এলেবেলে.....
"ঐ দেখা যায় তাল গাছ ঐ আমাদের গা ,ঐ খানেতে বাস করে কাণা বগীর ছা।" কিম্বা "তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে..."- ছড়া কবিতা এখনো আমাকে টানে।
কবিতায় ও গানে সবসময় আমাদেরকে টানে তাল তমাল ছায়া ঘেরা, নীল আকাশের নীচে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে কাশবনের মায়াবী মৃদৃ মন্দ পরশে গ্রামবাংলা। যতদিন রবে নীল আকাশ, তাল গাছ আর কাশবন ততদিন শরৎ থাকবে নিজ মহিমায়। তাল গাছই যেন শরতের প্রাণ, নীল আকাশে মেঘের আনাগোনা আর সেই সাথে তালের সমারোহ দেখেই বোঝা যায় শরৎ এসে গেছে।

তালগাছের বেশ একটা ঋজু ব্যাপার আছে। সেই জন্যই বোধহয় আমার প্রিয় এক বন্ধুর আবদার ছিলো তাঁর স্মরণে আমি যেন আমার বাড়ির দরজায় দুটো তালগাছ লাগাই.... আমার সেই বন্ধুর স্মরণে গ্রামের বাড়িতে দুটো তালগাছ লাগিয়েছিলাম যা এখন বিশাল মহিরুহ হলেও আমার বন্ধু স্বেচ্ছা নির্বাসনে আমার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে....
ঐ যে কথায় বলে না "তফাৎ কেবল শিরদাঁড়ায়"- ঠিক তাই। তালগাছের শিরদাঁড়াতেই একটা নিজস্বতা আছে। আমরা কি শুনেছি আমপুকুর, জামপুকুর, পেয়ারাপুকুর, স্ট্রবেরী পুকুর, নাহ শুনিনি। শুনেছি কেবল তালপুকুর - সেটা ওই শিরদাঁড়ার তফাৎ এর জন্যই। আমাদের গ্রামে আমাদের একটা দীঘি আছে যার চারিদিকে তালগাছ লাগানো হয়েছিলো অর্ধশতাধিক বছর আগে। তাতেই আমি সরেজমিন বাবুই পাখির বাসা প্রথম চিনেছিলাম। আমাদের গ্রামে, আমাদের জমির আল বরাবর বেশ অনেক তালগাছ লাগানো আছে।
তো এই তাল কিন্তু বড় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটার। আপনি যদি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারেন- আপনার মাথার তালুতে তাল পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাতে আপনি তালকানা হয়ে মাতালের মতন তাল জ্ঞান শূন্য হলেও হতে পারেন। আর তাই তালে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনাদের জন্য তালগাছের ছবি দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




