ওয়ারেন হেস্টিংসের নিজের হাতে লেখা চিঠিপত্র, দারা শিকোর মহান কীর্তি বেদের পার্সি অনুবাদ ছিল হরিনাথের সংগ্রহশালায়। সেইযুগে প্রত্যেক মাসে ছয় সাতশ টাকার বই কিনতেন তিনি।

মৃত্যুর পর হরিনাথের সংগ্রহশালায় পাওয়া গিয়েছিল সাত হাজার বিরল পুঁথি ও গ্রন্থ। ১৯১১ সালের প্রেক্ষিতে যার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

বিভিন্ন গবেষককে গবেষণা কর্মে সাহায্য করা ছিল হরিনাথের নেশা। একবার পাটনা কলেজের অধ্যাপক যদুনাথ সরকার ঔরঙ্গজেবের শাসনকাল বিষয়ে গবেষণা করতে করতে অত্যন্ত বিপদে পড়েছিলেন একটি পার্সি পুঁথি ঘাঁটতে গিয়ে। পার্সিতে সুপণ্ডিত হয়েও তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না কয়েকটি শব্দের অর্থ ও ব্যুৎপত্তি। নিরুপায় হয়ে তিনি হরিনাথের শরণাপন্ন হলেন। হরিনাথ তাঁর কাছে গিয়ে অনায়াসে শব্দগুলির ব্যুৎপত্তি এবং অর্থ বুঝিয়ে দিলেন।

ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দুই বাংলার ইতিহাস লিখছিলেন তখন হরিনাথ তাঁর কাছে গিয়ে নিজস্ব সংগ্রহশালা থেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি দিয়ে এসেছিলেন তাঁকে 'রাজা হরিবর্মদেবের তাম্রলেখ'।

বিচিত্র ভাষা-অভিযানের ফাঁকে হরিনাথ দে অনুবাদ করেছিলেনঃ
রেহেলা (ইবনে বতুতার ভ্রমণ বৃত্তান্ত), আল-ফখরি (মূল লেখক: জালালুদ্দিন আবু জাফর মুহাম্মদ), লঙ্কাবতার সূত্র (সুবন্ধুর ‘বাসবদত্তা’র ইংরেজি অনুবাদ), কৃষ্ণকান্তের উইল (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ), 'বাবু' (অমৃতলাল বসুর গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ)।

তিনি সম্পাদনা করেছিলেনঃ
Macaulay's Essay On Milton (১৯০২),
Palgrave's Golden Treasury, তারিখ-ই-নুসরাত (ফার্সি ভাষায় রচিত ঢাকার ইতিহাস), শাহ আলম নামা (ফার্সি ভাষায় রচিত বাদশাহ শাহ আলমের জীবনী)।

১৯০৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন department of Linguistics খোলা হয় তখন সেখানকার প্রথম অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন হরিনাথ দে। সেকালের বিখ্যাত গ্রন্থাগারিক জন ম্যাকফারলেনের মৃত্যুর পর তিনি কলকাতার ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির (ন্যাশনাল লাইব্রেরি) প্রথম ভারতীয় গ্রন্থাগারিকের পদে অভিষিক্ত হন। এই পদটি ছিল অত্যন্ত সম্মানজনক। আমাদের মতো মনোগ্লট মানুষের দেশে এই আশ্চর্য পলিগ্লট মানুষটি ছিলেন (১৮৭৭---১৯১১) এক অবিশ্বাস্য ভাষা-জাদুকর।

(বহুভাষাবিদ হরিনাথ দে'কে নিয়ে লেখাটা "দ্য ওয়াল" পত্রিকায় প্রকাশিত। ভাবানুবাদ আমার। ছবিঃ গুগল)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×